চাকরি প্রস্তুতি

সাধারণ বিজ্ঞান সিলেবাস এবং প্রস্তুতি গাইডলাইন – বিসিএস প্রিলিমিনারি

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় মোট ২০০ মার্কের। ২০০ মার্কের মধ্যে সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫ মার্ক। প্রিলিমিনারি পাশ করতে হলে সাধারণ বিজ্ঞানে ভালো মার্ক পেতে হবে। সাধারণ বিজ্ঞানের তথ্যগুলো অপরিবর্তনশীল। একই তথ্য এখানে বারবার পড়তে হয়। আজকে আমরা শেয়ার করবো কিভাবে সহজে সাধারণ বিজ্ঞান প্রস্তুতি নেয়া যায়।

সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা

১। অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বই (ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, দশম, ১১তম, ১২তম, ১৩তম, ১৪তম অধ্যায়)

২। নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম অষ্টম, নবম, দশম, ১১তম, ১২তম, ১৩তম, ১৪তম)।

৩। নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান (চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, ১২তম, ১৩তম, ১৪তম)।

৪। উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র (চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, অষ্টম, নবম, দশম, ১২তম অধ্যায়)।

৫। নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন (দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম অধ্যায়)।

৬। নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান (দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, নবম, ১১তম, ১২তম অধ্যায়)।

৭। দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি পাতা

৮।অনুশীলনের জন্য যেকোনো ভালো প্রকাশনীর বিসিএস প্রস্তুতির গাইড বই (যেমন – এমপিথ্রি/প্রফেসর’স/অ্যাসিওরেন্স/ওরাকল)

বিসিএস সিলেবাস: বিজ্ঞান (১৫ নম্বর)

১ম অংশ: ভৌত বিজ্ঞান (নম্বর ৫)

  • পদার্থের অবস্থা, এটমের গঠন
  • কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার
  • এসিড, ক্ষার, লবণ
  • পদার্থের ক্ষয়
  • সাবানের কাজ
  • ভৌত রাশি এবং এর পরিমাপ
  • ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়ন
  • চৌম্বকত্ব
  • তরঙ্গ ও শব্দ
  • তাপ ও তাপগতিবিদ্যা
  • আলোর প্রকৃতি
  • স্থির ও চলতড়িৎ
  • ইলেক্ট্রনিক্স
  • আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান
  • শক্তির উৎস এবং এর প্রয়োগ
  • নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
  • পারমাণবিক শক্তি ও উৎস
  • খনিজ উৎস
  • শক্তির রূপান্তর
  • আলোক যন্ত্রপাতি
  • মৌলিক কণা
  • ধাতব পদার্থ এবং তাদের যৌগ সমূহ
  • অধাতব পদার্থ
  • জারণ-বিজারণ
  • তড়িৎকোষ
  • অজৈবযৌগ
  • জৈবযৌগ
  • তড়িৎ চৌম্বক
  • ট্রান্সফরমার
  • এক্সরে
  • তেজস্ক্রিয়তা

জীববিজ্ঞান (নম্বর ৫)

  • পদার্থের জীববিজ্ঞান বিষয়ক ধর্ম
  • টিস্যু
  • জেনেটিক্স
  • জীববৈচিত্র্য
  • এনিমেল ডাইভার্সিটি
  • অর্গান এবং অর্গানসিস্টেম
  • সালোকসংশ্লেষণ
  • ভাইরাস
  • ব্যাকটেরিয়া
  • জুওলজিক্যাল নমেনক্লেচার
  • বোটানিক্যাল নমেনক্লেচার
  • প্রাণীজগৎ
  • উদ্ভিদ
  • ফুল – ফল
  • রক্ত ও রক্তসঞ্চালন
  • হৃৎপিণ্ড ও হৃদরোগ
  • স্নায়ু ও স্নায়ুরোগ
  • খাদ্য ও পুষ্টি
  • ভিটামিন
  • মাইক্রোবায়োলজি
  • প্লান্ট নিউট্রিশন
  • পরাগায়ন

আধুনিক বিজ্ঞান (নম্বর ৫)

  • পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস
  • কসমিক রে
  • ব্ল্যাক হোল
  • হিগের কণা
  • বারিমণ্ডল
  • টাইড ও বায়ুমণ্ডল
  • টেকটনিক প্লেট
  • সাইক্লোন ও সুনামি
  • বিবর্তন
  • সামুদ্রিক জীবন
  • মানবদেহ, রোগের কারণ ও প্রতিকার
  • সংক্রামক রোগ
  • রোগজীবাণুর জীবনধারণ
  • মা ও শিশুসাস্থ্য
  • ইম্যুনাইজেশন ও ভ্যাকসিনেশন
  • এইচআইভি ও এইডস
  • টিবিও পোলিও
  • জোয়ার ভাঁটা
  • এপিকালচার
  • সেরিকালচার
  • পিসিকালচার
  • হরটিকালচার
  • ডায়োড ও Transistor
  • আইসি (IC)
  • আপেক্ষিক তত্ত্ব
  • ফোটন কণা ইত্যাদি

বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান প্রস্তুতি

  • বিজ্ঞানে হল মার্কস তোলার মোটামুটি সহজ অংশ। বিজ্ঞানে বেশিরভাগ প্রশ্নই রিপিট হয়। তাই মাথায় রাখুন যেন এখান থেকে প্রশ্ন এলে যেন পরীক্ষায় একটি নম্বরও মিস না হয়। প্রস্তুতির শুরুতে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলি সল্ভ করুন। এর ফলে কোন কোন টপিক থেকে বেশি বেশি প্রশ্ন আসে, সে ব্যাপারে আপনি ভালো ধারণা পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো টুকে রাখুন। বেশি বেশি করে এমসিকিউ অনুশীলন করতে হবে।
  • বিজ্ঞানের পাঠ্য বই পড়তে হবে সাথে গাইড বই ও পত্রপত্রিকাও দেখতে হবে। সিলেবাস দেখে টপিক ধরে ধরে কী কী দরকার শুধু ওটুকুই পড়বেন। গাইড বইয়ে অনেক কিছু দেওয়া থাকে, এত পড়ার দরকার নেই! দুর্বলতা আছে এমন টপিকগুলোর তালিকা করে তাতে বাড়তি সময় দিন। যেগুলো সহজ মনে হয়, সেগুলোও চর্চা করুন। কোনো টপিক বুঝতে না পারলে তা গুগলে সার্চ করেও দেখে নিতে পারেন। এ ছাড়া ইউটিউবে বহু টপিকের ভিডিও টিউটরিয়াল বা ক্লাস পাবেন।
  • প্রিলি পরীক্ষায় আসা বিজ্ঞানের বেশির ভাগ প্রশ্নের টপিকই অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে পাবেন। এ ছাড়া কমপক্ষে দুটি ভালো প্রকাশনীর গাইড বইয়ের সহায়তা নিতে পারেন। গাইড বইতে প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে বিগত বছরের বিসিএস, পিএসসি নন-ক্যাডার, প্রাইমারিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন দেওয়া থাকে। সেগুলো বেশি বেশি অনুশীলন করুন।
  • যাঁদের বিজ্ঞান বিষয়ে দুর্বলতা আছে বা তুলনামূলক কম বোঝেন, তাঁরা কিছু বিষয়বস্তু চাইলে মুখস্থ করতে পারেন। যেমন—বিভিন্ন ধরনের কালচার বা চাষ (পিসিকালচার, এপিকালচার, হর্টিকালচার), বিভিন্ন আবিষ্কার, কোন ভিটামিনের অভাবে কী রোগ হয়, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন প্রকার পরিমাপক যন্ত্র ইত্যাদি। তবে বুঝে বুঝে পড়তে পারলে সেটা সবচেয়ে ভালো হয়। চিত্র, সংকেত, সূত্র বুঝে পড়লে বেশি মনে থাকে।
  • নিয়মিত পত্রিকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পড়ার চেষ্টা করুন। প্রস্তুতির জন্য বিজ্ঞান যত বেশি পড়বেন ততই বেশি ভালো। কারণ পরে এগুলো লিখিত পরীক্ষায়ও কাজে দেবে। লিখিত পরীক্ষার গাইড বই থেকে আপনি শুধু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও টীকাগুলো পড়তে পারেন। এর ফলে একদিকে যেমন প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিতে কাজে দিবে তেমন লিখিত পরীক্ষার জন্যও এগিয়ে থাকবেন। মনে রাখবেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রিলিমিনারিতে শুধু ‘পাস’ করা দরকার, আর লিখিত পরীক্ষায় দরকার ‘ভালো নম্বর’।
  • সাধারণ বিজ্ঞানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেকে অনেক প্রশ্নে কনফিউশনে পড়ে যান। একটি প্রশ্নের উত্তর যদি একেক বইয়ে একেক রকম দেখলে একাডেমিক মূল বইয়ে সেই প্রশ্নসংশ্লিষ্ট অধ্যায় বা বিষয়বস্তুটি খুঁজে বের করে তা ভালোভাবে পড়ুন। একাডেমিক মূল বইয়ে যে তথ্য দেয়া আছে তাই সঠিক হিসেবে ধরে নিতে হবে।

আপনি যদি কৌশলী হয়ে বিসিএস প্রিলির জন্য প্রিপারেশন নিতে পারেন, তাহলে ২/৩ মাসের পরিশ্রমেই বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করা সম্ভব। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ভাগ পড়াশুনাতে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ সাফল্য পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, কেউ কাউকে সুযোগ করে দেয় না, সুযোগ নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে। আপনি ১ ঘণ্টা বেশি পড়া মানে ১ ঘণ্টার পথ এগিয়ে গেলেন সাফল্যের পথে।

ট্যাগঃ বিসিএস কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি pdf, বিসিএস বিজ্ঞান প্রস্তুতি, বিসিএস বিজ্ঞান বই, বিসিএস কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি প্রশ্ন, বিসিএস কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বই, বিসিএস বিজ্ঞান সাজেশন, বিসিএস বিজ্ঞান প্রশ্ন pdf, বিসিএস সাধারণ বিজ্ঞান mcq pdf, বিসিএস এর জন্য বিজ্ঞান, বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি, বিসিএস ইংরেজি প্রস্তুতি বই, বিসিএস গণিত প্রস্তুতি, বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সিলেবাস, বিসিএস বাংলাদেশ বিষয়াবলি, বিসিএস কম্পিউটার প্রশ্ন, Bangla bcs

Related Articles

Back to top button
error: