আপনি কি জানতে চান রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা, শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা, ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম, ত্বকে শসার উপকারিতা, শসা খেলে কি গ্যাস হয়, রাতে শসা খেলে কি হয়, শসা ও খিরার পার্থক্য?
শসার পুষ্টিগুণ লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। ৯৬ ভাগ পানি সমৃদ্ধ এই সবজি কাঁচা এবং রান্না উভয় ভাবেই খাওয়া যায়। দেশি শসা বা খিরাই কাঁচা খেতে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু। রূপচর্চায়, রান্নায়, শরীরের মেদ কমান ও রোগ প্রতিরোধে শসার ভুমিকা অনন্য। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল। তবে পুষ্টি উপাদান বেশি করে পেতে চাইলে শসা খোসা সহ খাওয়া উচিত যার ফলে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ হ্রাস পাবার সম্ভাবনা থাকে না।
শসা সবজি নাকি সালাদ তা নিয়ে রয়েছে অনেক তর্ক বিতর্ক। বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে এর বৈশিষ্ট অনুযায়ী ফলের তালিকাতেই রাখতে হবে তবে রান্নার ক্ষেত্রে এটী সবজি হিসেবেই ব্যাবহার হয়। সবজি অথবা ফল যাই হোক না কেন, এর অসাধারণ গুনাগুনই এর আসল পরিচয়।
পুষ্টিতে ভরপুর এই সবজি সহজেই নিত্যদিনের খাবার হিসেবে খাওয়া যায়। বিভিন্ন খাবারের সাথে সালাদ হিসেবে এই সবজি বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও অনেকে ওজন কমাতে নিয়মিত করে এই সবজি খেয়ে থাকে।
শরীরে পানির চাহিদা মেটায়
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পানি। পানির চাহিদা পুরনের সাথে সাথে শরীর থেকে বিষাক্ত বজ্র পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে শসা। শসা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রচণ্ড গরমে শরীরকে প্রাকৃতিক ভাবে ঠাণ্ডা রাখে।
রোগের ঝুঁকি কমায়
শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা শরীরে মারাত্মক কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। শসা ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়।শসায় প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে যা হার্ট সুস্থ রাখে। শসায় রয়েছে ভিটামিন কে যা হাড় ভাল রাখে। ডায়াবেটিকস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে।
রুপচর্চায় শসা
ত্বকের উজ্জ্বলতায় শসার ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। শসা মিহি করে কেটে মুখে ১০ মিনিট রেখে দিলে রোদে পোরা ভাব কমে ও মুখের কালো দাগ দূর হয়। এছাড়াও চোখের উপর দিয়ে রাখলে চোখের চারিপাশের কালি দূর হয়। ব্যাস্ততার কারনে সময় না পাওয়া গেলে দ্বিতীয় এই পদ্ধিতিটি অনুসরন করা যেতে পারে। শসার রস ফ্রিজে আইস বক্সে রাখলে মাঝে মাঝেই একটি করে আইস কিউব নিয়ে মুখে প্রয়োগ করা যায় যা ত্বককে আরও সজীব করে তোলে এবং সময়ও সাশ্রয় করে।
ওজন কমায়
শসা বেশি করে খেলে খুধার পরিমাণ কমে যায় আবার শরীরে পানির চাহিদাও পুরন হয়। সেক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায় তাই ওজন কমাতে শসার অতুলনীয়। স্থুল ব্যাক্তিদের অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা রাখা উচিত। শসা প্রতিদিন খেলে শরীরের কোন ধরণের ক্ষতি হয় না। এছাড়াও কম ক্যালরি যুক্ত হওয়ায় পুষ্টিতে ভরপুর এই সবজি প্রতিদিন যত ইচ্ছে খাওয়া যায়।

সুন্দর ত্বক পেতে যা করবেন! উজ্জ্বল ত্বকের ১০টি জাদুকরী প্রাকৃতিক উপাদান
ওজন কমাতে আদার শরবত (এক সপ্তাহেই ওজন কমিয়ে ফেলুন)
