আখের গুড় ও খেজুরের গুড়ের মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? আখের গুড়ের পুষ্টিগুণ, আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম, খেজুর গুড়ের উপকারিতা, আখের গুড় চেনার উপায়, আখের গুড়ের শরবত, আখের গুড়ের দাম ২০২৩, গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা, চিনি ও গুড়ের পার্থক্য।
গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গুড় আমাদের জন্য অনেক উপকারি। গুড়ে আয়রন থাকে যা লিভার পরিষ্কার ও পাকস্থলী কে ঠাণ্ডা রাখে আর হজমেও সাহায্য করে তাই গুড় সত্যিই উপকারি। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের গুড় নিষেধ। আর আখের গুড় ডায়রিয়ার রোগীর জন্য বেশি উপকারি।
শীতের সময় খেজুরের গুড়ের পিঠা-পায়েস না হলে হয় না। আখের গুড়ের ব্যবহার তো সারা বছরই আছে। কোন গুড়ের গুণাগুণ কেমন তা আজ জেনে নেয়া যাক-
আখের গুড়
আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আর শর্করা আছে। ডায়রিয়ার রোগীকে আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ানো হয়। কারণ এর শর্করা শরীরের পানিটাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে যাঁদের ওবেসিটি আছে, তাঁদের এই গুড় না খাওয়াই ভালো। ক্যালরি বেশি থাকার ফলে আখের গুড় দ্রুত ওজন বাড়ায়।
খেজুরের গুড়
খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম আছে। যাঁরা রক্তস্বল্পতার ভুগছেন, তাঁরা খেজুরের গুড় খেলে উপকার হবে। হাড় ও বাতের ব্যথা কমাতে খেজুরের গুড় অনেক উপকারী। খেজুরের গুড় শরীরের ভেতর থেকে চুল ও ত্বকের উজ্জ্বল বাড়ায়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে খেজুরের গুড় খাওয়া একেবারেই নিষেধ।
এই গুড়ে থাকে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ, প্রোটিন আর ভিটামিন। তাই এই গুড় নিয়ম করে খেলে শীতকালে কাজের শক্তি বাড়ে, হজমের সমস্যা দূর হয় আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
শীত মৌসুমে অনেকের ঠাণ্ডা লেগে থাকে। তাই নিয়ম করে গুড় খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হবে। তাছাড়া নিয়ম করে গুড় খেলে কমতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা। শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং রক্তসল্পতা দূর করে।