চাকরি প্রস্তুতি

গণিত সিলেবাস এবং প্রস্তুতি গাইডলাইন – বিসিএস প্রিলিমিনারি

গাণিতিক যুক্তি সিলেবাস- বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নিনজা টেকনিক

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় মোট ২০০ মার্কের। ২০০ মার্কের মধ্যে গণিত অংশে ১৫ মার্ক। প্রিলিমিনারি পাশ করতে হলে গণিত অংশে ভালো মার্ক পেতে হবে। আজকে আমরা শেয়ার করবো কিভাবে সহজে গাণিতিক যুক্তি প্রস্তুতি নেয়া যায়।

গাণিতিক যুক্তি বিষয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা

১। ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে সিলেবাস অনুযায়ী টপিক গুলো করে ফেলতে হবে।

২। Khairuls Basic Math

৩। অনুশীলনের জন্য যেকোনো ভালো প্রকাশনীর বিসিএস প্রস্তুতির গাইড বই (যেমন – এমপিথ্রি/প্রফেসর’স/অ্যাসিওরেন্স/ওরাকল)

বিসিএস সিলেবাস: গাণিতিক যুক্তি – মোট নম্বর ১৫

পাটিগণিত (৩ নম্বর)

  • বাস্তবসংখ্যা
  • লসাগু ও গসাগু
  • শতকরা
  • সরল ও যৌগিক মুনাফা
  • অনুপাত ও সমানুপাত
  • লাভ – ক্ষতি

বীজগণিত (৬ নম্বর)

  • বীজগাণিতিক সূত্রাবলী
  • বহুপদী উৎপাদক
  • সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, দ্বিপদী অসমতা, সহসমীকরণ
  • সূচক ও লগারিদম
  • সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা

জ্যামিতি (৩ নম্বর)

  • রেখা ও কোন
  • ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য
  • পিথাগোরাসের উপপাদ্য
  • বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য
  • পরিমিতি- সরলক্ষেত্র ও ঘনবস্তু

বিচ্ছিন্নগণিত (৩ নম্বর)

  • সেট
  • বিন্যাস ও সমাবেশ
  • পরিসংখ্যান
  • সম্ভাব্যতা

বিসিএস প্রিলিমিনারি গাণিতিক যুক্তি প্রস্তুতি

  • গণিতে ভালো উপায় হল বেশি বেশি প্র্যাকটিস। এর জন্য কোনো শর্টকাট সাজেশন নেই। গণিতের বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস (BCS Preliminary Syllabus) বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-
    • পাটিগণিত থেকে ৩ নম্বর,
    • বীজগণিত থেকে ৬ নম্বর,
    • পরিমিতি থেকে ৩ নম্বর,
    • সেট-সম্ভাব্যতা, বিন্যাস ও সমাবেশ থেকে ৩ নম্বর আসে।

এক্ষেত্রে আপনার দুর্বলতা গুলি খুঁজে বের করে যেখানে ফোকাস দেয়া জরুরি সেখানে ফোকাস করুন।

  • অষ্টম, ৯ম, ১০ম শ্রেণির গনিত ভালভাবে সমাধান করুন। অনুশীলনের জন্য যেকোনো ভালো প্রকাশনীর বিসিএস প্রস্তুতির গাইড বই কিনে নিন। এক্ষেত্রে এমপিথ্রি, প্রফেসরস আর আরিফ এর শর্টকাট মেথড দেখতে পারেন।
  • সমাধানগুলো মুখস্ত না করে বুঝার চেষ্টা করুন। প্রিলি পরীক্ষায় ছোট ছোট ম্যাথ বেশি আসে। তাই অনুশীলনের সময় ছোট ম্যাথগুলার উপর গুরুত্ব দিন বেশি।
  • সমাধানগুলো শুধু দেখে যাবেন না, খাতায় লিখবেন। লিখে সমাধান করলে তা মনে গেঁথে যায়।
  • যেহেতু পরীক্ষার হলে আপনি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন না তাই প্রাকটিসের সময় ক্যালকুলেটর ছাড়া ম্যাথ করার চেষ্টা করবেন।
  • পড়ার সময় সূত্রগুলো বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু একটা খাতায় টুকে রাখুন। এর ফলে প্রস্তুতি শেষ হলে আপনার খাতাটি একটি সুন্দর নোটে পরিণত হবে। যা পরীক্ষার আগের দিন একনজরে দেখে নিতে পারবেন।
  • পরীক্ষায় সবশেষে গণিত অংশের উত্তর করলে ভালো হয়। প্রথমেই কোনো গণিতের উত্তর না মিললে আমরা অনেকেই হতাশায় পড়ে যাই। গণিত করতে গিয়ে উত্তর না মিললে তা নিয়েই পড়ে থাকবেন না। পরের প্রশ্নে চলে যাবেন।

আপনি যদি কৌশলী হয়ে বিসিএস প্রিলির জন্য প্রিপারেশন নিতে পারেন, তাহলে ২/৩ মাসের পরিশ্রমেই বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করা সম্ভব। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ভাগ পড়াশুনাতে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ সাফল্য পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, কেউ কাউকে সুযোগ করে দেয় না, সুযোগ নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে। আপনি ১ ঘণ্টা বেশি পড়া মানে ১ ঘণ্টার পথ এগিয়ে গেলেন সাফল্যের পথে।

ট্যাগঃ মানসিক দক্ষতা বিসিএস প্রশ্ন, মানসিক দক্ষতা বিসিএস প্রিলিমিনারি, বিসিএস গণিত প্রশ্ন, বিসিএস মানসিক দক্ষতা প্রস্তুতি, বিসিএস গণিত সিলেবাস, বিসিএস মানসিক দক্ষতা বই, বিসিএস লিখিত গণিত বই pdf, বিসিএস মানসিক দক্ষতা pdf, ৪৪ তম বিসিএস গণিত সমাধান, ৪৪ তম বিসিএস গণিত প্রশ্ন, ৪৪ তম বিসিএস গণিত লিখিত প্রশ্ন, ৪৪ তম বিসিএস লিখিত মানসিক দক্ষতা সমাধান, ৪৪ তম বিসিএস প্রশ্ন pdf, বিসিএস সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ব্যাংক, বিসিএস লিখিত প্রশ্ন ব্যাংক pdf, বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ব্যাংক বই

Related Articles

Back to top button
error: