গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস, ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়, ডায়াবেটিস হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
গর্ভাবস্থায় মহিলারা সাধারণত দুইভাবে ডায়াবেটিসে ভোগেন। প্রথমত গর্ভ সঞ্চারের আগে থেকেই ডায়াবেটিস, দ্বিতীয়ত গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বেশিরভাগ সময় সন্তান জন্মদানের পর সেরে যায়। তবে এমন মায়েদের পরে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকাটাই হল গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যৌন মিলনে কি গর্ভপাত হতে পারে?
গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভপাত হবার কারণ ও গর্ভপাতের উপসর্গ
গর্ভপাত প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন।
গর্ভধারণের আগে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে যা করবেন
গর্ভকালীন সেক্স প্ল্যানিং কেমন হবে?
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
সকালে খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ৬.১ মিলিমোল/লিটার (১১০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা তার চেয়ে বেশী হলে অথবা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে ৭.৮ মিলিমোল/লিটার (১৪০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা তার চেয়ে বেশী হলে তা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হিসেবে সনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় OGTT (Oral Glucose Tolerance Test)।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে খুব কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেননা, ভালোমত নিয়ন্ত্রণ না হলে অনেক সময় বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করে। এজন্য প্রথমেই রোগীকে একটি খাদ্য তালিকা দেয়া হয়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত মায়েদের এমন খাবার দিতে হবে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে ঠিক রাখে। খাবারের পুষ্টিগুণের দিকে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।মাকে নিয়ম করে খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। আর অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে।
এমন খাবার বাছাই করতে হবে যাতে চর্বির পরিমাণ কম ও বেশি আঁশ আছে। শর্করার উত্তম উৎস যেমন- ভাত, দানাদার শস্য, ফলমূল ইত্যাদি গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। গর্ভবতী মায়ে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (যেমন: দুধ, বাদাম), লালশাক, পালংশাক, কচুরশাক, কচুর লতি, মলা-ঢেলা মাছসহ বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
যদি হাঁটতে কোনো সমস্যা না থাকে তবে রোগীকে হাঁটার পরামর্শ দেয়া হয়। অনেকে ভাবেন, গর্ভকালীন সময় হাঁটাহাঁটি করা যায় না। তবে যদি কোনো ধরনের জটিলতা না থাকে, তবে তিনি আধা ঘণ্টা হাঁটতে পারবে।
ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়
ডায়াবেটিস এর সঠিক চিকিৎসা হলে শরীর গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর তাতে যদি না হয়, তখন ইনসুলিন দেয়া হয়। এসময় মাকে মুখে খাওয়ার কোন ওষুধ দেয়া হয়না।যাদের গর্ভধারণের আগে থেকে ডায়াবেটিস আছে এবং যারা মুখে খাওয়ার ঔষধ ব্যবহার করেন; তাদের গর্ভধারণের বোঝার সাথে সাথেই মুখে খাওয়ার ঔষধ বন্ধ করে ইনসুলিন ব্যবহার শুরু করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সব সময় একজন গাইনোকোলজিস্টের ফলোআপে থাকতে হবে। আর গাইনোকোলজিস্ট যদি একা না পারে, তবে যেতে হবে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা ডায়বেটোলজিস্টের কাছে।জন্মের পরপরই এবং প্রতি ১ ঘন্টা পর পর বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ।
কারণ বুকের দুধ বাচ্চার রক্তে গ্লুকোজের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে এবং রক্তে গ্লুকোজ কম থাকার কারণে যেসব সমস্যা হয় তা থেকে বাঁচায়। এছাড়া জন্মের পরে স্তন্যদান করলে মায়ের শারীরিক ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।