শিক্ষা

ড মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী, অ্যাওয়ার্ড নিয়ে চাকরির প্রশ্ন

ড মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী, অ্যাওয়ার্ড, সম্মাননা নিয়ে বিভিন্ন চাকরির প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান MCQ ড ইউনুস এর জীবনী, পুরস্কার, অর্জন, পরিবার, অ্যাওয়ার্ড, সম্পদ, বয়স, মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রদত্ত পুরস্কার ও সম্মাননা। ড মুহাম্মদ ইউনূস সংক্ষিপ্ত জীবনী, ড মুহাম্মদ ইউনূস mcq pdf, ড মুহাম্মদ ইউনূস নিয়ে বিসিএস প্রশ্ন, ড মুহাম্মদ ইউনূস রচনা ১০ লাইন, ড মুহাম্মদ ইউনূস জন্ম, ড মুহাম্মদ ইউনূস জন্ম ও মৃত্যু সাল, ড মুহাম্মদ ইউনূস জীবনী বাংলায়, ড মুহাম্মদ ইউনূস ভূমিকা, ড মুহাম্মদ ইউনূস জীবনী থেকে বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকরির প্রশ্ন, ড মুহাম্মদ ইউনূস জন্ম ও মৃত্যু সাল, ড মুহাম্মদ ইউনূস ভূমিকা, ড মুহাম্মদ ইউনূস জন্মদিন, ড মুহাম্মদ ইউনূস সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf, ড মুহাম্মদ ইউনূস প্রবন্ধের নাম, ড মুহাম্মদ ইউনূস উপন্যাস কয়টি, ড মুহাম্মদ ইউনূস মৃত্যু, ড মুহাম্মদ ইউনূস কর্মজীবন।

ড ইউনুস মামলা, ড.ইউনুস নোবেল, ড ইউনুস কোন দল করেন, ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, ড মুহাম্মদ ইউনুস কত সালে নোবেল পুরস্কার পান, আফরোজী ইউনুস, ড ইউনূস এখন কোথায়

একনজরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস – বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ প্রধান উপদেষ্টা

বর্তমান পজিশান: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা

দায়িত্ব গ্রহন: 8 আগস্ট 2024 সাল থেকে

ব্যক্তিগত তথ্য:

জন্ম: 28 জুন 1940

জন্মস্থান: হাটহাজারী, বাংলা, ব্রিটিশ ভারত

নাগরিকত্বের ইতিহাস: ব্রিটিশ ভারতীয় (1940-1947), পাকিস্তানি (1947-1971), বাংলাদেশি (1971-বর্তমান)

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

বিবাহিত জীবন: ভেরা ফরোস্টেনকো (1970 সালে বিবাহিত; 1979 সালে বিবাহবিচ্ছেদ)

আফরোজি ইউনুস (1983 সালে বিবাহিত)

সন্তান: মনিকা, দীনা

আত্মীয়: মুহাম্মদ ইব্রাহিম (ভাই)

শিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিএ, এমএ ; ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়: পিএইচডি

পেশা: অর্থনীতিবিদ , উদ্যোক্তা

পুরস্কার:

  • অলিম্পিক লরেল: 2020
  • কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল: 2010
  • স্বাধীনতার রাষ্ট্রপতি পদক: 2009
  • নোবেল শান্তি পুরস্কার: 2006
  • স্বাধীনতা পুরস্কার: 1987

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী MCQ – গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভ্যান্ডবিল্ট ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (জিপিইডি) থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলেন। সেখানে অন্য বাঙালিদের সঙ্গে বাংলাদেশ তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশের দারিদ্র্যদূরীকরণে উদ্যোগী হন।

নানা অপবাদ ও মামলার যন্ত্রণায় কেটেছে গত ১৫ বছরনানা অপবাদ ও মামলার যন্ত্রণায় কেটেছে গত ১৫ বছর
পরে দারিদ্র্যদূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণের ধারণাকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেন তিনি। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয় নোবেল পুরস্কারকে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তার নিরলস লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সর্বোচ্চ এই সম্মান পেয়েছেন। এজন্য ২০০৬ সালে তিনি এবং তারই প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এ পুরস্কার ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’, ‘কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল’সহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২৮ জুন তার জন্মদিনকে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিকভাবে ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রঅন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র
এখন পর্যন্ত দারিদ্র্যদূরীকরণে ক্ষুদ্রঋণ বা সামাজিক ব্যবসার এই মডেল পৃথিবীর ৪০টির বেশি দেশে ১৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ধারণ করে চলেছে। এ ছাড়া পৃথিবীর ৮০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তার নামে ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ড. ইউনূসের চিন্তা, কাজ, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও তার জীবনাদর্শ নিয়ে গবেষণা হয়। এখন পর্যন্ত ২৪টি দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ৬০টির মতো সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। ১৩০টির বেশি সম্মাননা পেয়েছেন ৩০টির বেশি দেশ থেকে। কানাডা ও জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ড. ইউনূসের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত কয়েক দশকে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তিসহ ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

ড মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনবৃত্তান্ত:

জন্মঃ ২৮ জুন, ১৯৪০

অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর পরিবার-Family

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর, এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ডঃ আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।

লচ্চিত্র, উপন্যাস, নাটক, গ্রন্থ, প্রবন্ধ, গল্প, গান, প্রামাণ্যচিত্র, ছোট গল্প

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র, উপন্যাস, সাহিত্য থেকে বার বার আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরত্বপুর্ন প্রশ্ন ও উত্তর- মুক্তিযুদ্ধ সাধারণ জ্ঞান

চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকার নাম ও সম্পাদক তালিকা এবং সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম ও উপাধি

চাকরির পরীক্ষায় আসা বিভিন্ন দিবসের তালিকা- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস 

বিসিএস প্রস্তুতির জন্য বাংলা সাহিত্য থেকে কিছু গুরত্বপুর্ন প্রশ্নোত্তর – গুরুত্বপূর্ণ MCQ

বাংলা ভাষা ও সহিত্য থেকে ১০ ম থেকে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার সকল প্রশ্নোত্তর

বিসিএস সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় বার বার আসা গুরুত্বপূর্ণ Phrase and Idioms

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সকল প্রশ্ন ও উত্তর – মেট্রোরেল সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সকল প্রশ্ন ও উত্তর – পদ্মা সেতু সাধারণ জ্ঞান

মানসিক দক্ষতা থেকে গুরত্বপুর্ন বিসিএস প্রশ্ন ও উত্তর (প্রিলিমিনারি ও লিখিত)

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর শিক্ষা জীবন

তাঁর প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর কর্ম জীবন

১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।

ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক “সংহতি দল” পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

Banker to the Poor:Micro-lending and The battle against World Proverty. (১৯৯৮)

Three Farmers of Jobra; Department of Economics, Chittagong University; (১৯৭৪)

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মাননা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল গ্রহণ করেছেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেয়া হলো ইউনূসকে, যিনি এই পদক পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম।

বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্মেলনে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১৩, ৫ মে বুধবার জাতিসংঘ ভবনে এ সম্মাননা জানানো হয়। জাতিসংঘে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তিদের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনূসকে এ ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর অ্যাওয়ার্ড

  1. প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
  2. রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
  3. কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
  4. স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
  5. আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
  6. কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
  7. নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
  8. মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
  9. মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
  10. রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
  11. বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  12. পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  13. ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
  14. ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
  15. ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
  16. আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
  17. ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
  18. আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  19. প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
  20. হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
  21. শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
  22. বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  23. ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
  24. দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
  25. সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
  26. অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
  27. ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  28. জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
  29. রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
  30. গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
  31. রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
  32. রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  33. অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
  34. এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
  35. কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
  36. আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
  37. আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
  38. গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
  39. হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
  40. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
  41. নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
  42. মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
  43. বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
  44. ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
  45. জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
  46. দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
  47. তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
  48. সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
  49. দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  50. ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  51. লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  52. প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
  53. নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
  54. গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
  55. ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
  56. বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
  57. প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
  58. ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
  59. হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  60. গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  61. ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
  62. ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
  63. সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
  64. কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
  65. দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  66. সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  67. গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  68. এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  69. সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  70. বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  71. রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
  72. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  73. ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  74. নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  75. ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  76. বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  77. রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  78. সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  79. ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  80. মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  81. জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  82. প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  83. আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  84. কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  85. চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  86. প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  87. মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  88. বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  89. মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  90. শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  91. এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  92. করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  93. টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  94. বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  95. ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  96. এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  97. এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  98. গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  99. গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  100. প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  101. পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  102. বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  103. সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী থেকে গুরত্বপুর্ন প্রশ্ন ও উত্তর

গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার লাভ করে কত সালে?

ড মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়।

মুহাম্মদ ইউনূস কিভাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন?

1957 সালে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং 1960 সালে বিএ এবং 1961 সালে এমএ সম্পন্ন করেন । স্নাতক পাসের পর অধ্যাপক ড ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ব্যুরোতে যোগ দেন। পরে ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

নয়টি সন্তানের মধ্যে তৃতীয়, ড মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ রাজের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ ) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাপ্তাই সড়কের পাশে বথুয়া গ্রামে ১৯৪০ সালের ২৮ জুন একবাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন নোবেল পুরস্কার পান?

ক্ষুদ্রঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর গ্রামীণ ব্যাংক। অধ্যাপক ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ ধারণার কারণে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতে নেন ২০০৬ সালে।

ক্ষুদ্রঋণের প্রবর্তক কে?

ড মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রায়ই ক্ষুদ্রঋণের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 2006 সালে, তিনি নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। 


Related Articles

Back to top button
error: