স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

নরমাল ডেলিভারির জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলি

অনেক সময় গর্ভবতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারির ইচ্ছা থাকলেও তাদের বাধ্য হয়ে সিজার করতে হয়। নরমাল ডেলিভারি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মায়েরা সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে অনেক সময়য় এই স্বাভাবিক ও সহজ পথ থেকে দূরে সরে যায়। তাই কীভাবে নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি মায়েরা নিতে পারেন তার কিছু নির্দেশনা দেয়া হল-

নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি নিতে মেনে চলুন নির্দেশনাগুলি

১) শরীরের স্বাভাবিক ওজন

নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতির প্রথম শর্তই হলো ওজন স্বাভাবিক রাখা। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চলতে হবে- যাতে শরীরের ওজন (BMI) স্বাভাবিক থাকে। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি হলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা কমে যায় এবং ডেলিভারির সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হতে পারে।

২) প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

যাদের প্রেগনেন্সির পূর্ব থেকেই বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল সমস্যা যেমন- প্রেশার বা ডায়াবেটিস আছে তাদেরকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে মেনে চলতে হবে, যাতে গর্ভাবস্থায় এ সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) সিজারের পরও নরমাল ডেলিভারি করা যায়

যাদের একবার সিজার হয়েছে তারাও পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে পারেন। তবে এটি নির্ভর করবে পূর্ববর্তী সিজার কি কারণে হয়েছিল এবং আরো কিছু ফ্যাক্টর এর উপর।

৪) মাঝারি মানের ব্যায়াম

প্রেগনেন্সির প্রথম থেকেই মায়েদের উচিত নরমাল কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া। কিছু কিছু প্রেগন্যান্ট মায়েরা (প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্রিটার্ম ডেলিভারির হিস্ট্রি ইত্যাদি) ছাড়া অন্য সবাই এসময় হালকা থেকে মাঝারি মানের ব্যায়াম এবং সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ২০মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন। অনেকে পর্ভবতি হলেই ভাবেন এখন তাকে রেস্টে থাকতে হবে। যার ফলে ডায়াবেটিস, প্রেসার, ওজন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন মেডিকেল ডিজঅর্ডার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা কমে যায়।

৫) মানসিকভাবে প্রস্তুত হোন

সব মায়েদেরই মনে রাখতে হবে নরমাল ডেলিভারি একটি কষ্টকর প্রক্রিয়া হলেও মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই এর ভালো দিক রয়েছে। আর ডেলিভারি পেইন সহ্য করার মত মানসিক প্রস্তুতি শুধু মাকে নিলেই হবে না সাথে পরিবারের অন্যান্যদের উৎসাহ এক্ষেত্রে অতি জরুরি।

৬) ডেলিভারি পেইন

ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ বা খাবারের প্রয়োজন নেই। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পরও না হলে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ইন্ডাকশনের (induction) মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানো সম্ভব। এজন্য অনেক টেনশন বা দুশ্চিন্তা না করে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শে থাকবেন।

পরিশেষে যে বিষয় মনে রাখতে হবে, সবরকম মানসিক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে ফোলে নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করলে মা ও বাচ্চা উভয়ের ক্ষতি হতে পারে, এ সময় সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না করাই ভালো। সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করে একটি সুস্থ বাচ্চা আশা রাখা উচিত।

https://bangla.minciter.com/2022/06/05/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%a1%e0%a7%87/

ট্যাগঃ নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায়, নরমাল ডেলিভারি কি করে হয়, নরমাল ডেলিভারির জন্য দোয়া, নরমাল ডেলিভারির সমস্যা, নরমাল ডেলিভারির জন্য ব্যায়াম, নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চার ওজন, নরমাল ডেলিভারির জন্য কি খেতে হবে, সিজার ও নরমাল ডেলিভারি

Related Articles

Back to top button
error: