শিক্ষা

বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রস্তুতি – শুরু হোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

মানবিক থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, Hsc এর পর বিদেশে পড়াশোনা, কম সিজিপিএ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে স্কলারশিপ ২০২৪, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ভিসা তথ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা কেন করব ।

বিদেশে পড়াশোনার খরচ, বিদেশে স্কলারশিপ ২০২৪, সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ভিসা তথ্য, বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রস্তুতি শুরু হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই। প্রস্তুতির এক সময় যেয়ে আপনার মনে হতে পারে যে আপনি এখনও অনেক কিছু জানেন না কিন্তু বাস্তবে আপনি যে কত এগিয়ে গিয়েছেন তা সাফল্যর পরেই উপলব্ধি করতে পারবেন।  তাই হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বন্ধুদের সাথে ইংরেজি ভাষা চর্চা করুন

ইংরেজি ভাষা বেশি জানবার চেয়ে চর্চা অনেক জরুরী। কারন আপনি অনেক কিছু শিখলেন কিন্তু সাহসের অভাবে কিছু বলতে পারলেন না তাহলে তো ফলাফল কিছুই পেলেন না।

যখনই সুযোগ পাবেন বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি ইংরেজি ভাষায় কথা বলবেন। আয়নার সামনে দারিয়ে নিজে নিজে কথা বলবেন ইংরেজিতে। নিজের ইংরেজি ভাষায় কথা বলবার ভিডিও বানাবেন এবং পরবর্তিতে সেটা শুনে ভুল গুলো খুঁজে বের করবেন। বেশি করে ইংরেজি মুভি দেখবেন।

ভোকাবুলারি বৃদ্ধি করুন

ভোকাবুলারি বৃদ্ধি করাটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। কারন ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ না থাকলে কথা বলবার সময় আটকে যাবেন। তাছাড়া পরবর্তিতে জিআরই, আইইএলটিএস, টোফেল ইত্যাদি টেস্টেও ভালো ফলাফল করতে পারবেন।

বিদেশে অবস্থানরত সিনিয়রদের পরামর্শ নিন ও সুসম্পর্ক বজায় রাখুন

এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রস্তুতির একটি গুরত্তপুর্ন অধ্যায়। আপনার পরিচিত অথবা অপরিচিত অর্থাৎ আপনার গন্ডির ভেতরে যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গেছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনার মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সকল প্রশ্ন তাদের জিজ্ঞেস করুন। ভুলে যান যে তাকে আপনি বিরক্ত করছেন।

সৃজনশীল কর্মে নিজেকে যোগ করুন

সৃজনশীল কর্মে যোগদান করলে শুধু আপনার অভিজ্ঞতাই বাড়বে না বরং নিজেকে যোগ্য হিসেবে তুলে ধরবার একটি জায়গা তৈরি হবে।

এই যেমন ধরুন একটা অ্যাপ্লিকেশান করবার সময় আপনাকে অনেক গুলো প্রশ্নের বিশদ উত্তর লিখতে হয় যার প্রধান উদ্দেশ্য হল আপনাকে বারবার প্রশ্ন করে আপনি কেন যোগ্য তা যাচাই করা। এক্ষেত্রে আপনি আপনার উদ্যোগ গুলি ও ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো সেখানে সুন্দর করে তুলে ধরতে পারবেন।

ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট গুলো নিয়মিত চেক করুন

আপনি আপনার পছন্দের দেশ ও সেখানে আপনার বিষয় সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটা তালিকা করে ফেলুন। নিয়মিত করে তাদের স্কলারশিপ অফার গুলো চেক করুন।

তাছাড়া তাদের প্রফেসরদের বর্তমান রিসার্চ ফান্ড আছে কিনা তাও দেখুন।

মক টেস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান যাচাই করুন

আইএলটিএস, জিআরই, টোফেল ইত্যাদির মক টেস্ট দিয়ে পর্যবেক্ষন করুন যে আপনার প্রস্তুতি এখন কোন পর্যায়ে আছে।

চতুর্থ বর্ষ থেকেই অ্যাপ্লাই করা শুরু করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পার হবার আগে থেকেই আপ্লাই করা শুরু করে দিন। কারন আপনি যখন আপ্লাই শুরু করেন তার প্রায় কয়েক মাস পরে যেয়ে আপনি ফিডব্যাক পেতে শুরু করেন। তাছাড়া আপনি আপনার দুর্বলতা ও সমস্যা গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন।

নিজের ভাষায় মটিভেশান লেটার গুলো লিখুন

এই লেটার গুলোতে নিজের সকল সৃজনশীল কাজ গুলো তুলে ধরুন। কপি পেস্ট কখনই করবেন না। দরকার হলে লিখাবার পর লেটার গুলো চেক করিয়ে নিন কোন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির কাছ থেকে।

কারন আপনার শিক্ষা গত যোগ্যতার পাশাপাশি এই মটিভেশান লেটার গুলোর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা গুলি তারা খুঁজে বের করে।

আরও পরুন

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনটি আবশ্যকীয় প্রস্তুতি

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময়, কেবল কাগজপত্র প্রস্তুত করাই নয়, আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আপনার মনে রাখা উচিত। এখানে তিনটি মূল প্রস্তুতির বিষয় উল্লেখ করা হলো:

১. ইংরেজিতে দক্ষতা

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংরেজি টেস্ট যেমন IELTS বা PTE দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। যে কোর্সে আপনি ভর্তি হতে চান, তার ওপর নির্ভর করে ইংরেজি টেস্টে কত স্কোর প্রয়োজন তা জানুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।

  • প্রস্তুতির জন্য সময়: যদি ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা থাকে, তাহলে উন্নতি করতে সময় লাগবে। যদি অন্যদের তিন মাস সময় লাগে, আপনার পাঁচ মাস লাগতে পারে। নিয়মিত চর্চা ও পরিকল্পনা করে প্রস্তুতি শুরু করুন।

২. ব্যাংক ব্যালেন্স

আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স কত দেখাতে হবে তা বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করে যেমনঃ পড়াশোনার শহর, কোর্স, বিশ্ববিদ্যালয় এবং যদি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে যান।

  • ব্যাংক ব্যালেন্স নির্ধারণের বিষয়:
  • শহর: সিডনি ও অ্যাডিলেইডের মতো শহরের মধ্যে জীবনযাত্রার খরচের পার্থক্য রয়েছে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়: শীর্ষ তালিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি হতে পারে।
  • পারিবারিক সদস্য: পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানো হতে পারে।
  • আর্থিক সম্পদ: বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি ব্যাংক ব্যালেন্স হিসেবে দেখানো যায় না। তবে বাবা-মায়ের নামে থাকা সম্পদ ব্যালেন্স হিসেবে দেখানো যেতে পারে।

৩. ড্রাইভিং, রান্না এবং অন্যান্য কাজের দক্ষতা

বিদেশে গিয়ে আপনাকে নিজে অনেক কাজ করতে হবে যা বাংলাদেশে পরিবার বা কর্মচারীদের মাধ্যমে হয়ে আসত।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স: বিদেশে গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটি আপনাকে আরও সুবিধা দিতে পারে যেমন আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি।
  • বাসা পরিচালনা: রান্না, বাজার করা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিন।

এই তিনটি প্রস্তুতির মাধ্যমে, আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকবেন এবং নতুন পরিবেশে সহজেই মানিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হতে পারে। একাডেমিক কৃতিত্ব, আর্থিক সামর্থ্য, এবং ব্যক্তিগত পছন্দসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের জন্য কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. একাডেমিক প্রোগ্রামের সুনাম ও গুণমান

  • বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিং: বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং, সাফল্য, সুনাম ও স্বীকৃতি যাচাই করুন। এতে প্রোগ্রামের গুণমান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
  • গবেষণার প্রভাব: বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও প্রভাব মূল্যায়ন করুন।
  • অনুষদের খ্যাতি: শিক্ষকদের প্রফেশনাল দক্ষতা ও খ্যাতি পর্যবেক্ষণ করুন।
  • শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টি: বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা জানুন।

২. সামগ্রিক খরচ ও আর্থিক সামর্থ্য

  • টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ: বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি, বাসস্থান, খাবার, পরিবহন, স্বাস্থ্য বিমা, বই ইত্যাদির মোট খরচ বিশ্লেষণ করুন।
  • বিনিময় হার ও মুদ্রাস্ফীতি: যে দেশে পড়াশোনার পরিকল্পনা করছেন, সেখানকার বিনিময় হার ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় নিন।
  • আর্থিক সহায়তা: স্কলারশিপ, অনুদান, ঋণ ও অন্যান্য অর্থায়ন পদ্ধতির উপলব্ধতা খুঁজে দেখুন।

৩. অধ্যয়নকালীন ও পরবর্তী কাজের সুযোগ

  • পাঠকোর্স: অধ্যয়নকালীন সময়ে কি ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তা যাচাই করুন।
  • পোস্টগ্র্যাজুয়েট কাজ: পড়াশোনা শেষে কাজের সুযোগ সম্পর্কে ধারণা রাখুন। লিংকডইন, গ্লাসডোর এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করুন।

৪. জীবনযাত্রার মান ও নিরাপত্তা

  • স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ও পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন।
  • জলবায়ু ও সামাজিক পরিবেশ: শহরের জলবায়ু, সামাজিক পরিবেশ, এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিবেচনায় নিন।
  • বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড: বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরের বিনোদনমূলক সুযোগসমূহ সম্পর্কে জেনে নিন।

৫. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সহায়ক পরিষেবা

  • নির্দেশিকা ও সহায়তা: সহজ ভর্তি নির্দেশিকা, ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম, একাডেমিক কাউন্সেলিং, ভাষা সহায়তা, ক্যারিয়ার পরিষেবা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব আল্যামনাই নেটওয়ার্কের মতো পরিষেবার প্রাপ্যতা মূল্যায়ন করুন।

৬. ব্যক্তিগত পছন্দ

  • জলবায়ু ও সংস্কৃতি: নতুন দেশের আবহাওয়া ও সংস্কৃতি আপনার জন্য উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করুন।
  • খাবার ও নিরাপত্তা: সেখানকার খাবার ও রান্নার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষমতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জানুন।
  • ভ্রমণ সুযোগ: নতুন দেশে ভ্রমণ ও অবকাশযাপনের সুযোগ আছে কি না, তা বিবেচনায় নিন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের সময় এই বিষয়গুলো আপনাকে সহায়তা করবে, এবং আপনার শিক্ষার অভিজ্ঞতাকে আরও সফল ও সন্তোষজনক করবে।

উচ্চশিক্ষা

কম সিজিপিএ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা, Hsc এর পর বিদেশে পড়াশোনা, বিদেশে পড়াশোনার খরচ, বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ভিসা তথ্য, বিদেশে স্কলারশিপ ২০২৩, সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা

Related Articles

Back to top button
error: