ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র, স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৩, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
ব্যাংক একাউন্ট এখন প্রায় অপরিহার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের প্রতি দিনের অনেক প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। আপনার জমানো টাকার নিরাপদ স্থান হতে পারে ব্যাংক। এছাড়া আমরা দূরে কাছে টাকা-পয়সার লেনদেন করি এই ব্যাংকের মাধ্যমেই। তাই ব্যাংক একাউন্ট না থাকার মানে হল আপনি অন্যদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন। তাই, ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে তাড়াতাড়ি একটি একাউন্ট খুলে নেওয়া বেশ জরুরী।
মুসলিম মেয়ে শিশুর অর্থসহ সুন্দর ইসলামিক নাম
বাংলাদেশের সকল ব্যাংক এর তালিকা ২০২৪ – প্রয়োজনীয় তথ্য সহ
অনেকেরই ধারণা করে যে ব্যাংক একাউন্ট খোলার মতো ঝামেলার কাজ বোধহয় আর একটিও নেই। এই ঝামেলার সামনাসামনি না হবার জন্য অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান না। সত্যি বলতে কী, ব্যাংক একাউন্ট খোলা কিন্তু মোটেও একটা ঝামেলার কাজ না। এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানা না থাকার কারণেই আমরা নিজেদের মাঝে একটি অমূলক ধারণা সৃষ্টি করেছি। সাধারণত, খুব সহজেই একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে ফেলা যায়। ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সবারই জানা থাকা প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেই ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম-
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024
প্রথমেই আপনার ঠিক করা করতে হবে যে, কোন ব্যাংকে আপনি একাউন্ট খুলবেন? সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো ব্যাংকেই আপনি খুব সহজে একাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন। আর যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে জানা থাকে তবে তো কথাই নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৪৭টি ব্যাংক আছে। আর এ ব্যাংক গুলোকে তফসিলী ব্যাংক বলা হয়। জেনে রাখা ভালো, গ্রামীণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক বা কো-অপারেটিভ ব্যাংক ইত্যাদি নামের প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু অবশ্যই তফসিলী ব্যাংক নয়! তাই আপনি এসব ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন না।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল, কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি ২০২৪, বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ব্যাংক, বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাংক, কোন ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ না, ব্যাংকে টাকা রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায় ইত্যাদি?
কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল?
আপনি কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন তা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে আপনি যে বিষয় গুলি বিবেচনায় রাখতে পারেন তা হল ব্যাংকের শাখা থেকে আপনার বাসা কিংবা কর্মস্থলের দূরত্ব, অনলাইন সুযোগ সুবিধা, কার্ড সুবিধা, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাখার কেমন বিস্তৃতি, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন কবে ইত্যাদি। তাছাড়া ব্যাংক চার্জ, ইন্টারেস্ট ও সার্ভিস কোয়ালিটির দিকেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার আপনি যদি সুদমুক্ত ব্যাংক একাউন্ট করতে চান, সেক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের নিয়মনীতিগুলো ভালো ভাবে পড়ে, বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইসলামি ব্যাংকগুলোতেও বেশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুদ সংশ্লিষ্ট থাকে, তাই এসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল।
অনলাইনে যেসব ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়
বর্তমানে বেশ অনেক ব্যাংকে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা আছে। আস্তে আস্তে প্রায় সব ব্যাংক এমন ব্যাবস্থা রেখেছে তবে বর্তমানে আপনি যে সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনলাইনে করতে পারবেন তা হলো:
- সোনালী ব্যাংক (Sonali Bank)
- এনসিবিসি ব্যাংক
- ইউসিবি (UCB Bank)
- আইএফআইসি ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
- ন্যাশনাল ব্যাংক (National Bank)
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক (BRAC BANK)
- ইউনিয়ন ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক (CITY Bank)
- রূপালী ব্যাংক
ব্যাংক একাউন্ট ফরম
বাংলাদেশে সাধারণত দুই রকমের ব্যাংক একাউন্ট ফরম পাওয়া যায়:
১। ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম: এটি মূলত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হবে এমন ব্যাংক একাউন্ট ফরম। যে একাউন্টের শিরোনাম। এই ধরনের ফর্মের মাধ্যমে সাধারণত এক বা একাধিক ব্যক্তির নামে একাউন্ট খোলা যাবে।
২। প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্ট ফর্ম: এই ধরনের ফর্মে ব্যাংক একাউন্টের শিরোনাম সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে হয়। এ একাউন্ট গুলো সাধারণত অব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হিসেবে গণ্য হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম, স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলার ফরম পূরণ, বাংলাদেশ ফরম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, dutch-bangla bank account opening online, যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র, সোনালী ব্যাংক গৃহ নির্মাণ ঋণ ২০২৩, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম।
ব্যাংক একাউন্টের নানান ধরন
নানান ব্যাংকে নানান রকমের একাউন্ট রয়েছে। ব্যাংক ভেদে এই নিয়মের কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে, তবে সাধারণ কাঠামো প্রায় সব ব্যাংকেই এক।
১। চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট:
সাধারণত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জন্য কারেন্ট একাউন্ট সবচেয়ে উপযোগী। এটি সাধারণ চাকরিজীবী বা ছাত্রদের জন্য এটি নয়। কারেন্ট একাউন্ট থেকে দিনে আপনি যত বার খুশি তত বার টাকাপয়সা লেনদেন করতে পারবেন। যেকোনো সময় টাকা তুলতে এবং জমা করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো সুদ প্রদান করা হয় না, বরং বছর শেষে আপনি কিছু পরিমাণ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিবেন।
২। সঞ্চয়ী হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট:
যে কেউ এ ধরনের একাউন্ট খুলে তবে সপ্তাহে একবার বা দুইবার টাকা তোলা যাবে এবং জমা রাখা যাবে। জমাকৃত টাকার উপর সে বার্ষিক ৪% থেকে ৬% হারে সুদ প্রদান করবে। যাদের নিয়মিত টাকা লেনদেনের প্রয়োজন হয় না, তাদের জন্য এই একাউন্ট।
সুতরাং লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে কারেন্ট একাউন্ট খুলতে হবে। আর অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল-কলেজগুলো কারেন্ট বা সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারে।
৩। ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) একাউন্ট:
আমাদের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা মাথায় রেখে যেমন বাচ্চার পড়াশুনা, জমি কেনা ইত্যাদি ভেবে অনেক সময় টাকা সঞ্চয় করতে হয়। তাই প্রতি মাসে খরচ বাদ দিয়ে আমাদের যতটুকু বাকি থাকে, তা আমাদের সঞ্চয় করে রাখা দরকার। আর এখন যা অবস্থা তাতে টাকা ঘরে রাখলে সেটার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থাকবে। তাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে আপনি টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। ডিপিএস একাউন্ট মূলত এ উদ্দেশ্যেই করা হয়। যে কোনো ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে চাইলে নিয়মিত টাকা জমা রাখা যায়।
যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এক্ষেত্রে, তাকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা জমা রাখতে হয়। ব্যাংক ভেদে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাসিক কিস্তির পরিমাণ ভিন্নতা হয়। তবে সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তি ব্যাংকে দেয়া যায়। এ ধরনের ব্যাংক একাউন্ট ৫ বছর, ১০ বছর বা ২০ বছর মেয়াদী হয়।
৪। এফডিআর (ফিক্স ডিপোজিট রিসিট) একাউন্ট:
ফিক্স ডিপোজিট রিসিট বা এফডিআর হল একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকে জমা রাখা। আর এই টাকার সুদ আপনি মাসিক, পাক্ষিক, অর্ধবার্ষিক কিংবা বার্ষিক হিসেবে ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন। এই একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে একটি বড় অংকের টাকা জমা রাখতে হয়। সাধারণত ২৫ হাজার টাকার কমে একমন এফডিআর একাউন্ট করা যায় না।
তবে আপনি চাইলে এফডিআর প্রয়োজনের সময় ভেঙে ফেলতে পারবেন, আর এই এফডিআর একাউন্টের পরিবর্তে ঋণও নিতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কাগজপত্র ও তথ্যের ভিন্নতা আছে। কিন্তু সাধারণত প্রায় সব ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কিছু কমন কাগজপত্রের অবশ্যই দরকার পড়ে। চলুন জেনে নেই, একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।
প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কিছু কমন ডকুমেন্টস লাগবেই, যা না থাকলে আপনি যেকোনো একাউন্ট সফলভাবে খুলতে পারবেন না।
পূরণকৃত ফর্ম
আপনার পছন্দের শাখা থেকে প্রথমে একাউন্ট খোলার ফর্ম সংগ্রহ করুন। আপনি চাইলে অনলাইন থেকেও ব্যাংকের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
স্পেসিমেন সিগনেচার কার্ড
অনেক ব্যাংক এটি একাউন্ট খোলার ফর্মের সাথে দিয়ে থাকে। এতে ব্যাংক অফিসারের সামনে আপনি বা একাউন্ট হোল্ডার স্বাক্ষর করবেন।
পরিচয়দানকারী
এক্ষেত্রে সাধারণত যে ব্যাংকের একাউন্ট খুলবেন তার কোন গ্রাহক পরিচয়দানকারী হবেন। আর কারেন্ট একাউন্ট খুলতে হলে কেবল অন্য কোনো কারেন্ট একাউন্ট হোল্ডার গ্রাহক পরিচয়দানকারী হবেন। পরিচয়দানকারী একাউন্ট ফর্মের নির্ধরিত স্থানে তার নমুনা স্বাক্ষর, নাম, ঠিকানা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ইত্যাদি লিখবেন। আর তিনি একাউন্ট খোলার দিন উপস্থিত না থাকলে চলবে।
নমিনী
ব্যক্তিগত একাউন্ট এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন একজন নমিনীর পরিচয় দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্ট এর ক্ষেত্রে নমিনী দেয়া লাগে না। আর নমিনীর স্বাক্ষর প্রয়োজন না হলেও তার নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে হবে। সাথে নমিনীর যেকোন একটি পরিচয়পত্র দিলে আরও ভালো হয়।
নাগরিকত্ব
আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন তবে আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন আর তাই বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে।
পরিচয় পত্র
যিনি একাউন্ট তৈরি করবেন তার পরিচয় প্রমাণের জন্য সনদ দরকার । এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হল জাতীয় পরিচয়পত্র। এই পরিচয়পত্রের না থাকলে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সনদ, চাকরি পরিচয়পত্র, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ইত্যাদি থেকে যেকোনো দুইটি দিতে হবে।
পাসপোর্ট ছবি
একাউন্ট হোল্ডার বা যার নামে একাউন্ট তৈরি হবে তার সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে আনতে হবে। এছাড়া নমিনির সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে আনতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স
আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন আর ব্যবসার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট চালু করতে চান, তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্সের দরকার পড়বে। আয়ের সকল তথ্য আপনাকে একাউন্ট করার সময় উল্লেখ্য করতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
আপনাকে নির্ধরিত জমা স্লিপ পূরণ করে টাকা জমা দিতে হবে। সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবের জন্য সাধারণত ব্যাংক ভেদে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা লাগতে পারে। ডিপিএস একাউন্ট এর জন্য কিস্তি সমপরিমাণ ও এফডিআর একাউন্ট এর জন্য এফডিআর সমপরিমাণ টাকা লাগবে।
প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট খোলার জন্য অতিরিক্ত যা যা লাগবে
যেকোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। অতিরিক্ত যা যা লাগবে তা হল-
১। প্রত্যেক একাউন্ট পরিচালনাকারীর নাম-পদবীসহ সিল।
২। ট্রেড লাইসেন্স।
৩। প্রতিষ্ঠানটি একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান না হলে রেজ্যুলেশন লাগবে যেখানে থাকে নির্দিষ্ট ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় একাউন্ট খোলা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ও একাউন্টটি কে পরিচালনা করবে তার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত। রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর করবেন পর্ষদ/ বোর্ড/ গভর্নিং বডির সদস্যরা।
এই কাগজপত্র ছাড়াও মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানান কাগজপত্র ও তথ্যাবলির প্রয়োজন পড়তে পারে। যেমন – পার্টনারশিপ ফর্ম, সমিতির গঠনতন্ত্র ও রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদনপত্র, এনজিও ব্যুরোর লাইসেন্স, সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট অব বিজনেস, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি।
যে বিষয় গুলো মনে রাখতে হবে
- সাথে সংযুক্ত সকল কাগজের মূল কপি রাখবেন।
- একাউন্ট খোলার সময় ও প্রথম বার যখন চেক বই উঠাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই নিজে যেতে হবে।
- আপনার বর্তমান ঠিকানায় ব্যাংক থেকে কিছু দিন এর মধ্যে চিঠি আসতে পারে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
- চেক বই এর জন্য ওই দিনই নিধারিত ফর্মে আবেদন করবেন।
- জমা স্লিপ ও হিসাব নাম্বার ভালো ভাবে সংরক্ষণ করুন।
- ব্যাংকের ডাটাবেজে আপনি চেক করুন যে আপনার নামের বানান সঠিকভাবে আছে কিনা ।
- ডেবিট কার্ড নেয়ার জন্য আলাদাভাবে যদি আবেদনের প্রয়োজন থাকে তবে তা খেয়াল করে নিন।
সবশেষে
আমাদের আজকের ব্লগ আর্টিকেল ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র, স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, মোবাইল দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪, ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? তা দেয়া হয়েছে। আপনাদের কাছে এই আর্টিকেল কেমন লাগলো তা জানাবেন? ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এর বিস্তারিত এই পোষ্টটি আপনি পড়ে থাকলে আপনার অবশ্যই উপকারে আসবে তাই আশা করছি।
আপনাদের সুবিধার্তে কষ্ট করে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024 বা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? পোষ্ট করেছি। আপনি যদি আমাদের এই নিবন্ধিত পোষ্ট টি পুরো পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024 জেনে যাবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মত এমন সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পড়তে এই ব্লগ টি পড়ুন নিয়মিত। আর আপনাদের ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। সেই সাথে আমাদের এই মিনসাইটার সাইট কে বুকমার্ক করে রাখবেন, এর ফলে আপনি আমাদের সকল ধরনের এর প্রয়োজনীয় সকল আর্টিকেল গুলো আমাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।
FAQ
মোবাইল দিয়ে কি ব্যাংক একাউন্ট খোলা যাবে?
অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ব্যালেন্স ও স্টেটমেন্ট দেখা পর্জন্ত, দেশে-বিদেশে টাকা পাঠানো সহ অনেক কাজ এখন ঘরে বসেই যে কেউ মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়।৩
কত বছর বয়স থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়?
বেশিরভাগ দেশে ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হয়। তবে কয়েকটি দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সর্বনিম্ন বয়স হল ১৬ বছর । বাংলাদেশে সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে গ্রাহকের বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
ব্যাংক একাউন্টে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যাবে?
যে কোন ব্যাংকে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১০০ টাকা পর্জন্ত রাখা হয়। ৫০০ টাকা সাধারণত গ্রাহকের একাউন্টে সব সময় থাকে। যা উঠানো যায় না।