মহানগর প্রভাতী / গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, বিরতির স্থান ও অনলাইন টিকিট। মহানগর প্রভাতী, Mohanagar Godhuli. মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া,মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সময়সূচী কুমিল্লা, মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সময়সূচী আখাউড়া, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, মহানগর গোধূলি ট্রেনের কোড, মহানগর প্রভাতী ট্রেনের টিকেট, মহানগর এক্সপ্রেস বিরতির স্থান।
মহানগর প্রভাতি ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, টিকিট 2024
মহানগর প্রভাতী / গোধূলী এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৩/৭০৪) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন। এই ট্রেন চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা জেলার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে থাকে।
এই ট্রেনটি মহানগর গোধূলী নামে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং মহানগর প্রভাতী নামে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যায়। ট্রেনটি এর যাত্রাপথে ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে সংযুক্ত করে। চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে এই ট্রেনের পাশাপাশি আরও চলাচল করে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস,ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। ট্রেনটির বেজ হল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন।
আজ আমরা এই পোস্টে জানব মহানগর প্রভাতী বা গোধুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটির ভাড়ার তালিকা, সময়সূচী, বিরতির স্থান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, টিকিট কাটার স্থান সহ বিস্তারিত সকল তথ্য। এর ফলে আপনি খুব সহজেই মহানগর প্রভাতী বা গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা সহ বিস্তারিত জানতে পারেন। বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে দেয়া তথ্যগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এক নজরে মহানগর প্রভাতী / গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথ
যাত্রা শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
---|---|
যাত্রা বিরতি | ৮টি |
যাত্রা শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ পথের দূরত্ব | ৩৪৬ কিলোমিটার (২১৫ মাইল) |
যাত্রার সময় | ৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭০৩/৭০৪ |
ব্যবহৃত লাইন | আখাউড়া-লাকসাম-চট্টগ্রাম টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া |
মহানগর প্রভাতি ট্রেনের সময়সূচী (মহানগর প্রভাতী – Mohanagar Godhuli)
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নির্ধারিত মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন সময়সূচী বিস্তারিত। এই ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে বিকাল 3 টায় ছাড়ে আর পৌঁছায় 21:15। অন্যদিকে কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামে সাড়ে 7 টা 45 মিনিটে এবং পৌঁছান 14:50।
মহানগর প্রভাতী ট্রেনের বিরতি স্থান
এই মহানগর প্রভাতী / গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবার সময় কিছু স্থানে বিরতি প্রদান করে থাকে। নিচে থেকে বিরতি স্থান গুলো দেখে নিন-
- ফেনী জংশন
- গুণবতী
- লাকসাম জংশন
- কুমিল্লা
- আখাউড়া জংশন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভৈরব বাজার জংশন
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ভাড়ার তালিকা বা টিকিটের মূল্য
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর প্রভাতী ট্রেনের টিকিটের মূল্য।
মহানগর প্রভাতী ট্রেনের বেশ কয়েকটি আসন সংখ্যা রয়েছে এবং প্রতিটি আসনের জন্য টিকিটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন। আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আসন নির্বাচন করে টিকিট ক্রয় করতে হবে। নিচে থেকে জেনে নিন প্রতিটি আসনের নাম এবং ভাড়ার তালিকা –
- বার্থ এসি – ৭৫৬ টাকা (প্রতি আসন)
- বার্থ প্রথম শ্রেণী – ৪৫৫ টাকা (প্রতি আসন)
- স্নিগ্ধা ২য় শ্রেণী – ৩৪৫ টাকা (প্রতি আসন)
- শোভন চেয়ার ২য় শ্রেণী – ১৫০ টাকা (প্রতি আসন)
- শোভন ২য় শ্রেণী – ১২৫ টাকা (প্রতি আসন)
- তিন থেকে বার বছরের বাচ্চাদের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিকিট ক্রয় করা বাধ্যতামূলক।
মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যোগাযোগ নাম্বার ও ঠিকানা
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নিচে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন এর ঠিকানা রয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন
- ফোন নম্বর: +৮৮-০২-৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২
- মোবাইল নম্বর: +৮৮-০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
- ফোন নম্বর: +৮৮-০২-৮৯২৪২৩৯
- ওয়েবসাইট: railway.gov.bd
খাওয়ার ব্যবস্থা
এই মহানগর প্রভাতী, Mohanagar Godhuli আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে। তাই ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীরা সহজে খেতে পারে। যে সকল খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল – বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার ইত্যাদি। এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন।
কুলি চার্জ
লাগেজের পরিমাণ | চার্জ (টাকা) |
অনধিক ২৮ কেজি (১টি ব্যাগ) | ১৫/- |
অনধিক ২৮ কেজি (২টি ব্যাগ) | ২০/- |
অনধিক ৩৭ কেজি (১টি ব্যাগ) | ২০/- |
অনধিক ৩৭ কেজি (২টি ব্যাগ) | ২৫/- |
অনধিক ৫৬ কেজি (১টি ব্যাগ) | ৩০/- |
অনধিক ৫৬ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৬৫/- |
ট্রলি যাত্রী দ্বারা ব্যবহৃত | ১৫/- |
ট্রলি কুলি দ্বারা ব্যবহৃত | ২০/- |
হুইল চেয়ার যাত্রী দ্বারা ব্যবহৃত | ১০/- |
হুইল চেয়ার কুলি দ্বারা ব্যবহৃত | ২০/- |
ট্রেনের টিকিট কাটার স্থান
ট্রেনে ভ্রমণ করতে টিকেট প্রয়োজন, আর এই মহানগর প্রভাতী, Mohanagar Godhuli ট্রেনের টিকেট কেনার প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে সম্ভব হয়েছে। আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ঢাকা বা চট্রগ্রাম বা কুমিল্লা বা যে-কোনো গন্তব্যের ট্রেন টিকেট কিনতে পারেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের ই-সেবা ওয়েবসাইট (Esheba) ও রেল সেবা (Rail Sheba) মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এখন সহজে ট্রেনের টিকেট বুকিং করবার সুবিধা চালু করেছে।
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে আপনি টিকিট কাটতে পারবেন
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনি টিকিট বুক করতে পারবেন।
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, আপনাকে তা যাত্রার ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে।
মহানগর প্রভাতী, Mohanagar Godhuli ট্রেনের বগি সংখ্যা
- এই ট্রেনটিতে মোট বগি আছে ১৬টি.
- একটি খাবার বগি রয়েছে
- একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে
- ট্রেনটিতে খাবারের বগির মধ্যে নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে
- ট্রেনের মাঝামাঝি জায়গায় খাবারের বগিটি রয়েছে
মহানগর প্রভাতী ট্রেনের অন্যান্য সুবিধা
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের ব্যবস্থা আছে
- প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব তিনি পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার আছে। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হযবে। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা আছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
মালামাল পরিবহন
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
FAQ
বিমানবন্দর স্টেশন কি খোলা? সেখান থেকে কি ওঠা যাবে?
হ্যা, খোলা এবং সেখান থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন। ট্রেনের নির্ধারিত সকল স্টপেজেই ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
অনলাইন টিকিট কি কাউন্টার হতে প্রিন্ট করতে হবে কিনা?
আপনি অনলাইন টিকিটের মেইল কপি প্রিন্ট করেই ভ্রমন করতে পারবেন।
অনলাইন টিকিট কি ফেরত দেয়া যাবে?
এই অনলাইন টিকিট ফেরত দেয়া যাবেনা। তাই ভেবেচিন্তে টিকিট ক্রয় করুন।