রথার কিছুদিন আগে আকাশের শূন্যের মাঝে কিছু স্থাপনা দেখে এসেছিল। রথার এমন স্থাপনা হঠাথ দেখেই অবাক হয়ে যায়। কয়েকদিন আগেও রথার এখানে ঘুরতে এসেছিল কিন্তু এমন কিছুই তার চোখে পরে নাই। বিষয়টি নিয়ে সে খুবই চিন্তিত হয়ে পরে। সে প্রায়ই ঘুরতে যায় শূন্যে। সেখানকার নীরবতা, তুলোর মত মেঘগুলো আর নীলের ছড়াছড়ি তাকে নতুন ভাবে ভাবতে শেখায়। যখনই সে চিন্তায় পরে তখনই এখানে চলে আসে। তারপর আবার ফিরে যায় তার নীড়ে। সে বাস করে স্টকহোমের এক শহরে। তার এই উড়তে পারার ক্ষমতা তার কাছের মানুষ ছাড়া সকলের কাছেই অজানা। সে একজন নামকরা বিজ্ঞানী। মহাকাশ সম্পর্কে তার বেশ কিছু লেখা বই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তবে তার সাম্প্রতিক একটি বই তুমুল আলোচনার সম্মুখীন হয়। বইটিতে সে এক তৃতীয় শক্তির কথা উল্লেখ করে যা সকলের কাছেই ভিত্তিহীন বলে মনে হয়। এই শক্তির উপস্থিতির অনেক ব্যাখ্যাই রথার উপস্থাপন করে কিন্তু কোনটাই কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। রথার এই বিষয়ে কোন ভাবেই মাথা ঘামাতে রাজী নয়। এবং তার লেখনী যে সত্য হতে যাচ্ছে সেই বিষয় নিয়ে সে চিন্তিত। এমনটা ঘটলে তো পৃথিবী বিনাশ হয়ে যাবে।
মেগান এর সাথে রথারের শত্রুতা অনেক পুরনো। রথারের আর বুঝতে বাকি নেই যে মেগানই তার সাথে এমন শত্রুতা করছে। সে সিদ্ধান্ত নেয় মেগানের সাথে যোগাযোগ করবার কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে যায় সেই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। হঠাথই শূন্য থেকে ভেঙ্গে পরে এক স্থাপনা। শূন্যের মাঝে সৃষ্টি হয় এক ভয়ংকর দৃশ্য। শূন্যের ভেতর থেকে পৃথিবীতে প্রবেশ করতে থাকে কালো পুরু পীচের মত লাভা যা ঢেকে দিতে থাকে ধরণির বুক ধীরে ধীরে। সকলেই তার নিজ নিজ প্রান বাঁচানোর জন্য ছুটছে আর ছুটছে। ম্রিথা আর তার পরিবার একসাথে ছুটছে এক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। পথেই তারা দেখতে পাই নিলাভ রঙের এক বিশাল বৃত্ত যার আকার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এই বৃত্তের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু সাদা রঙের ছোট ছোট মাছ আকৃতির পদার্থ। ম্রিথা এই সুন্দর দৃশ্য দেখে হঠাথই থেমে যায়। ম্রিথার একমাত্র ভাই হল পার্ল। পার্ল ম্রিথার হাত ধরে টানতে থাকে আর বলে, “আমাদের দৌড়াতে হবে ম্রিথা। লাভা গুলো এদিকে এগিয়ে আসছে। চল, সময় নষ্ট করো না।” তারা আবার দৌড়াতে থাকে এভাবে তারা অনেক দূর এগিয়ে যায়। বেশ দূরে যেয়ে সবাই পেছনে তাকিয়ে দেখে নীল রঙের বৃত্ত গুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আর লাভা গুলো পাহাড়ের মত উঁচু আকৃতির রূপ নিচ্ছে। পার্ল আর ম্রিথার সাথে তাদের বাবাও ছিল। তারা তিনজন সেখানে একটা ঘরে আশ্রয় নেয়। তারা জানে যে এখানে তারা বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। তারপরও কিছু শক্তি সঞ্চয়ের জন্য এখানে তারা আশ্রয় নেয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ক্লান্তিতে সকলের ঘুম চলে আসে।
কিছু সময় পরে প্রচণ্ড শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা পাশে তাকিয়ে দেখে ম্রিথা ঘরে নেই। তারা ঘরের বাহিরে যেয়ে দেখে নীল রঙের বৃত্তাকার গুলি প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে। পার্ল ম্রিথাকে ফোন এ চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু ম্রিথার ফোন ধরে অন্য কেউ। ওদিক থেকে সে বলে- “আর একটুর জন্য সে বেঁচে গেছে তবে বেশ আঘাত পেয়েছে। আমাদের এখনই এখান থেকে পালাতে হবে। এখন ফোন রাখছি।” পার্ল মনে সান্ত্বনা পায় তবে সে ম্রিথার সাথে কথা বলতে পারলে হয়ত বেশি শান্তি পেত।
রথার মেগানের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। মেগান খুবই খুশি হয় রথারকে দেখে।
মেগানঃ এই সময়ের অপেক্ষায়ই আমি ছিলাম। তোমার খবর চলছে সকল চ্যানেলে তা কি দেখেছ রথার?
রথারঃ তোমার শত্রুতা আমার সাথে তবে কেন তুমি নিরীহ প্রানের সাথে খেলছ?
মেগানঃ কারন ওরা আমায় বিশ্বাস করে না।
রথারঃ ওরা তো এখনও তোমাকে বিশ্বাস করবে না।
মেগানঃ ওদের আমার দরকার নেই। আমি নিজেই আমার নতুন পৃথিবী তৈরি করব।
রথারঃ তুমি বোঝার চেষ্টা কর। এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে আমরা কেউই বেঁচে থাকব না।
মেগানঃ আমার শক্তি সম্পর্কে তোমার কোনই ধারনা নেই।
রথারঃ ঠিক আছে দেখা যাক শক্তির পরিক্ষায় কে জয়ী হয়।
রথার ঐ স্থান ত্যাগ করে। সে উড়ে চলে যায় সেই উৎপত্তি স্থলে। সেখানে সে এক বিপরীত মুখী চাপ সৃষ্টি করে যা লাভার উপস্থিতি বন্ধ করে দেয়। মেগান খুবই রেগে যায় এ ব্যাপারে। সে শূন্য থেকে সকল লাভার মুখ খুলে দেয় আরও বড় আকারে। রথার একা কিভাবে সামলাবে তা বুঝে উঠতে পারে না। সে তার সমস্ত শক্তি ব্যায় করবার চেষ্টা করে বিপরীত মুখী বল প্রয়োগ করে। তার সাথেই হঠাথ ই যোগ হয় ম্রিথা আর পলিন। রথার খুবই অবাক হয়। তাদের তিন জনের একীভূত শক্তি হার মানায় মেগানকে।
লেখক- সুরাইয়া ইয়াসমিন
ভূতের সিনেমা বাংলা, ভূত 2003, ভুতের মুভি জিন্দা লাশ, যেখানে ভূতের ভয়, ভুতের ছবি ২০২১, ভূতের ভবিষ্যৎ, ভুতের ছবি দেখাও, ভয়ানক ভুতের ছবি, ভূতের ছবি ২০১৯, ভুতের ছবি ২০২১, ভুতের পিকচার হিন্দি, ভুতের ফটো ডাউনলোড, ভয়ংকর ছবি, হরর মুভি লিস্ট, ভূতের সিনেমা বাংলা, ভুতের ছবি কার্টুন
আরও পরুন-
সুন্দর ত্বক পেতে যা করবেন! উজ্জ্বল ত্বকের ১০টি জাদুকরী প্রাকৃতিক উপাদান
ওজন কমাতে আদার শরবত (এক সপ্তাহেই ওজন কমিয়ে ফেলুন)
ওজন কমাতে কৌশলগত হউন! যা ডায়েটের তুলনায় সহজ!
মুখের ব্রন ও বড় ছিদ্র থেকে বাসায় বসে পরিত্রাণ পান
৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে যা অবশ্যই মনে রাখবেন
গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর যত উপকারিতা
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া টিপস!
ত্বকে বয়সের ছাপ বা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার কারন গুলি জেনে নিন!
অনিদ্রা দূর করার জন্য ৬ টি পরামর্শ
স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ১১টি প্রধান কারণ
শিশুদের কি টিকা দিতে হয়, শিশুর টিকা কখন দিতে হয়, রোগের নাম, টিকার নাম..