শিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্র স্কলারশিপ- ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ করছে!

যুক্তরাষ্ট্র স্কলারশিপ- ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার আনন্দের সাথে ২০২১ সালের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রাম’র আওতায় অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিচ্ছে (শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২০২২)। এই অনুদান মূলত ছয় থেকে নয় মাস মেয়াদী গবেষণা অনুদান যা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে। এর আওতায় এক থেকে দুই ষাণ্মাসিক মেয়াদী শিক্ষকতা অনুদানও রয়েছে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাংলাদেশী পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারী ও বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত গবেষকদেরকে (১০ বছর বা ততোধিক সময়ের পেশাগত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন) গবেষণা বা শিক্ষকতা কাজ পরিচালনার জন্য ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রাম’র আওতায় অনুদান দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, দূরশিক্ষণ, শিক্ষা প্রযুক্তি, জনস্বাস্থ্য, জীববিজ্ঞান ও ফার্মাসি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা সম্পর্কিত সকল শাখার বিস্তৃত বিষয়ে আমরা প্রস্তাবনা আহ্বান করছি।

সকল শাখায় প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রম উন্নয়ন সম্পর্কিত চাহিদা নিরূপণ ও গবেষণা পরিচালনা, মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক বা প্রশিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রম বা শিক্ষা উপকরণ প্রণয়ন ও/বা মূল্যায়নে আগ্রহী শিক্ষকদের জন্য তিন-মাস ব্যাপী কিছু স্বল্পমেয়াদী অনুদানও প্রদান করা হবে।  ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রাম’র উদ্দেশ্য হলো উচ্চতর ডিগ্রি (পিএইচডি) বা সমমানের পেশাগত ডিগ্রিসম্পন্ন, গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং নিজ নিজ বিশেষায়িত ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনা ও/বা শিক্ষকতার প্রস্তাবনা পেশকারী শিক্ষকদেরকে অনুদান প্রদান। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পেশাগতভাবে কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা থাকতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ই জানুয়ারী, শুক্রবার, ২০২১, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪:৩০ মিনিট

ফুলব্রাইট প্রোগ্রামটি প্রতিযোগিতামূলক এবং উন্নত ডিগ্রি (পিএইচডি), বা সমমানের পেশাদার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্কলারদের জন্য, যারা গবেষণা পরিচালনা এবং / বা তাদের বিশেষত্ব শেখানোর প্রস্তাব করেন  আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় সেটিংয়ে। পেশাদারভাবে দক্ষতার জন্য প্রার্থীদের ইংরেজী ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।

এই ফেলোশিপ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য। আবেদনকালে সম্ভাবনাময় আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অভিবাসন বা নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন অথবা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অভিবাসন পেতে যাচ্ছেন এমন আবেদনকারীরা এই অনুদানের জন্য যোগ্য হবেন না। অনুদানের স্বল্পতার কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোন অনুদানপ্রাপ্ত অথবা বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যয়ন সম্পন্নকারীদের জন্য সিনিয়র ফুলব্রাইট অনুদানের আবেদনের জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করা আবশ্যক। পূর্বে ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার অনুদানপ্রাপ্ত আবেদনকারীকে অত্যন্ত বিরল কোন প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয়বারের জন্য এই অনুদান দেয়া যেতে পারে।

ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের অনুদান সুবিধার মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় ব্যয়, বৃত্তি ও অনুদানগ্রহিতার বাংলাদেশ/ যুক্তরাষ্ট্র/ বাংলাদেশ বিমানের টিকিট সম্পর্কিত ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুদানের সময়কালের ন্যূনতম ৮০% সময় অনুদানগ্রহিতার সাথে অতিবাহিত করবেন এমন নির্ভরশীল ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু একজনের জন্য একটি মাসিক ভাতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই অনুদানের মধ্যে। অনুদানগ্রহিতা নয় মাসের অনুদান পেলে তাঁর সাথে ন্যূনতম ৮০% সময় অতিবাহিত করবেন এমন একজন নির্ভরশীল ব্যক্তি একটি বিমান টিকেট পাওয়ার জন্য যোগ্য হতে পারেন। গবেষণা বা শিক্ষকতা কার্যক্রম শেষে অবশ্যই প্রার্থীকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। এই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার পর সকল অনুদানগ্রহিতার জন্য আমেরিকান সেন্টারে সাক্ষাৎ প্রদান  লিখিতভাবে নিজ নিজ গবেষণা ফলাফল পেশ করা আবশ্যক।

শিক্ষকতা অনুদান প্রার্থীদের অবশ্যই শিক্ষকতার ব্যাপক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিদেশে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাকে বাড়তি যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা করা হবে। ফুলব্রাইট অনুদানের জন্য বিবেচিত হতে অবশ্যই জীবনবৃত্তান্ত ও শিক্ষকতার জন্য আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত চূড়ান্ত আমন্ত্রণপত্রসহ কোর্সের পাঠ্যক্রম পেশ করতে হবে।

স্বল্পমেয়াদী অনুদানের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্র না পেয়ে থাকলে প্রার্থীদেরকে তাঁরা যে ধরনের প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী সে ধরনের প্রকল্পের জন্য যথাযথ সুযোগ-সুবিধা আছে এমন তিনটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করার জন্য জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। আবেদনপত্রে পছন্দের ক্রমানুসারে কাঙ্ক্ষিত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এবং পছন্দের যথাযথ যুক্তি উল্লেখ করতে হবে।

সম্ভাবনাময় আবেদনকারীদেরকে অবশ্যই অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন সম্পর্কিত সকল নথিপত্রও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমে ইলেকট্রনিকভাবে আপলোড করতে হবে। আবশ্যকীয় নথিপত্রের তালিকা নিম্নরূপ:

ক। তিনটি সুপারিশপত্র (সুপারিশপত্র বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আবেদনের নির্দেশনাগুলো পড়ুন)

খ।  আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত চূড়ান্ত আমন্ত্রণপত্র

গ।  যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সাথে পত্রালাপসমূহ, যদি থাকে

ঘ।  জীবনবৃত্তান্ত

ঙ।  প্রার্থীর ও তাঁর সাথে গমনেচ্ছু নির্ভরশীল সকলের পাসপোর্টের কপি

অনলাইন আবেদন ফরম https://apply.iie.org/fvsp2021 লিঙ্কে পাওয়া যাবে। আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে একটি লগ-ইন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশাবলী এখানে পাওয়া যাবে: https://bd.usembassy.gov/2021-fulbright-program-announcement/ আবেদন ফরম সম্পূর্ণ করার আগে আবেদনকারীকে অবশ্যই সকল নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। পেশকৃত প্রস্তাবনাগুলো অবশ্যই বিস্তারিত ও যথাযথভাবে লিখিত হতে হবে এবং এর সাথে গবেষণা পরিকল্পনার রূপরেখা জমা দিতে হবে যা অনুদানের ব্যাপ্তিকালে সম্পন্ন করা যাবে। কার্যক্রমটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং এর বাছাই কমিটি লিখিত প্রস্তাবনার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

অনলাইন আবেদন এবং আবশ্যকীয় অন্যান্য সকল নথিপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২১শুক্রবার। প্রস্তাবনাগুলো পর্যালোচনার পর সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদেরকে ঢাকাস্থ আমেরিকান সেন্টারে সাক্ষাৎকারের জন্য আহ্বান জানানো হবে।

আরো তথ্যের জন্য আমেরিকান সেন্টার’র সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মিজ রায়হানা সুলতানা’র ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করুন: SultanaR1@state.gov

Related Articles

Back to top button
error: