অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব, নাকের সর্দি কমানোর উপায়, জ্বর সর্দি কাশি ঔষধের নাম, সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না, কাশি হলে কি ফল খাওয়া যাবে না, নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট, নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায়, কাশি হলে কি ঔষধ খাব
সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায়, সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত, সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায়, জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম, এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, সর্দি থেকে মুক্তির উপায় ঔষধ।
খুব অল্প কারণেই ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই মানুষের সর্দি জ্বর ভালও হয়ে যায় তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত সময়ে সর্দি জ্বর ভাল করা সম্ভব।
জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
ঘুম বা বিশ্রাম নেয়া
ঘুম মানুষের যে কোন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের সময় বেশি বিশ্রাম নিলে বা ঘুমালে দ্রুত সর্দি জ্বর থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।
ভিটামিন সি
ঠান্ডা বা সর্দি জ্বর থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল ভিটামিন সি। ঠান্ডার সমস্যায় তাই বেশিবেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
উষ্ণ পরিবেশে থাকা
সর্দি জ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকলে বা মোটা পোশাক পড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা
প্রচুর পরিমাণ পানি বা ফলের রস পান করলে পানিশূন্যতা রোধ হয় যা ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়।
পেঁয়াজ ও রসুন
এছাড়া খাবারে পেঁয়াজ ও রসুন থাকলেও ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়। পেঁয়াজ ও রসুনে একধরণের তেল থাকে যা এই ধরনের সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
গলার যত্ন নিন
ঠান্ডার খুব সাধারণ উপসর্গ হল গলা ব্যাথা। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে বা লেবু এবং মধু দিয়ে হালকা গরম পানি তৈরি করে পান করলে গলা ব্যাথায় আরাম পাওয়া যায়।
ভিটামিন এ
মিষ্টি আলু, বিটের মূল, কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণ বেটা-ক্যারোটিন থাকে যাকে আমাদের দেহ ভিটামিন এ’তে রূপান্তরিত করে। ভিটামিন এ নাক এবং ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। কমলা, আম, তরমুজসহ লাল জাতীয় ফল একই রকম কাজ করে।
ভিটামিন ডি
সূর্যের আলো বা অন্য কোনো উৎসের মাধ্যমে ভিটামিন ডি গ্রহণ করেও শরীরকে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম, ঠান্ডা জ্বরের ঔষধ নাম, সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত, ঠান্ডা জ্বরের লক্ষণ, অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব, নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট, সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম, সর্দি থেকে মুক্তির উপায় ঔষধ
জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সর্দি-কাশির সমস্যায় উপকারী কিছু ঘরোয়া খাবার ও পানীয় রয়েছে, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি উল্লেখ করেছেন যে, এই সময় সঠিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ করলে সর্দি কাশির সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
জ্বর সর্দি কাশিতে উপকারী ঘরোয়া খাবার:
সরিষা ও কালোজিরা:
- সরিষা তেল দিয়ে তৈরি আলু, টমেটো বা কালোজিরার ভর্তা সর্দি-কাশি উপশমে কার্যকর।
- এছাড়া সরিষা শাক ও সরিষা ভর্তা ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ খাবার:
- মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি আলুর তৈরি খাবার সর্দি-কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে।
- কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, এবং অন্যান্য টক জাতীয় ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রসুন:
- রসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। মুড়ির সঙ্গে বা অন্যান্য খাবারে রসুন ব্যবহার করা সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
তুলসি পাতা:
- তুলসির পাতা সরাসরি খেলে বা চা হিসেবে পান করলে সর্দি-কাশি কমে যায়। বাচ্চাদের জন্যও এটি বেশ কার্যকর।
মুরগির মাংস ও ডিম দিয়ে তৈরি স্যুপ:
- সবজির সঙ্গে মুরগির মাংস বা ডিম দিয়ে তৈরি স্যুপ ইমিউনিটি বাড়ায় এবং সর্দি-কাশি দূর করতে সহায়ক।
উপকারী ঘরোয়া পানীয়:
আদা পানি বা আদা চা:
- সর্দি-কাশির সমস্যায় আদা চা খুব উপকারী। এটি কফ এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
লেবু ও মধু মিশ্রিত কুসুম গরম পানি:
- ঠান্ডা লাগা কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেবু ও মধুর মিশ্রণ খুবই কার্যকর।
মশলা চা ও পুদিনা পাতা:
- মশলা চায়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা ও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পরামর্শ:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে কুসুম গরম পানি পান করতে হবে।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং ধুলোবালির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই ঘরোয়া খাবার ও পানীয় নিয়মিত গ্রহণ করলে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ, শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, জ্বর সর্দি কমানোর ঘরোয়া উপায়, ভাইরাস জ্বর কমানোর উপায়, বাচ্চার জ্বর কমানোর উপায়, জ্বর কমানোর খাবার, জ্বর কমানোর দোয়া
জ্বর হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং দুর্বলতা বাড়ে। জ্বর কমাতে এবং দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় কার্যকর হতে পারে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিচে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও পরামর্শ দেয়া হলো, যা জ্বরের সময় আপনাকে সহায়তা করতে পারে:
১. পানিপট্টি দেওয়া
- পদ্ধতি: জ্বর বেশি হলে মাথায় ও কপালে পানিপট্টি দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এক টুকরা কাপড় ভিজিয়ে কপালে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পর তা পরিবর্তন করে আবার ব্যবহার করুন। এটি জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
২. তুলসী পাতার পানি
- পদ্ধতি: কিছু তুলসী পাতা গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে পান করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন সকালে পান করলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
৩. মধু ও লেবুর মিশ্রণ
- পদ্ধতি: এক চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি শরীরে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দ্রুত জ্বর থেকে সেরে উঠতে সাহায্য করে।
৪. আদা ও মধুর মিশ্রণ
- পদ্ধতি: এক কাপ গরম পানিতে আদা বাটা ও মধু মিশিয়ে পান করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এই মিশ্রণ পান করলে জ্বর ও সর্দি-কাশির উপশম হয়। এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে আরও ভালো ফল পেতে পারেন।
৫. রসুন পানি
- পদ্ধতি: এক কোয়া রসুন কুচি করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি ঠান্ডা হলে সেটি পান করুন। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ শরীরকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং দ্রুত জ্বর কমায়।
৬. কুসুম গরম পানিতে গোসল
- পদ্ধতি: জ্বর ১০০ ডিগ্রির নিচে নামলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে স্বস্তি দেয়।
৭. তরল খাবার খাওয়া
- পদ্ধতি: জ্বরের সময় শরীর দ্রুত ডি-হাইড্রেট হয়, তাই প্রচুর পানি, ফলের রস এবং হারবাল চা পান করতে হবে। এতে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ হয়।
৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম
- পদ্ধতি: যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
৯. স্পঞ্জ করা
- পদ্ধতি: গোসল করতে অসুবিধা হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে কাপড় ভিজিয়ে শরীরের যেখানে তাপমাত্রা বেশি, সেখানে স্পঞ্জ করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে স্বস্তি দেয়।
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে জ্বর দ্রুত উপশম হতে পারে। তবে যদি জ্বর বেশি দিন স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।