খাদ্য আমাদের কাজ করতে শক্তির যোগান দেয়, শরীরে কোষের বিকাশ ঘটায়, সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে, হজমের ভারসাম্য বজায় রাখে, এক কথায় আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সকল কাজই চালাতে সাহায্য করে।
আমরা খাবারের জন্য বেঁচে আছি আর নিয়মিত অক্লান্ত পরিশ্রম করছি এই খাবারের জন্যই। খাবারের ধরন এক এক দেশে এক এক রকম এবং ব্যক্তি ভেদেও ভিন্ন ভিন্ন। কিছু খাবার আপনাকে দীর্ঘ সময় বাঁচতে সাহায্য করতে করে আবার কিছু খাবার আপনাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় আর কিছু আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য নিয়মিত প্রয়োজন হয়।
আসলে খাদ্যের আভ্যন্তরীণ পুষ্টিই আমাদের শরীরের সকল চাহিদা পূরণ করে। খাবারের এই পুষ্টির চাহিদা সকল মানুষের ক্ষেত্রেই একই তবে বয়স ভেদে কিছুটা ভিন্ন। যদি সুস্বাদু খাদ্য আপনার সামনে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত যত ডায়েট এর মধ্যেই থাকেন না কেন বা আপনার শরীর যেমন অবস্থার মধ্যেই থাকুক না কেন সেই খাবারের স্বাদ নিতে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই কঠিন। যদি আমাদের পুরো জীবনটি চারটি পর্যায়ে বিভক্ত হয় যেমন শৈশবকাল, উঠতি, মধ্যকাল এবং বয়স্ক তবে সেখানে ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য গ্রহনের বাধ্যবাধকতা থাকে। কিন্তু জীবনের পুরো পর্যায়ে একটি সাধারণ নিয়ম হল সুষম খাদ্য গ্রহণ করা কারণ অষম খাদ্য গ্রহণে আপনার শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখতে শক্তি সমৃদ্ধ এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার অপরিহার্য।
এক এক দেশের প্রধান খাদ্য এক এক রকম এবং আমাদের দৈনিক খাবারের একটি বড় অংশ জুড়েই এই খাদ্য গুলি থাকে। আমাদের দেশের প্রধান খাদ্যগুলি যেমন চাল, গম, ডাল এসব খাদ্যে উচ্চ পরিমাণে শক্তি থাকে এছাড়াও অল্প পরিমানে প্রোটিন রয়েছে কিন্তু তা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। এই প্রধান খাদ্যের সঙ্গে সম্পূরক খাবার গ্রহণ করা উচিত যেমন ডাল, প্রানিজ খাদ্য, শাকসবজি ইত্যাদি যা শরীরের বহুবিধ ভিটামিন এবং পুষ্টির চাহিদা পুরন করে।
আপনি হয়ত ওজন কমানোর জন্য বা অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য খাদ্য কম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আপনি সবসময় মনে রাখবেন যে ডায়েটিং মানেই সম্পূর্ণরূপে চর্বি, তৈলাক্ত এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা নয়। এই খাবারগুলি প্রচুর শক্তি সরবরাহ করে তাই আপনার নিয়মিত ডায়েট সত্ত্বেও আপনার শরীরকে সক্রিয় করতে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।