দৈনন্দিন জীবন

কঠিন বিপদে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়তে হয়

কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন সমস্যা বা বিপদের সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, এমন অনেক দোয়াই পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

কঠিন বিপদে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়তে হয়

দোয়া ১

আসমা বিনতে উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দেব না, যা তুমি বিপদের সময় পাঠ করবে? আর তিনি এই দোয়াটি বলেন।

উচ্চারণ : আল্লাহু আল্লাহু রব্বি লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।

অর্থ : আল্লাহ! আল্লাহ! আমার রব! তাঁর সঙ্গে আমি কাউকে শরিক করি না।

(আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৫)

https://bangla.minciter.com/2021/12/08/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%82%e0%a6%b8-%e0%a6%a1/

দোয়া ২

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’

অর্থ: ‘আল্লাহর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’

(তিরমিজি ও আবু দাউদ)

দোয়া ৩

বিপদের সময় মহানবী (সা.) দোয়াগুলো উম্মতদেরও পাঠ করতে বলেছেন,

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ (দোয়া ইউনূস)

অর্থ, ‘একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী।’

(তিরমিজি: ৩৫০০)

দোয়া ৪

হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে যেন এই দোয়া পাঠ করে, তখন আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদ দূর করে দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে, তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।

উচ্চারণ : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।

দোয়া ৫

রাসুলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় পাঠ করতেন-

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি-ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’

অর্থ, ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমণ্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু।’

(সহিহ্ বুখারি ও মুসলিম)

দোয়া ৬

হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) যখন কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করতেন তখন বলতেন,

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম।

অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’

(আবু দাউদ ও নাসাই)

নবী করিম (সা.) বলেছেন, সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া হলো ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’। আরও পড়তে পারেন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।

আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করার আগে প্রথমে দরুদ পড়া এবং দরুদ পড়ে দোয়া শেষ করা। কেননা আল্লাহ উভয় দরুদ কবুল করেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো

ট্যাগঃ ৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া, কোন সময় কোন দোয়া পড়তে হয়, বিপদ থেকে মুক্তির উপায়, সমস্যা থেকে মুক্তির দোয়া, বিপদের দোয়া ইউনুস, বিপদ থেকে মুক্তির সুরা, মামলা থেকে মুক্তির দোয়া, মুসিবতের দোয়া

তারাবির নামাজ: পড়ার নিয়ম, নিয়ত, বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত

রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ও নিয়ম

Related Articles

Back to top button
error: