দৈনন্দিন জীবন

ফরজ নামাজের পর যে আমলে খুলে যাবে জান্নাতের দরজা

ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত হাদিস, ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার দলিল, আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ হাদিস, ওযুর পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত, ফরজ নামাজের পর নবীজির আমল, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর, আয়াতুল কুরসি ৩৩ বার পড়ার ফজিলত, সদকায়ে জারিয়া সম্পর্কিত হাদিস, ফরজ নামাজের পর কোরআনের যে আয়াত পড়লে জান্নাতের নিশ্চয়তা, যে ৬ ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন, জান্নাত লাভের সহজ আট আমল, জান্নাত লাভের সহজ আমল।

পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটি হল ‘আয়াতুল কুরসি’। আয়াত অর্থ হল চিহ্ন বা নিদর্শন। আর কুরসি শব্দের অর্থ চেয়ার বা আসন। আয়াতে ব্যবহৃত কুরসি শব্দ থেকে এই আয়াতটির নামকরণ করা হয়েছে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ, কিসের লক্ষণ ? করণীয় কি?

হাদিসে জান্নাত লাভে প্রতি ফরজ নামাজের পর এই আয়াতটি ‘আয়াতুল কুরসি’ পড়ার কথা এসেছে।

আয়াতুল কুরসি হলো : 

 اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইউল কাইয়ুম, লা তাখুজুহু সিনাতুন ওয়ালা নাওম, লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি, মান জাল্লাাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লাহ বিইজনিহি, ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ, ওয়াসিআ কুরসিইউহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, ওয়ালা ইয়াইউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিইউল আজিম। ’

আয়াতুল কুরসির অর্থ হল: ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।

তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিন্দ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তাঁরই। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না।

তাঁর ‘কুরসি’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৫)

ইসলামিক ফেসবুক পেজের নাম 2024 – আনকমন সুন্দর পেজের নাম

আয়াতুল কুরসি পাঠের একাধিক উপকারের কথা এসেছে হাদিসে

১. আয়াতুল কুরসি হল কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত : 

উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ একদিন আবুল মুনজিরকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আবুল মুনজির! আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আবুল মুনজির বলেন যে, এ বিষয়ে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সর্বাধিক অবগত আছেন। রাসুল (সা.) আবার বলেন, হে আবুল মুনজির! আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম যে, আয়াতুল কুরসি (আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ)। এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের ওপর হাত রেখে বলেন যে, হে আবুল মুনজির! তোমার জ্ঞানকে স্বাগতম। (মুসলিম, হাদিস : ১৭৭০; আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৬০)

২. মৃত্যুর পর জান্নাত : 

আবু উমামা আল বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেছেন যে, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যুর ছাড়া আর কোনো রকম বাধা থাকবে না। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৯৯২৮)

৩. সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত : 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, প্রতিটি জিনিসের একটি চূড়া থাকে। কোরআনের চূড়া হল সুরা বাকারা। তাতে এমন একটি আয়াত আছে, যা হল কোরআনের অন্য আয়াতের ‘নেতা’। আর সেটা হলো আয়াতুল কুরসি। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩১১৯)

Related Articles

Back to top button
error: