১০ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ, ২ বছরের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ৮ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ৭ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ৬ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ৫ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, বাচ্চা খেতে না চাইলে দোয়া।
বাচ্চা খেতে চায় না! অনেক মায়েরই খুবই কমন একটা অভিযোগ।অনেক কারণে শিশুদের রুচি কমে যেতে পারে এবং মা-বাবার উৎকণ্ঠাও বাড়তে থাকে।আবার বহু অভিভাবক শিশুর পেছনে খাবারের থালা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন।শিশু কেন খেতে চায় না? কী করলে আমার বাচ্চা ঠিকমতো খাবে? আমি কিভাবে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারি?
মায়েদের অবশ্যই ধৈর্য্যশীল হতে হবে। তাদের সন্ন্তানের সামনে হাসি খুশি থাকতি হবে। কারণ একজন সন্তানের ব্যাক্তিত্ব গড়ে উঠে পরিবার থেকেই। আপনি যদি আপনার সন্তানকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তবে সেও জোর করবে না খাবার জন্য। আপনাকে অবশ্যই বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে।
বাচ্চা খেতে না চাইলে যা করবেন! বাচ্চা খেতে চায় না কেন ?
আসুন জেনে নেই কিছু কৌশল-
সন্তান যে টুকু খেতে চায় ততুটুকই খেতে দিন– সবসমই যে খেতে ইচ্ছে করবে এমনটা ভাবা উচিত নয়। নানান কারণে আপনার সন্তান খেতে না চাইতে পারে। তাই জোর না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। বাচ্চা যা খেতে পছন্দ করে এবং যেভাবে খেতে পছন্দ করে তাকে সেভাবেই খাওয়ান।
নিদ্রিষ্ট সময়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করুন– সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য একটি নিদ্রিষ্ট রুটিন অনুসরণ করলে আপনার সন্তানও সেই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। যখন-তখন খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খাবার টেবিল ও চেয়ারে খাবারের অভ্যাস করুন – খাবার টেবিলে খাওয়ানোর অভ্যাস তাদেরকে একটি নিদ্রিষ্ট স্থানে বসে খাবার জন্য উৎসাহিত করবে।
বাবা মায়েরা খাবার সময় নিজের খাবার থেকে তার মুখে খাবার ধরুন– আপনি খাবার সময় আপনার খাবার থেকে একটি ছোট টুকরা বাচ্চার মুখে ধরুন যা তাকে নতুন খাবার চিনতে সাহায্য করবে।
খেতে না চাইলে তাকে খেলতে দিন এবং খাওয়ানোর চেষ্টা করুন– খেলতে খেলতে যদি খেতে না চায় তাহলে বুঝবেন তার ক্ষিধে নেই অথবা শরীর ভালো লাগছে না অথবা তার খাবারটি পছন্দ হচ্ছে না। তাই তার একঘিয়েমি দূর করতে খেলতে খেলতে খাওয়াতে পারেন।
অতিরিক্ত খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন– অতিরিক্ত খাবার ফলে খারাপ লাগা তৈরী হতে পারে যা পরবর্তীতে খাবারের উপর অনীহা তৈরী করতে পারে।
নতুন নতুন এবং মজার খাবার তাদের সামনে পরিবেশন করুন– এর ফলে আপনার সন্তানা খাবারের প্রতি আগ্রহ খুঁজে পাবে।
বাচ্চাকে নিজের হাত দিয়ে খেতে সাহায্য করুন– নিজের হাত দিয়ে খাবারের অভ্যাস তাদের রুচি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাচ্চার পছন্দের খাবার বোঝার চেষ্টা করুন– বাচ্চার খেতে না চাইলে তাকে তার পছন্দের খাবার খেতে দিন যা তার অনীহা দূর করতে সাহায্য করবে।
কখনই ধমক দিয়ে নয় বরং হাসি মুখে বাচ্চাকে খাবার খেতে বলুন– বাচ্চার সাথে কোন অবস্থাতেই খারাপ ব্যাবহার করবেন না। তাকে হাসি মুখে খেতে দিন। আপনি রেগে থাকলে নিজের মুড ভালো করবার জন্য বাচ্চাকে কাছের কারো কাছে রেখে কিছু সময় নিজের জন্য ব্যায় করুন।
খেতে না চাইলে কিছুক্ষন পর আবার খেতে দিন– খেতে না চাইলে কিছুক্ষন পর আবার চেষ্টা করুন।
খাবার খেতে জোর করা থেকে বিরত থাকুন– খাবার খেতে জোর করলে খাবারের প্রতি বাচ্চার অনীহা ও ভীতি তৈরী হবে তাই কখনোই খাবার নিয়ে জোর করবেন না।
বাইরের খাবার খেতে অনুৎসাহী করবেন না- বাইরের খাবার যে খেতে দেবেন না তা নয়। যখন আপনার সন্তান পরিবারের সবার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাবে তখন তাকে আপনাদের সাথে বাহিরের খাবার খেতে দিন।
খাবারের মধ্যে বিরতি রাখুন– বাচ্চাদের খাবারের মাঝে বিরতি রাখুন আর বিরতির এই সময়ে যদি অন্য কোনো খাবার না খায় তবে তার ক্ষুধা লাগবে।
বাচ্চা একদমই কিছু খেতে না চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন– আপনি সব কিছু চেষ্টা করেও যদি বাচ্চাকে না খাওয়া তে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে যা অবশ্যই মনে রাখবেন
গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে
ট্যাগঃ ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার রুচির ঔষধ, বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়, ২ বছরের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, ৫ মাসের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়, বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন, শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়, শিশুদের খেতে না চাওয়ার কারণ কি, ১ বছরের বাচ্চা খেতে না চাইলে করনীয়