দৈনন্দিন জীবন

বিপদ বা অশান্তিতে থাকলে এই আমলে মুক্তি মিলবে

৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া, কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়, আকস্মিক বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া, বিপদ থেকে মুক্তির নামাজ, বিপদের সময় যে দোয়াটি পাঠ করলে স্বয়ং আল্লাহ তায়া লা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া বাংলা, বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া আরবিতে, বিপদে পড়লে কি করতে হয়।

বিপদ বা অশান্তিতে থাকলে যে আমলে মুক্তি মিলবে। মানুষের জীবনে নানা ধরনের বিপদ – আপদ এসে পড়ে। বড় সমস্যা ও বিপদ মুমিনের জন্য যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা এবং অবাধ্যদের জন্য আজাবের কারণও বটে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদে পরলে সব মানুষের জন্য তিনটি আমল করার ব্যাপারে নসিহত পেশ করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি উপকার লাভে দান-সাদকা, তাওবাহ-ইসতেগফার ও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ খুবই জরুরি।যদি কেউ এ আমলগুলো যথাযথভাবে করে তবে মহান আল্লাহ ওই বিপদ থেকে তার বান্দাকে হেফাজত করেন।

সাধ্যানুযায়ী সাদকা বা দান করা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘তোমরা সাদকা কর। আর সাদকা দ্বারা রোগীর রোগ চিকিৎসা কর। কেননা, সাদকা রোগ এবং বালা-মুসিবত দূর করে এবং আয়ু (হায়াত) ও নেকি বাড়িয়ে দেয়।’ (বায়হাকি)

নামাজ

সঠিক পদ্ধতিতে ইসতেগফার করা

কুরআন-সুন্নাহ সম্মত উপায়ে আল্লাহর কাছে নিজের গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বেশি বেশি ‘রাব্বিগফিরলি (رَبِّىْ اغْفِرْلِىْ)’, ‘আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি (اَسْتَغْفِرُ الله وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ)’ পড়তে হবে।

হদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি সব সময় ইসতেগফার করতে থাকে, আল্লাহ তাআলা তাকে সংকট থেকে মুক্তির পথ বের করে দেন। যাবতীয় দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি ও প্রশান্তি দান করেন আর তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করেন।’ (আবু দাউদ)

কেননা গোনাহ, নিঃসঙ্গতা, অশান্তি ও একাকীত্ব দূর করতে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে ও বেশি বেশি ইসতেগফার, নামাজ ও কুরআন পড়তে হবে।

বেশি বেশি দরূদ পড়া

বিপদ-বালা মুসিবতে সঠিকভাবে দরূদ পড়া উত্তম আমল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়া জরুরি।

সংক্ষেপে-
اَللَّهُمَّ صَلِّى وَ سَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّد
‘আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবি নবিজীকে বললেন- ‘আমার পুরো দোয়াই আপনার প্রতি দরূদের জন্য নির্ধারিত করে দেব।’
তখন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তাহলে তোমার (সব) ইচ্ছা/অভিপ্রায় (চাওয়া-পাওয়া) পূরণের জন্য এটাই যথেষ্ট হবে আর তোমার গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)

তাই সকল মুসলমানের উচিত, এই তিনটি আমল যথাযথভাবে আদায় করা। এঁটে করে মানুষের বিপদ-মুসিবত, রোগ-ব্যধি, দুঃশ্চিন্তা-হতাশা-একাকীত্ব ও অশান্তি দূর হয়ে যাবে।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম, ফজিলত, দোয়া ও আমল

Related Articles

Back to top button
error: