কৃষি

৪০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা

রোগ সারাতে বাড়িতে রাখুন এই সকল ঔষধি গাছ, ডাক্তারের কাছে বেশি যেতে হবে না।

বাড়িতে গাছ লাগানোর শখ অনেকের মাঝেই আছে। ঔষধি গাছ বহু বছর ধরে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেষজ চিকিৎসায় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা আসে । এই সব বৈশিষ্ট্যের কারণে বাড়িতে ঔষধি গাছ রোপণ খুবই ভালো উদ্যোগ। আর স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারি।

বর্তমনে ঔষধি গাছের (Medicinal Plant) এর চাহিদা বেশ বাড়ছে | বাড়িতে ছাদের টবে ও বাগানে অ্যালোভেরা, তুলসি, বাসক-সহ বিভিন্ন রকম ঔষধি গাছ লাগাতে পারেন। আয়ুর্বেদিক চিকিত্‍সা হতে পারে তাই ঘরে বসেই। আপনি জানেন কি- গাছ, গাছড়ার শিকড়,বা পাতাতেও অসুখ ভালো হয় ম্যাজিকের মতো। এখানে ৪০টি ঔষধি গাছের নাম ও তাদের উপকারিতা দেয়া হয়েছে ছবি সহ।

ঔষধি গাছের নামের তালিকা, বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা, 10 টি ঔষধি গাছের নাম, কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ, পাইলস এর ঔষধি গাছ, বিভিন্ন গাছের নাম ও ছবি, লিভারের ঔষধি গাছ, ঔষধি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম

৪০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা

রোজমেরি

বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সুগন্ধি ও ঔষধি গাছের একটি হলো রোজমেরি।

উপকারিতাঃ অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয় রোজমেরি। স্মৃতি উন্নয়নে সহায়ক, সজ্ঞান সতর্ক ভাব রাখতে সহায়ক। রোজমেরি চা চাপ উপশম করে, হ্রাস করে বিষণ্নতা। ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচায়, ব্রণও সারায়। রোজমেরি তেল রক্তসংবহন বাড়ায়, রক্তনালি করে প্রসারিত ও রক্ত করে উষ্ণ, রক্ত সহজে পৌঁছে আঙুলেও।

লেমন বাম

মিন্ট পরিবারের গুল্ম, এতে আছে রোজমেরিনিক অ্যাসিড, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী।

উপকারিতাঃ স্নায়ু আরাম করে চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। পলিকেনলসমৃদ্ধ, লেমন বামে আছে ঠান্ডা ক্ষততে ভূমিকা। চা হিসেবেও পানীয়।

চ্যামোমিলে

নরম আরাম দেওয়ার গুণের জন্য এটি পরিচিত, এর শুষ্ক ফুলে আছে টার্পেনডেস ও ফ্লাডোনয়েডস—এগুলো একে দেয় ঔষধি গুণ

উপকারিতাঃ এর প্রদাহরোধী গুণাগুণের জন্য চ্যামোমিলে তরলমল হলে বেশ কাজ করে, পাকস্থলীর অম্ল হ্রাস করে। এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাডোনস’, কমায় রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল। চ্যামোমিলে এসেনশিয়াল তেল ব্যবহৃত হয় অ্যারোমাথেরাপিতে। ম্যাসেজ তেল, লোশন ও ক্রিমে আছে মিশ্রিত, ত্বকের বোনে কাজ করে। স্টিম ও ডেপার থেরাপিতে আছে এর ব্যবহার।

হলুদ

আদা পরিবারের সদস্য, হলুদের সবচেয়ে সক্রিয় উপকরণ হলো ‘কারকুমিন’।

উপকারিতাঃ হলুদ এর আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী গুণ আথ্রাইটিসের ব্যথা আরাম করে, ত্বকের অসুখ একজিমা ও সোরাইসিসে কাজ করে দেয় অনেকে বলেন। আয়ুর্বেদ চিকিত্সায় এর আছে বহুল ব্যবহার। হৃদ্​রোগ, আলঝেইমার রোগে আছে এর হিতকরী ভূমিকা। হলুদ দিয়ে রান্নার সময়, একে গোলমরিচ ও শুষ্ক আদার সঙ্গে মেশালে ঔষধি গুণ বাড়ে।

আদা

আদা-চা ঠান্ডা–সর্দিতে বেশ আরাম দেয়। আদার ঔষধি গুণের জন্য দায়ী ‘জিনজেরল’।

উপকারিতাঃ আদাতে আছে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি–উপকরণ সেগুলো আথ্রাইটিস, প্রদাহ ও সংক্রমণে সহায়ক। কাঁচা বা গরম করা আদা, পেশি শূল উপশম করে। আদাতে আছে যে এনজাইম, সেগুলো পেটে বায়ুনাশে উপকারী, পেটফাঁপা কমায়। অন্ত্রের চলন বাড়ায় । কোষ্ঠবদ্ধতা কমে।

সেজ গাছ

সেজ (স্যালডিয়া) হলো খাবারের স্বাদ–গন্ধ বাড়ানোর জন্য পাতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ।

উপকারিতাঃ ক্রনিক রোগে উপকারী। আছে জীবাণুরোধী গুণ, এর পাতা পুড়িয়ে বাতাস বিশুদ্ধ করা হয়।

পেপারমিন্ট

পেপারমিন্টে সক্রিয় উপকরণ হলো মেনথল, যা দেয় শীতল অনুভূতি, যখন ত্বকে বা মুখে করা হয় এর প্রয়োগ।

উপকারিতাঃ নাক বন্ধ কমে, কফ–কাশ–শ্বাসকষ্টে আরাম হয়। এর জীবাণুরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ দেহপ্রতিরোধ মজবুত করে। এর আছে ভিটামিন এ, সিসহ আরও খনিজ। অন্য তেলের সঙ্গে লঘূকরণ করে কপালে বা মাইনাস এলাকায় প্রয়োগ করলে পেপারমিন্ট মাথাব্যথা আরাম করে। পানির সঙ্গে লঘূকরণ করে পেপারমিন্ট তেল অ্যালার্জি হ্রাসে কাজ দেয়, শুষ্ক ত্বক যা চুলকায় এতে কাজ দেয়। কেশ ধোয়াতে ব্যবহৃত হলে চুলে দেয় আর্দ্রতা ও এর বাড়ন দেয় বাড়িয়ে।

মেন্দা

এই গাছটি বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে চাপাইত্তা, কারজুকি, রতন, খারাজুরা নামেও পরিচিতি রয়েছে।

উপকারিতাঃ পেটের পীড়া, রক্ত-আমাশা হলে পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়। ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই গাছের বাকল ও পাতা উভয়ই ব্যবহার করা হয়। একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্য মালিশ করা হয়।

বনধনে

ভাট ফুল বা বনজুই: কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।

উপকারিতাঃ কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর। ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রে পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়।

ভাট ফুল বা বনজুঁই

উপকারিতাঃ কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়ার জন্য কাজ করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। যাদের চর্ম রোগ আছে তারা এই ফুলের রস মালিশ করে উপকার পেয়েছেন।

নিম

উপকারিতাঃ ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেকে নিমের পাতা শুকিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট বানিয়ে সকাল বিকেল খেয়ে থাকেন। চিকেন পক্স, চামড়ার অ্যালার্জির মতো সমস্যায় নিমের পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ের ক্ষত হলে, সেখানে নিম আর হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগানো হয়। দাঁতের ব্যথার জন্য নিমের ডালের রস ব্যবহার করা হয়।

তুলসী

এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত গাছের নাম। বিশেষ করে গ্রামের অনেক বাড়িতেই দেখা যায়।

উপকারিতাঃ সর্দিজনিত রোগে এই গাছটির পাতা খাওয়া হয়। অনেকে চায়ের সঙ্গেও ভিজিয়ে খান। তুলসী পাতা ভেজে ঘি দিয়ে নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

চিরতা

অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ হলো চিরতা।

উপকারিতাঃ ডায়বেটিক, ডায়রিয়া রোগ, জ্বর কিংবা বাতজ্বর ও পেট খারাপ প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী এই গাছ। 

পাথরকুচি

গ্রামে একটা ধারণা আছে, পাথরকুচি কিডনির পাথর ভাঙ্গতে সহায়তা করে, যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি।

উপকারিতাঃ জ্বর ও পেট ফাঁপার সমস্যায় পাথরকুচির পাতা বেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়। চামড়ার অ্যালার্জির জন্য এটি বেটে ব্যবহার করা হয়। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় পাথরকুচির পাতার রস ব্যবহার করা হয়।

তকমা

উপকারিতাঃ হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক ও ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে।

কেশরাজ বা কালোকেশী

ভারত উপমহাদেশে চুলের যত্নে এই গুল্মজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা হয়।

উপকারিতাঃ এটি চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। অনেকে বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় অনেকে পাতার রস খেয়ে থাকেন। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা ছত্রাকরোধী বা অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসাবে প্রমাণিত হয়।

বাসক

ঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়।

উপকারিতাঃ ঠাণ্ডার জন্য, ফুসফুসের নানা সমস্যায় বাসক পাতার রস ফুটিয়ে সেই রস বা পানি খাওয়ানো হয়। শ্বাসনালীর সমস্যায় লালাগ্রন্থিকে বাসকের রস সক্রিয় করে। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি ভাব হতে পারে।

অর্জুন

এই গাছের মূল, ছাল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও ফুল ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ হৃদরোগ, বুকে ব্যথার জন্য অর্জুনের ছাল গুড়ো করে খেয়ে থাকে। অর্জুনের গুড়ো বাসক পাতার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়। মচকে গেলে বা হাড়ে চিড় ধরলে রসুনের সঙ্গে মিশিয়ে অর্জুনের ছাল বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

রিফিউজি লতা

এটি একেক অঞ্চলে একেক নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র এই লতা গাছটি দেখা যায়।

উপকারিতাঃ কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।

জবা

উপকারিতাঃ পেট খারাপের জন্য জবা গাছের পাতা ও ফুল গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। জন্ডিসের জন্য পাতার জুস খাওয়া হয়। ফুলের রস নারীরা মাসিক ও স্রাবজনিত সমস্যার জন্য খেয়ে থাকেন।

লজ্জাবতী

একে লাজুক লতা বা অঞ্জলিকারিকাও বলা হয়।

উপকারিতাঃ এই গাছের শেকড় বেটে গুড়ো করে ডায়রিয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। পাতা ঘা-পাঁচড়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। গাছের পাতা ও ফুল বেটে শরীরের ক্ষতের স্থানে ব্যবহার করা হয়। বাতজ্বর বা হাড়ের ব্যথায়ও এই গাছটি বেটে দিলে উপকার হয়। এছাড়া আমাশয়, হাত-পায় জলুনির জন্য অনেকে লজ্জাবতী গাছের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।

দূর্বা ঘাস

মাঠে, ঘাটে, রাস্তার এই ঘাস অবাধে জন্মালেও অনেকেরই এর ঔষধি গুণের কথা জানা নেই।

পথেঘাটে অনাদরে অযত্নে জন্ম নিলেও দূর্বা ঘাস একেবারে ফেলনা নয়

উপকারিতাঃ রক্তক্ষরণ, আঘাতজনিত কেটে যাওয়া, চর্ম রোগে এই ঘাসের রস অনেক উপকারী। কোথাও কেটে গেলে এই পাতার রস লাগালে রক্তপাত তাৎক্ষণিক বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

ধুতুরা

এটা এখন বিলুপ্তির পথে।

উপকারিতাঃ এটা অনেকে অ্যাজমার জন্য ব্যবহার করতেন। পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে ধোয়া তৈরি করে সেটা শোকা হতো।

থানকুনি

এটি বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি ঔষধি উদ্ভিদ।

সাধারণ যেকোনো পেটের ওষুধের জন্য থানকুনি পাতা কার্যকরী।

উপকারিতাঃ খুবই সাধারণ যেকোনো পেটের ওষুধের জন্য থানকুনি পাতা কার্যকরী। এটা পাতা বেটে রস বা ভর্তা করে খাওয়া হয়। এই পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চুল পড়া কমায়, ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

স্বর্ণলতা

স্বর্ণলতা অনেকে কাছে আগাছা মনে হলেও এরও রয়েছে বিশেষ গুণ

স্বর্ণলতা অনেকে কাছে আগাছা মনে হলেও এরও রয়েছে বিশেষ গুণ

উপকারিতাঃ জন্ডিস নিরাময়, তলপেটের ব্যথা কমানো, ও ক্ষত উপশমে এই লতা কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। লতা সেদ্ধ করে পানি খাওয়া হয়। এই লতার পানি পিত্তনাশক ও কৃমি দমনে সহায়তা করে। ব্যাকটেরিয়া দমনেও এটি সহায়ক। তবে এই পাতার রস অনেক সময় গর্ভপাত, বা প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় বলেও ধারণা আছে।

শতমূলী

শতমূলী উচ্চমানের ফলিক এসিড ও পটাশিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। এতে ফাইবার, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি রয়েছে।

উপকারিতাঃ এটি বন্ধ্যাত্ব নিরাময় ও শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

বিলিম্বি

বিলিম্বির ভালোমন্দ উভয় গুণই রয়েছে

বিলিম্বির ভালোমন্দ উভয় গুণই রয়েছে

উপকারিতাঃ বিলিম্বি চুলকানি নিরাময় করে। এই গাছের পাতা বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি নিরাময় হয়ে থাকে। বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ হয়। কাশি ও সর্দি নিরাময়ে  বিলিম্বি ফুল ভালো কাজ দেয়। গরম পানির সঙ্গে এটিকে জ্বাল দিতে হবে। এই পানি নিয়মিত সেবন করলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়।

সাজনা

উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধে সাজনার পাতা ও ফল ব্যবহার হয়।

উপকারিতাঃ উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের বিভিন্ন ওষুধে সাজনার পাতা ও ফল ব্যবহার হয়। সাজনা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়। কাচা রসুনের সঙ্গে সাজনা গাছের পাতা একসাথে মিলিয়ে খেয়ে বাতের ব্যথা উপশম হয়। এছাড়া এই গাছের পাতা ও ফল অনেক পুষ্টিকারক বলে গবেষণায় দেখা গেছে। রুচি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বলে বহুকাল ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বাস রয়েছে।

ল্যাভেন্ডার

ল্যাভেন্ডার

উপকারিতাঃ ল্যাভেন্ডার দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্য খুব কার্যকরী প্রমাণিত হয়। ল্যাভেন্ডার মেজাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ল্যাভেন্ডার প্রায়শই অ্যারোমাথেরাপিতে এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যবহার করা হয়। মনে রাখতে হবে এটি প্রয়োগ করার পরে ত্বকে হালকা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। তবে, প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ করে নেবেন।

ক্যামোমিল

ডেইজিসদৃশ ফুলের অধিকারী এই উদ্ভিদটি চাষ করলে কেবল এর ওষধি উপকারই নয়, সেইসঙ্গে আপনি পাবেন ফুলের মনমাতানো সৌন্দর্যও।

ক্যামোমিল

উপকারিতাঃ হজমে সমস্যা,ত্বকে সংক্রমণ ক্যামোলিন সহজেই সমাধান করে দিতে পারে ছোটখাটো সমস্যা।

পুদিনা

নিত্য নৈমিত্তিক নানা খাবার তৈরি করতে পুদিনাকে আমরা ব্যবহার করি সবাই।

পুদিনা

উপকারিতাঃ নানারকম কাটা-ছেঁড়ার ক্ষেত্রে এবং হারিয়ে যাওয়া খিদেকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে পুদিনা

ফিভারফিউ

ফিভারফিউ

উপকারিতাঃ জ্বর সারাতে ফিভারফিউয়ের জুড়ি মেলা ভার। মাথায় প্রচন্ড ব্যথা? দেরি না করে কিছুটা ফিভারফিউয়ের পাতা ছিঁড়ে চিবিয়ে নিন। বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। ব্যথা নিমেষে গায়েব হবে।

সেজ গাছ

খাবারের সুগন্ধ বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী হলো এই সেজ গাছ। তবে পাশাপাশি এর রয়েছে ঔষুধি গুনাগুন। 

সেজ গাছ

উপকারিতাঃ ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ,  বাতাস বিশুদ্ধ কারণে বেশি ভূমিকা পালন করে এই উদ্ভিদ। 

শিউলি

শিউলি একটি ফুল হলেও সৌরভ ছড়ানোর পাশাপাশি এর রয়েছে নানা ধরবে ঔষুধি গুনাগুন।

শিউলি

উপকারিতাঃ চুল পড়া প্রতিরোধ করে,  কাশি ও জ্বর প্রতিরোধ, ম্যালেরিয়া ও অন্ত্রের চিকিৎসায় বেশ কার্যকর হলো এই ঔষুধ।

আমলকি

একটি ফল হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত হলেও এর রয়েছে অনেক ধরণের ঔষুধি গুনাগুন।

আমলকি

উপকারিতাঃ চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে, শরীরের ওজন কমায়, ডায়বেটিক রোগীদের জন্য, হাড় ও দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে আমলা বেশ কার্যকর।

ঘৃতকুমারী

সৌন্দর্য চর্চার ক্ষেত্রে বহুকাল ধরে ব্যবহার করা হলেও এর রয়েছে নানা ধরণের ঔষুধি গুনাগুন।

ঘৃতকুমারী

উপকারিতাঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, পাকস্থলীর সমস্যা সমাধান, ডায়বেটিক রোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী , দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী হলো ঘৃতকুমারী।

অশ্বগন্ধা

একটি আয়ুর্বেদিক বা ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হরে সমাদৃত হলো অশ্বগন্ধা।

অশ্বগন্ধা

উপকারিতাঃ ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণ, আর্থ্রাইটিস এর উপসর্গ রুখে, মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে এই উদ্ভিদ।

মেথি

একটি রান্নার মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও উপকারী ঔষুধি হিসেবে কিন্তু মেথি সমানভাবে জনপ্রিয়। 

মেথি

উপকারিতাঃ মানব দেহের ওজন হ্রাস করে, পাকস্থলী সুস্থ রাখে, শ্বাসনালীর রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী হলো মেথি।

শতভরি

হিমালয়ের পাদদেশে জন্মানো একটি উদ্ভিদ হলো শতভরি। মূলত রন্ধন শিল্পে ব্যবহৃত হলেও এর রয়েছে নানা উপকারিতা।

শতভরি

উপকারিতা

যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে, মানসিক চাপ কমাতে, রক্তে শর্করার পরিমান কম রেখে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করে এই উদ্ভিদ।

সাদা মুসলি

ভারতবর্ষে জন্মানো একটি ঔষুধি গুনাগুন সম্পন্ন উদ্ভিদ হলো সাদা মুসলি।

সাদা-মুসলি

উপকারিতা:

শরীরে যৌন শক্তি বৃদ্ধি,  হৃদরোগ ও শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে বেশ উপকারী এই উদ্ভিদ।

ট্যাগঃ ঔষধি গাছের নামের তালিকা pdf, বিভিন্ন গাছের নাম ও ছবি, কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ, বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা, ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা pdf, লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা, দুটি ঔষধি গাছের নাম, পাইলস এর ঔষধি গাছ, ঔষধি গাছের নামের তালিকা pdf, কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ, ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা, বাংলাদেশের গাছের নামের তালিকা, ঔষধি গাছ কাকে বলে, বনজ গাছের তালিকা, 10 টি ঔষধি গাছের নাম, ঔষধি গাছের ছবি

Related Articles

Back to top button
error: