টোয়েফল – টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ
টোফেল কী ধরণের পরীক্ষা:
টোয়েফল (TOEFL) বা Test of English as a Foreign Language হলো যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাঁদের জন্য ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা।স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাঙ তাঁদের জন্য এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
টোফেল পরীক্ষা কখন দিতে হয় :
বছরের যেকোনো সময় এই পরীক্ষা দেওয়া যায়।
টোফেল পরীক্ষার খরচ:
টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন ফি ২০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার টাকা।
টোফেল পরীক্ষায় কারা অংশ নেন:
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েসহ ইংরেজিভাষী বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও কাজের সুযোগ যাঁরা চান, তাঁরা অংশ নিতে পারেন।
টোফেল কেন প্রয়োজন হয়:
বিদেশে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্র, ভিসার আবেদনপত্রসহ চাকরির জন্য এই সনদ কাজে লাগে।
টোফেল পরীক্ষার নম্বর:
টোফেল পরীক্ষার ১২০।
টোফেল পরীক্ষার সুবিধা:
নম্বরের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকে। বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টোয়েফল স্কোরের গ্রহণযোগ্যতা আছে।
টোফেল পরীক্ষার মেয়াদ:
টোফেল পরীক্ষার মেয়াদ দুই বছর থাকে।
টোফেল পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ:
এডুকেশন টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস)।
টোফেল পরীক্ষার আবেদনের প্রক্রিয়া:
টোয়েফলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www.ets.org/toefl) নিবন্ধন করে অনলাইনে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হয়, যা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭০ ইউএস ডলার বা ১৩ হাজার ২৬০ টাকা। এরপর নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হয়। ঢাকায় একাধিক টেস্ট সেন্টার রয়েছে, যেগুলোর ঠিকানাও পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।
টোফেল পরীক্ষার সময়:
৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট।
টোফেল পরীক্ষার মডিউল:
চারটি। (লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং)
টোফেল পরীক্ষা পদ্ধতি:
Reading, Listening, Speaking ও Writing এই চারটি সেকশনের প্রতিটিতে ৩০ নম্বর করে মোট ১২০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। Reading সেকশনের জন্য পরীক্ষার্থীর হাতে ৬০ থেকে ১০০ মিনিট পর্যন্ত সময় থাকে। এর মধ্যে ৪ থেকে ৬টি passage পড়ে শেষ করতে হয় এবং প্রতিটিতে ১২ থেকে ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। Listening সেশনের জন্য সময় থাকে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট, যার মধ্যে ৬-৯টি passage শুনতে হয় এবং প্রতিটি passage শোনার পর সে সম্পর্কিত ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। Speaking সেকশন সে তুলনায় একটু ভিন্ন ধরনের। এখানে মোট ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষার্থীকে কিছু নির্দেশাবলি শোনানো হয়, যার ওপর ভিত্তি করে তাঁকে নিজের মতামত প্রকাশ করতে হয়। ২০ মিনিটের এই সেকশনে পরীক্ষার্থী কতটুকু গুছিয়ে, সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন, তা যাচাই করা হয়। সবশেষ Writing সেকশনে দুটি বিষয়ের ওপর লিখতে দেওয়া হয় এবং এর জন্য সময় থাকে মোট ৫০ মিনিট।