শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, শবে মেরাজ ২০২৪, শবে মেরাজ কি, শবে মেরাজ কি ও কেন, শবে মেরাজের ঘটনা, শবে মেরাজ 2024, মেরাজ কত সালে সংঘটিত হয়, শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে, শবে মেরাজের রোজা, শবে মেরাজের রোজা কবে ২০২৪, শবে মেরাজের রোজা কয়টি, শবে মেরাজের আমল, শবে মেরাজ এর ফজিলত, শবে বরাত কবে, সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪, শবে মেরাজ ২০২৪।
শবে মেরাজ কি ও কেন
রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত হল ‘শবে মেরাজ’। শবে মেরাজ কথাটি এসেছে আরবি শব্দ থেকে। শবে মানে রাত, মেরাজ মানে হল ‘ঊর্ধ্ব গমন’; শবে মেরাজ অর্থ হল ‘ঊর্ধ্ব গমনের রাত’। হাদিস শরিফে যাকে অলৌকিক অসামান্য মহাপুণ্যে ঘেরা রজনী বলা হয়। এ রজনী হল মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মেরাজের।
শবে বরাতের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, দোয়া
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হল মেরাজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও আমাদের রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবী এমন পরম সৌভাগ্য লাভ করেননি। আর এ কারণেই তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
শবে মেরাজের এই রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হযরত জিব্রাঈল (আ.) এর সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করেন ও একই সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে তিনি দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি এ সময় অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
শবে মেরাজ কবে 2024
2024 সালে ৮ই ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালন করা হবে।
মেরাজ কত খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়, শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৩, মেরাজ কত তারিখে হয়েছিল, সাহাবীদের মধ্যে সর্বপ্রথম কে মিরাজ বিশ্বাস করেন, নবীজির মেরাজের ঘটনা, শবে মেরাজ সম্পর্কে, শবে মেরাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, মেরাজের আলোচনা।
বিপদ বা অশান্তিতে থাকলে এই আমলে মুক্তি মিলবে
শবে মেরাজের আমল
শবে মেরাজের জন্য বিশেষ কোনো আমলের কথা কোনও শরীয়তে উল্লেখ করা হয়নি। তারপরও এ রাতে ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত থাকে।
বিশেষত এ রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মসজিদে বা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রথা চলে আসছে। অনেকে শবে মেরাজ উপলক্ষে নফল রোজা রাখেন। আর তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করেন।
এই শবে মেরাজের রাতে অনেককে বিশেষ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে সমবেত হতে দেখা যায়। বহু নারীকেও দেখা যায় এই রাতে নামাজ আদায় করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান।
বহু মুসলমান এই রাতে মেরাজের রোজা রাখতে চান বা রাখার বিধান সম্পর্কে জানতে চান। অনেকেই শবে মেরাজের নামাজ বা রোজাকে বিশেষভাবে ফজিলতপূর্ণ মনে করেন।
শবে মেরাজের রোজা কয়টি
দেখা যায় যে অনেকে শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়। অনেক মুসলমান এই রাতে মেরাজের রোজা রাখতে চান বা রাখার বিধান সম্পর্কে জানতে চান।
আবার শবে মেরাজের নামাজ বা রোজাকে অনেকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করেন। নামাজ আদায় করা ও রোজা রাখা অবশ্যই সওয়াবের কাজ। কিন্তু শবে মেরাজ কে উপলক্ষ করে বিশেষ কোনো নামাজ ও রোজার বিধান ইসলামি শরিয়তে নেই।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম, ফজিলত, দোয়া ও আমল
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম
এই শবে মিরাজের রাতে সুনির্দিষ্ট কোনো নামাজ আল্লাহর রাসুলের হাদিসের মাধ্যমে বা সাহাবিদের আমলের মাধ্যমে বা তাবেয়িদের আমলের মাধ্যমে বলা হয়নি। এ রাতের সনির্দিষ্ট কোনো ইবাদত আল্লাহর রাসুলের কোনো হাদিসে নেই। আলাদা ভাবে কোনো নামাজ, বা বিশেষ কোনো নামাজ আদায় করার কোনো দরকার নেই। অন্যান্য রাতের মতোই আপনি এ রাতে নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। সেটা আপনি স্বাভাবিক নিয়ম মেনে আগে যেভাবে আদায় করতেন সেভাবেই আদায় করবেন।
আল্লাহ এবং তার রাসুল (সা.) শবে মেরাজের জন্য বিশেষ কোনো নামাজ আদায় করা, রোজা রাখা, খাওয়া-দাওয়া করা বা রাত জেগে ইবাদত করার কোনো হুকুম ইসলামে নাই।
শবে মেরাজের ফজীলত ও গুরত্ব
শবে মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আল্লাহর প্রিয় নবী ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত ঊর্ধ্বলোক গমনের সৌভাগ্য লাভ করেন। এ সময় আল্লাহর প্রিয় নবী মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দিদার লাভ করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে এই রাতে আবার দুনিয়াতে ফিরে আসেন। আর এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পবিত্র।
উম্মে সালমা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা করতেন শাবান মাসে, অতঃপর রজব মাসে। কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, নবীজি (সা.) রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন ও রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)।
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন যে, ‘যখন রজব মাস আসত, তা আমরা নবীজি (সা.)–এর আমলের আধিক্য দেখে বুঝতে পারতাম।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, ‘রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার (নবীজির) মাস; রমজান হলো আমার উম্মতের মাস।’ (তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) খেত চাষ দিল না ও শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) খেত আগাছামুক্ত করল না; সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না।’ (বায়হাকি)।
আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক নামাজে দোয়ার মাধ্যমে রজব ও শাবান মাসে রবকত লাভের সাথে রমজান মাসের রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
সবশেষে
আমাদের আজকের ব্লগ আর্টিকেল শবে মেরাজের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, গুরত্ব, দোয়া 2024 নিয়ে ছিল আপনাদের কাছে কেমন লাগলো? শবে মেরাজের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, গুরত্ব, দোয়া 2024 জানার জন্য আমাদের এই পোষ্টটি আপনি পড়ে থাকলে আপনার অবশ্যই উপকারে আসবে তাই আশা করছি।
আপনাদের সুবিধার্তে কষ্ট করে শবে মেরাজের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, গুরত্ব, দোয়া 2024 পোষ্ট করেছি। আপনি যদি আমাদের এই নিবন্ধিত পোষ্ট টি পুরো পড়ে থাকেন তাহলে আপনি শবে মেরাজের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, গুরত্ব, দোয়া 2024 জেনে যাবেন।
শবে মেরাজের আমল, নামাজ, রোজা, ফজীলত, গুরত্ব, দোয়া 2024 জানতে এই ব্লগ টি পড়ুন। আর আপনাদের ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । সেই সাথে আমাদের এই মিনসাইটার সাইট কে বুকমার্ক করে রাখবেন , এর ফলে আপনি আমাদের সকল ধরনের এর প্রয়োজনীয় সকল আর্টিকেল গুলো আমাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।
FAQ
২০২৪ সালে শবে মেরাজ কবে?
2024 সালে ৮ই ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালন করা হবে।
শবে মেরাজের রোজা কয়টি?
দেখা যায় যে অনেকে শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়। অনেক মুসলমান এই রাতে মেরাজের রোজা রাখতে চান বা রাখার বিধান সম্পর্কে জানতে চান।