![জীবনসঙ্গী মিলন](/wp-content/uploads/2023/04/জীবনসঙ্গী-.jpeg)
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর ৬ ধারামতে, দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সালিশি পরিষদের কাছে অনুমতি না নিইয়ে বিয়ে করলে তা নিবন্ধন হবে না। সেজন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ বলে গণ্য হয়।
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য ফি দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিয়ের অনুমতি প্রদানে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো:
- বর্তমান স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব
- শারীরিক মারাত্মক দুর্বলতা
- দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত শারীরিক অযোগ্যতা
- দাম্পত্য অধিকার পুনর্বহালের জন্য আদালত হতে প্রদত্ত কোনো আদেশ বা ডিক্রি বর্জন
- মানসিকভাবে অসুস্থতা ইত্যাদি।
এ অবস্থায় প্রতিকার পেতে প্রথম স্ত্রী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধি আইন-১৮৬০-এর ৪৯৪-এর বিধানমতে মামলা করতে পারেন। এ সময় তাকে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আদালতে দেখাতে হবে।
স্বামীর অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তবে তার সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর সন্তান থাকলে তার ভরণপোষণ পাবেন। এ ক্ষেত্রে তিনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ চেয়ে মামলা করতে পারেন।