
Last updated on September 16th, 2024 at 04:58 am
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনা ভাইরাস বাতাসে ১৩ ফুট (৪ মিটার) পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে। কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল ওয়ার্ড থেকে বায়ু নমুনা পরীক্ষা করে এই নতুন তথ্য পাওয়া গেছে।
এক দল চীনা গবেষক এই গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছেন ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ, ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জার্নাল এ।
বেইজিংয়ের একাডেমি অফ মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সের গবেষক দল হাসপাতালের আক্রান্ত রোগীদের ওয়ার্ড এর সম্ভাব্য দূষিত স্থান থেকে নমুনা পরীক্ষা করেছেন। তারা ওহানের হুশেনশান হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট এবং সাধারণ কোভিড -১৯ ওয়ার্ড থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফেব্রুয়ারী ১৯ এবং মার্চ ২ এর মধ্যে ২৪ জন রোগীর কাছ থেকে এই নমুনা গুলি তারা সংগ্রহ করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে যে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ডের মেঝেতে কেন্দ্রীভূত ছিল। গবেষক দল লিখেছেন, “সম্ভবত মাধ্যাকর্ষণ এবং বায়ু প্রবাহের কারণেই বেশিরভাগ ভাইরাসের কনা মাটিতে ভাসতে পারে”।
গবেষক দল আরোও লিখেছেন, “উপরন্তু, আইসিইউ মেডিকেল স্টাফদের জুতার তল থেকে সংগৃহিত অর্ধেক নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে।” অতএব, চিকিত্সা কর্মীদের জুতা বাহক হিসাবে কাজ করতে পারে।
কম্পিউটারের মাউস, বিছানার রেল, ট্র্যাশক্যান এবং দরজার হাতলের মতো প্রায়শই স্পর্শিত পৃষ্ঠগুলিতে উচ্চ স্তরের ভাইরাসও পাওয়া যায় এই গবেষণায়।
আশ্চর্যজনকভাবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাসপাতালের কর্মীদের কোনও সদস্য সংক্রামিত হয়নি, ” এটা ইঙ্গিত দেয় যে উপযুক্ত সতর্কতা কার্যকরভাবে সংক্রমণ রোধ করতে পারে,” গবেষক দল লিখেছেন।
এই ভাইরাস বহন কারীর কাছ থেকে ১৩ ফুট বা চার মিটার পর্যন্ত দূরত্বের বাতাসে তারা করোনাভাইরাসের জীবাণুর পান যদিও রোগী হাঁচি বা কাশি দেওয়ার পর জীবাণুর একটি অংশ মাটিতে পড়ে যায় আর বাকিটা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তাই এর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে গবেষকদের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তারা জনগণকে জনসমক্ষে তাদের মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে শ্বাস নেবার সময় এবং কথা বলার সময় তারা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
- করোনাভাইরাস কতটা মারাত্মক?
- করোনা ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
- করোনার লক্ষনে যে সকল নম্বরে যোগাযোগ করবেন