দৈনন্দিন জীবন

বিজ্ঞান নিশ্চিত করেছে যে প্রথম সন্তানের তুলনায় দ্বিতীয় সন্তানেরা বেশি চঞ্চল

প্রথম সন্তানের জন্মের পরে আবার দ্বিতীয় সন্তান নেবার সিদ্ধান্ত খুবই স্বাভাবিক। প্রথম সন্তানেরা নম্র, ভদ্র এবং হাসি খুশি হওয়াতে অনেকেই দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনার প্রত্যাশার ঠিক বিপরীতে ঘটে বাস্তবে।

বিজ্ঞান নিশ্চিত করেছে যে দ্বিতীয় জন্মগ্রহণকারী শিশুরা আসলে অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির হয়। তারা স্বাধীন চিন্তাবিদ হয় এবং খাওয়ানো থেকে শুরু করে হাঁটা পর্যন্ত আপনাকে একটি কঠিন সময় পার করতে হয়। তবে এর পেছনে কিছু কারণও রয়েছে।

আপনি হয়ত আপনার দ্বিতীয় সন্তানের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন যে , “আমি এই সন্তান লালন পালনে কি এমন ত্রুটি রাখছি?” এর পিছনে আসলে রয়েছে বিজ্ঞান। সুতরাং একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন কারণ, প্রতিটি পিতামাতাই আপনার মত একই কথা ভাবছে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জন্মের ক্রম অনুযায়ী কর্তব্যে অবহেলা উপর প্রভাব দেখেছেন। তারা দেখলেন যে দ্বিতীয় জন্মগ্রহণকারী ছেলেরা তাদের বড় ভাইবোনদের তুলনায় কর্তব্যে অবহেলা বেশি করছে।

গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং ডেনমার্কর বিশাল সংখ্যক শিশুদের ডেটা সেট নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। এর পেছনে মূলত কারণ হচ্ছে সময় এবং মনোযোগের যা পিতামাতারা তাদের বাচ্চাদের দিচ্ছেন।

প্রথম জন্মগ্রহণকারী শিশুরা বেশিরভাগ মনোযোগ পায়। তারা তাদের পিতামাতার হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা রাখে কারণ, তারাই প্রথম তাদের পিতামাতার মধ্যে পিতৃত্ব ও মাতৃত্বর স্বাদ নিয়ে আসে। তারা পৃথিবীতেও তাদের পৰৱৰ্তী ভাইবোনের তুলনায় বেশি সময় অবস্থান করছে এবং বেশিরভাগ অংশে তাদের বাবা-মায়ের সাথে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রথম সন্তানেরা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বেশি মনোযোগ নেওয়ার ফলস্বরূপ দ্বিতীয় সন্তানেরা মনোযোগ কম পায়। এই মনোযোগের অভাবে দ্বিতীয় সন্তানেরা মনে করতে পারে যে তাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে তারা বাবা-মায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

তবে, গবেষণায় বলা হচ্ছে না যে সকল দ্বিতীয় সন্তানেরাই চঞ্চল হতে চলেছে, তবে এই গবেষণা জন্মর ক্রম অনুযায়ী ব্যক্তিত্ব নির্ধারণকারী কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

সূত্র: ড্যাড প্যাট্রোল

Related Articles

Back to top button
error: