চাকরি

চাকরি ক্ষেত্রে মানসিক চাপ যেভাবে সামলাবেন

বর্তমান সময়ে এই সমস্যাটি খুবই প্রকট। চাকরির ক্ষেত্রে মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই অনেক ভালো সুযোগ ছেড়ে দেন যা ক্যারিয়ারে জন্য অনেক সময়ই ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। তবে নিজের আত্মসম্মান কে সবসময়ই বড় করে দেখতে হবে যেখানে কোন ধরণের কোন ছাড় নেই। অফিসে মানসিক চাপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যেমন অতিরিক্ত কাজ, কলিগদের মধ্যে খুনসুটি, নিজের সম্পৃক্ত বিষয়ে কাজ না করতে পারা, পারিবারিক সমস্যা, বসের প্রেসার, কাজের পরিবেশের সাথে মানসিক সংকুলান না হওয়া ইত্যাদি। আবার চাকরি ছাড়াটা যতটা সহজ চাকরি পাওয়াটা ততটাই কঠিন। সেক্ষেত্রে চাকরি বুদ্ধিমত্তা ও সম্মানের সাথে ধরে রাখাটাই সবচেয়ে জরুরী। নিজের মনের গুরত্তটা সব সময় দিতে হবে এবং মন কি চায় সেটাও শুনতে হবে। তবে অনেক সময় বাস্তবতার খাতিরে মনের কথায় চাইলেও কান দেয়া যায় না।

সমাধানের চিন্তা করুন

হয়ত কোন একটা কারনে অফিসে কারও সাথে আপনার খাপ খাচ্ছে না যার ফলে আপনি কোন না কোন নতুন ঝামেলায় পরছেন। এই যেমন ধরুন আপনার যিনি সুপারভাইজার তার হয়ত অভিযোগ যে আপনি ঠিক মত কাজ করছেন না অথবা অফিসে সময়মত প্রবেশ করছেন না অথবা কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিয়ম মানছেন না ইত্যাদি। আবার আপনার কলিগের মধ্যে কেও হয়ত আপনাকে টেক্কা দিয়ে উপরে উঠতে চাইছে সেক্ষেত্রে আপনি হয়তবা কম প্রশংসিত হচ্ছেন। আবার দেখা যাবে কোন কারনে হয়ত বা আপনি আপনার মেধার বিকাশ পুরোপুরি ঘটাতে পাড়ছেন না। যত যাই হোক না কেন কারন খুঁজে বের করুন এবং সমাধান করুন। যে কোন সমস্যার সমাধান করাটাই হবে আপনার প্রথম লক্ষ্য। অফিসে দেরি করে আসবার জন্য সমস্যার তৈরি হলে সময়মত আসার চেষ্টা করুন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কাজ বেশি বেশি করে করুন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে কাপুরুষের মত পালিয়ে যাবার চেয়ে বীরের মত লড়াই চালিয়ে যাওয়াটাই উত্তম।

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন ও আলোচনা করুন পরিচিতদের সাথে

নিজের মনের গুরত্ত সবার উপরে। আপনি যদি ক্যারিয়ের প্রথমেই নিজের সম্মান বলি দিয়ে দেন তাহলে আর নিজের বলে কিবা বাকি থাকল। আপনার কাছের বন্ধু অথবা পরিবারের সাথে সমস্যাগুলি শেয়ার করুন যা আপনাকে মানুষিক শান্তি দিবে সাথে সাথে নিজেকে হালকা মনে হবে। তবে অবশ্যই একটা কথা মনে রাখবেন তা হল সিদ্ধান্ত নেবার সময় নিজের ভাবনার গুরত্ত দিন।

সমাধান না থাকলে অবশ্যই বিপরীত ভাবুন

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনার বসই হয়ত চাচ্ছে না যে আপনি কাজ করেন, তিনি হয়তবা তারই পরিচিত কাওকে আপনার স্থানে বসাতে চাইছে। সেক্ষেত্রে সে হয়ত আপনাকে সরাসরি বলবে না কিন্তু আকার ইঙ্গিতে ঠিকই বুঝিয়ে দিবে। আবার এমনও হতে পারে যে আপনার প্রতি খুবই অনীহা তৈরি হচ্ছে সকলের বিভিন্ন কারনে যা কিনা আপনাকে পরবর্তিতে ঝামেলায় ফেলতে পারে। সবচেয়ে বড় যেই বিষয় তা হল আপনার সম্মান। আপানার যদি মনে হয় যে আপনি আপানর যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মান পাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে।

এছারাও চাকরিতে মানসিক চাপ সামলাতে যা করতে পারেন

  • অযথা বা অযৌক্তিক দুশ্চিন্তা না করে বুদ্ধি দিয়ে সমস্যার সমাধান করুন।
  • অফিসের কাজ বাড়িতে না আনার চেষ্টা করুন। কারন এতে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যদের সাথে দূরত্ব বাড়ে।
  • কাজের বিরতি নিন। কোথাও ঘুরে আসুন। পরিবারকে সময় দিন। এতে মন ভাল থাকে আর কাজেও মন বসে।
  • কাজের অতিরিক্ত চাপের সময় সহকর্মীদের সহযোগিতা নিন। কাজ নিজেই করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে দ্রুত করার উপায় পাওয়া যায়।
  • দুশ্চিন্তা বেশি হলে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারন দুশ্চিন্তায় শরীরে বড় রোগ ভর করার ঝুঁকি বাড়ে।
  • অফিসের পরের সময় সৃজনশীল কাজে ব্যয় করুন।
  • অফিসের চাপের জন্য বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের ওপর রাগ দেখানো থেকে বিরত থাকুন।
  • চাপ সামলাতে না পেরে সহকর্মীদের সঙ্গে কিংবা বসের সঙ্গে রাগ দেখানোর আচরণ থেকে নিজেকে সংযত রাখুন।
  • কাজে ফাঁকি দেওয়া, দেরি করে অফিসে যাওয়ার মতো বদভ্যাস পরিহার করুন।

কাজ সকলের কাছেই অত্যন্ত জরুরী। কাজ যে শুধু অর্থ সংযোগের জন্য জরুরী তা কিন্ত নয়। কাজ করতে হয় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য। কাজ না করে বসে থাকলে নিজের দক্ষতা নষ্ট হবার পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হয়। তাই কখনই একটা সুযোগ না তৈরি হওয়া অব্দি চাকরি ছাড়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

https://bangla.minciter.com/2022/02/14/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a4/

Related Articles

Back to top button
error: