বয়স বাড়ার সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে টিভি বা কোন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে চোখের উপর চাপ পড়ে। এসব নিঃসন্দেহে চোখের সমস্যার জন্য দায়ী। তবে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে চোখের সমস্যার শুরুটা অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
এমন কিছু ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার আছে যা গ্রহণে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে। যেমন-
শাকসবজি-ফলমূল
সবুজ শাকসবজি এবং হলুদ রঙের ফলমূল ও সবজি ভিটামিন এ-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এ ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। ভিটামিন এ চোখে পিগমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে ও চোখের অন্যান্য অংশকেও পুষ্টি জোগায়।
ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাট
এই দুটি উপাদান চোখের জন্য অনেক ভালো। গাঢ় সবুজ পাতা বিশিষ্ট শাকসবজি এবং সামুদ্রিক খাদ্য ভিটামিন ই আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ থাকে। বয়সের কারণে দৃষ্টিশক্তি ক্ষয় রোধে এই উপাদান অনেক কার্যকারি।
জিঙ্কযুক্ত খাবার
জিঙ্ক এমন একটি খনিজ পদার্থ যা চোখের রেটিনা, সেল মেমব্রেন এবং প্রোটিন কাঠামোর সুস্বাস্থ্য ধরে রাখে। এই উপাদান প্রধানত বাদাম, তৈলবীজ, মাংস এবং ডিমে পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি
সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল যেমন-কমলালেবু, পাতিলেবু এবং সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা চোখকে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি হতে বাঁচায়।
চোখের স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও যা করণীয়-
১. চোখ ভালো রাখতে বেশি পরিমাণ পানি ও পানীয় খাবার গ্রহণ করুন এবং চোখকে আর্দ্র বা হাইড্রেট রাখুন।
২. ঘরের বাইরে বের হলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। অত্যাধিক সূর্যের আলোয় চোখে ছানি বা ক্যাটারাক্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. ধূমপান চোখের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই ধূমপান এড়িয়ে চলাই ভালো।
৪. চোখে লেন্স লাগানোর আগে সব সময় হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
৫. চোখের উপর কম্পিউটার ব্যবহারজনিত চাপ কমাতে প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তু ২০ সেকেন্ড সময় ধরে দেখুন।
ট্যাগঃ চোখ ভালো রাখার ব্যায়াম, চোখের সমস্যা বোঝার উপায়, চোখ ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়, চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে চোখে কম দেখে, চোখ ভালো রাখতে যা করবেন, চোখ পরিষ্কার রাখার উপায়