জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd, bdris.gov.bd login online, জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক, Verify BDRIS gov bd, জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps, মোবাইলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই, জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড pdf, জন্ম তথ্য যাচাই – online bris
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
২০২৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ হয়ে গেছে। আপনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে সহজেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে কিছু মৌলিক তথ্য, যেমন:
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জন্ম তারিখ (YYYY-MM-DD ফরমেটে)
যাচাই প্রক্রিয়া:
- প্রথমে everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- ওয়েবসাইটে গিয়ে “Birth Registration Number” ও “Date of Birth” (YYYY-MM-DD ফরমেটে) দিন।
- ক্যাপচা পূরণ করে Search বাটনে ক্লিক করুন।
- কিছু সময় পর, আপনার জন্ম সনদ তথ্য চলে আসবে। যদি তথ্য সঠিক হয় তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ নিশ্চিত হবে।
- যদি “Record not found” আসে, তবে সম্ভবত আপনার তথ্য ভুল হয়েছে অথবা সনদটি ডিজিটাল নয়।
যাচাই কপি ডাউনলোড:
- কিছু ওয়েবসাইট ডাউনলোডের অপশন না দিলেও আপনি “Print to PDF” ফিচার ব্যবহার করে যাচাই কপি সংরক্ষণ করতে পারেন।
- ডাউনলোডের জন্য: ফর্ম পূরণের পর CTRL+P চাপুন, তারপর Print to PDF অপশন নির্বাচন করুন এবং PDF ফাইলটি সংরক্ষণ করুন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই কেন জরুরি?
- ডিজিটাল সনদ নিশ্চিত করা: আপনার সনদটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা যাচাই করা প্রয়োজন।
- নকল সনদ চেক করা: অনেক সময় নকল সনদ তৈরি করা হতে পারে, যা যাচাই করা উচিত।
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি: জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করা প্রয়োজন।
- নতুন আবেদন: ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ বর্তমানে প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি কাজে প্রয়োজন।
শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৭ ডিজিটের)
- জন্ম তারিখ (YYYY-MM-DD)
সাধারণ প্রশ্নের উত্তর:
- কিভাবে নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন?
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নাম দিয়ে যাচাই করা যেতে পারে। - মোবাইল দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়?
হ্যাঁ, মোবাইলের ব্রাউজার ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব। - জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের ফি কত?
এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
মন্তব্য ও পরামর্শ:
- আপনার জন্ম সনদ যাচাই করার পর কপি প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে রাখুন।
- যদি এখনও ডিজিটাল সনদ না থাকে, তবে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন বা পৌরসভায় যোগাযোগ করে ডিজিটাল সনদ তৈরি করান।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৫
জন্ম নিবন্ধন করতে কীভাবে হবে?
জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা শিশু জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে করা উচিত। এটি শিশু বা নাগরিকের আইনি পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে।
যে কাগজপত্রগুলো লাগবে:
শিশু জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে:
- অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি
- শিশুর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- শিশুর ইপিআই (Expanded Program on Immunization) টিকা কার্ড বা সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রত্যয়নপত্র
- শিশুর জন্ম সনদ (হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে সত্যায়িত অনুলিপি)
- বাবা-মায়ের নিবন্ধিত জন্ম সনদ (বাংলা-ইংরেজি উভয় ভাষায়)
- বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র
- শিশুর অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ
৫ বছরের উপরে:
উপরোক্ত ৪ নম্বর বাদে বাকি সব কাগজপত্র লাগবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম:
- প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটে যান।
- ওয়েবসাইটে স্থানীয় সরকারের অফিস নির্বাচন করুন (আপনার জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা থেকে সনদ নিতে পারবেন)।
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন, যেখানে প্রার্থীর নাম, বাবা-মায়ের তথ্য ও ফোন নম্বর দিতে হবে।
- আবেদন পূর্ণ হলে প্রিন্ট কপি নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে জমা দিন।
- জমা দেওয়ার পর, একাধিক কার্যদিবসের মধ্যে সনদ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন ফি ও সময়:
- ৪৫ দিনের মধ্যে: ফি না-থাকা (বিনামূল্যে)
- ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর: ২৫ টাকা
- সংশোধন ফি: ১০০ টাকা
- বাংলা-ইংরেজি সনদ কপি: ৫০ টাকা
- সাধারণত ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সনদ পাওয়া যায়, তবে কখনও কখনও এক মাস সময়ও লেগে যেতে পারে।
এভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা সম্ভব।