স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

জামের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ! রক্ত পরিস্কার রাখতে বেশি বেশি জাম খান!

Last updated on March 18th, 2025 at 02:49 am

কালো জামের উপকারিতা, জামের উপকারিতা ও অপকারিতা, জামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা, জামের বীজের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা, জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা, জামের অপকারিতা, জাম গাছের উপকারিতা, জামের অপকারিতা, জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা, জামের বীজের উপকারিতা, জামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা, কালো জামের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা, জাম গাছের উপকারিতা, জাম খাওয়ার নিয়ম।

জাম/ কালো জাম/ ব্ল্যাক প্লাম / জামুন / মালবার প্লাম / জাভা প্লাম, নাম যাই হোক না কেন, আপনি এই ফল থেকে অসাধারন স্বাদ সহ পাবেন বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা। জাম একটি মৌসুমি ফল। গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, পেঁপে, পেয়ারা, জামরুল, এবং বাহারি রকমের ফল পাওয়া যায় বাজারে। পুষ্টি গুণে ভরপুর এই ফল তাই বাজারে এলেই বেশি বেশি করে খেয়ে নেয়া উচিত। জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, পেট ব্যথা কমায় সহজে, হজম শক্তি ভাল রাখে, হৃদরোগের ঝুকি কমায়, ওজন কমায়, রক্ত বিশুদ্ধ রাখে এবং আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে

জাম এর গুনাগুন নিম্নে উল্লেখ করা হল –

হার্ট সুস্থ রাখে

জাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খুব ভাল কাজ করে। ফলটিতে রয়েছে পটাসিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে

আয়ুর্বেদিক ঔষধে ডায়াবেটিস চিকিত্সা করতে জাম খুব জনপ্রিয়। এই ফল রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এবং চিনিকে শক্তিতে পরিবর্তিত করে। জাম ফল ও এর ছাল, বীজ এবং পাতা সবই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারি। এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব এবং ক্ষুধা দুর করে। জামের বীজ পাউডারে আছে জ্যাম্বোলিন, যা একটি ধরনের গ্লুকোজ, যা স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তর নিয়ন্ত্রণ করে।

হিমোগ্লোবিন বাড়ায়

জামে ভিটামিন সি এবং আয়রন রয়েছে যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বৃদ্ধি করে। এটি রক্ত ​পরিশোধক এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যা ত্বক এবং সৌন্দর্যের জন্য ভাল। নারীদের ঋতুস্রাবকালে এবং যারা অ্যানিমিয়া ও জন্ডিসে আক্রান্ত তাদের এই ফল বেশি করে গ্রহণ করা উচিত।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

এই ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ত্বককে রোগ মুক্ত রাখে। এই ফল ত্বকের ব্রণ, কালো দাগ, বয়সের ছাপ এবং ক্ষত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ফলে আয়রন বেশি পরিমাণে থাকায় এটি রক্তকে পরিস্কার রাখে এবং ফলটির ভিটামিন সি ত্বক এর সৌন্দর্য বাড়ায়।

রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়

জামে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা সাদা রক্ত ​​কোষ উত্পাদনকে বৃদ্ধি করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের অসুখ ভালো করে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

এই ফল ডায়রিয়া, আমাশয় এবং বদহজম রোগের জন্য অনেক উপকারী।

ঠান্ডা সমস্যা সারায়

তাজা জামের রস কাশি এবং হাঁপানি রোগ সারাতে সাহায্য করে। এটি ঠান্ডা সমস্যার জন্য অনেক কার্যকরী এবং বিরোধী পক্বতা এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।

অন্যান্য উপকারিতা

দাঁতের সমস্যা, মাড়ির প্রদাহ, পাইলস, এবং মহিলা বন্ধ্যতা সমস্যা এই ফল দ্বারা সমাধান করা যেতে পারে।

Related Articles

Back to top button
error: