স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

ডায়েট কন্ট্রোল ছাড়াই ওজন কমাবেন যেভাবে !

ডায়েট কন্ট্রোল ছাড়াই ওজন কমাবেন যেভাবে!

শরীরের ওজন যখন অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন তা নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই বেশ অস্বস্তিকর। বর্তমানে স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া একটি কমন সমস্যা ।

চলিন জেনে নেই ডায়েট কন্ট্রোল ছাড়াই ওজন কমাবেন যেভাবে, সকালে কি খেলে ওজন কমে, রাতে কি খেলে ওজন কমে, মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়, দ্রুত ওজন কমে কি খেলে, কি ঔষধ খেলে ওজন কমে, ৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমাতে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে, মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়।

শরীরের ওজন কমানোর কথা চিন্তা করলে প্রথমেই যে কথাটা মাথায় আসে সেটা হচ্ছে ডায়েট কন্ট্রোল। অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্যে ক্রাশ ডায়েট, ইন্টারমেটিং ফাস্টিং, কিটো ডায়েট করে থাকেন না বুঝেই৷ ডায়েট করা মানে অনেকেই ভাবেন খাবার না খাওয়া বা খাবারের পরিমাণ অতিরিক্ত কমিয়ে দেওয়া।

কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়েট হলো শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ। সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। একজন ব্যক্তির বয়স, ওজন, উচ্চতা, কাজের ধরন, লিঙ্গ ইত্যাদি নির্ভর করে ব্যক্তির প্রয়োজনীয় দৈনিক ক্যালরি নির্ধারণ করা হয়।

ক্যালোরি কি? বয়স অনুযায়ী দৈনিক কত ক্যালরির প্রয়োজন 

ডায়েট কন্ট্রোল ছাড়াই ওজন কমাবেন যেভাবে

খাওয়ার আগে সকালে কার্ডিও করা

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হালকা ব্যায়াম যেমন, জোরে জোরে হাঁটা বা দৌঁড়ানো, সাইকেল চালানো, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। যারা খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে চান না, তাদের ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি বার্ণ করতে হবে। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার আগে ছোট কার্ডিও ওয়ার্ক যেমন- হাটা, জগিং, দৌঁড়ানো ইত্যাদি ভালো ফলাফল দেয়। সকালে ব্যায়াম করলে ক্যালরি বেশি বার্ণ হবে। খাওয়ার পর কার্ডিও করার চাইতে খাওয়ার আগে কার্ডিও করলে ভালো ফল পাবেন।

বয়স বাড়লেই কি ওজন বাড়ে?

পর্যাপ্ত ঘুম হতে হবে

রাত জাগা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দেন। রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করুন৷ প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে।

পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে

খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি খেতে হবে বা খাওয়ার ঠিক পূর্বে পানি খাওয়া উচিৎ না!, কথা টা কি ঠিক? কিন্তু এটা একদমই একটা ভ্রান্ত ধারণা। বরং আপনি যদি একটু কম খেতে চান তাহলে খাওয়া শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার পেট কিছুটা ভরা থাকবে এবং খাওয়ার সময় কিছুটা খাবার কম খেতে পারবেন। এছাড়াও সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পানি বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকলে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে যা আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। ডিম, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাদ্য বিপাক বৃদ্ধি করে। তবে কার্বোহাইড্রেড বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ ঠিক নয়।

চিনি পরিহার করুন

ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতালিকা থেকে চিনি পরিহার করা আবশ্যক। কারণ, মাত্র ১ চা-চামচ চিনিতে ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে, যা আপনার ওজন কমানোর বড় বাধা। আর আমরা এই চিনির ক্যালরিই বেশি গ্রহণ করে থাকি। তাই যারা চা ও দুধে অতিরিক্ত চিনি খান তারা চিনি পরিহার করুন বা পরিমাণ কমিয়ে দিন। এছাড়া যারা অতিরিক্ত খাবার হিসেবে কোমল পানীয় খাওয়া বাদ দিন।

বেশি তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন

যারা মধ্য দুপুর বা বিকালের নাস্তায় সিংগাড়া, সামুচা বা অন্যকোন ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেয়ে থাকেন তারা এখনই তা বাদ দেন। এ খাবার থেকে যে ক্যালরি পাওয়া যাবে তা আমাদের ওজন কমাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সারাদিনের খাবার তালিকা – সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা

প্রতিদিন খাবারের সময় নির্দিষ্ট রাখুন

অনেকে ওজন কমাতে গিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় না খেয়ে থাকেন, এবং শুধু দুপুরে খাবার গ্রহণ করেন। প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে বিপাক ক্রিয়া কমতে থাকে। আবার দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে একসাথে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করুন।

ট্যাগঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়, ৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায়, 20 কেজি ওজন কমানোর উপায়, ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমানোর খাবার তালিকা, সকালে কি খেলে ওজন কমে, ডায়েট কন্ট্রোল করার নিয়ম, গরিবের ডায়েট চার্ট, মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট, দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট, ওজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট, ২০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট, বয়স অনুযায়ী ডায়েট চার্ট, ঘরোয়া ডায়েট চার্ট।

Related Articles

Back to top button
error: