তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ, তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা, তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজের সময়।
এই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সূরা, তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল, তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সময়, তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজ- তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ। পবিত্র কোরআনে এর ব্যবহার আছে। তাহাজ্জুদ শব্দটি নিদ্রা যাওয়া ও জাগ্রত হওয়া এই দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ তথা রাতের নামাজ।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)
তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলামিক ইবাদতের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ। এটি ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে প্রিয় নফল নামাজ হিসেবে গণ্য হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণনায় উল্লেখিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।” (মুসলিম, তিরমিজি)
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
এই তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলামের একটি বিশেষ এবং মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। এটি রাতের সময় আদায় করা হয় এবং ফরজ নামাজের পরে সর্বোচ্চ নফল নামাজ হিসেবে বিবেচিত। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, “ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ।” (মুসলিম, তিরমিজি)
তাহাজ্জুদ পড়া মানে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হওয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা। কুরআনে উল্লেখ আছে, “যারা শেষ রাতে ইবাদত ও প্রার্থনা করেন তাদের প্রশংসা হবে।” (সুরা আযযারিয়াত ১৭-১৮)
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও নিয়ম
সাধারণত সাহরির সময়ের শেষের দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা হয়। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নামাজ পড়া অধিক সওয়াবযুক্ত। ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে অজু করে প্রথমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। এরপর দুই দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়; তবে সাধারণত চার রাকাত আদায় করা উত্তম। রাসুল (সা.) দুই দুই রাকাত করে নামাজ পড়তেন। দীর্ঘ কেরাতে নামাজ আদায় করা উত্তম, তাই বিভিন্ন সুরা নিয়ে নামাজ পড়া উচিত।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়:
অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের মূল সময় মূলত রাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের পর দু রাকআত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে। তবে পরিপূর্ণ তাহাজ্জুতের মর্যাদা পেতে হলে, রাত ২টা বা ৩টার দিকে উঠে নামায আদায় করতে হবে।
আরবি-উচ্চারন – তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ التَّهَجُّدِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন – তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল
তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত তবে এই নামাজকে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর এই নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো এই নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি এবং সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন।
সূরা বনী ইসরাইলের ৭৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَى أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।
আল্লাহ তার বান্দাদের রাত্রির কিছু অংশ কুরআন তিলাওয়াত আর নামায কায়েম করার মধ্য দিয়ে জাগ্রত থাকার জন্য বলেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম:
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দুই রাকাআত করে এ নামাজ আদায় করতেন। যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।
১. তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
২. অতঃপর ছানা পড়া।
৩. সুরা ফাতেহা পড়া।
৪. সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন। অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
এভাবে দুই দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত এই নামাজ আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা রাখে এবং এটি মননশীলতার বিকাশের সুযোগ দেয়। নিয়মিতভাবে এই নামাজ আদায় করা উচিত, যাতে ইবাদতের সুফল অর্জন করা যায়।
Tahajjud namaz, তাহাজ্জুদ, তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত, এই নামাজ সুন্নত না নফল, এই নামাজের আরবি নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া, এই নামাজের নিয়ত আরবীতে, এই নামাজের সঠিক নিয়ত, এই নামাজের সময়, তাহাজ্জুদের নামাজ, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম, রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম