বাংলাদেশে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে গত তিন মাসে ১৮৭ তে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ১৯ জন নারীকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে। সারা দেশে গত ২৭ মাসে ৮৪৬৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং ধর্ষকদের সাজার হার বছরে ১ শতাংশেরও কম। প্রশ্ন হল, ধর্ষকরা কি তবে সাজা পাচ্ছেনা দেখেই ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে?
বিচারের আওতা থেকে বেঁচে যাওয়া এই ধর্ষকরাও তো একদিন বাবা হবে। তখন তারা তাদের মেয়ে সন্তানদের হয়তো বলবে “মা বাহিরের লুকিয়ে থাকা কুৎসিত চেহারা থেকে দূরে থাকিস”। তখন এই ধর্ষক গুলো কোন বিবেক নিয়ে তার নিজের ঘড়কে বেড়া দিবে?
ধর্ষক আসলে কারা? যে সব নোংরা মানুষের মাথা বিকৃতভাবে কাজ করে তারাই ধর্ষক। যারা নিজের চাহিদা মেটাতে একটি কুকুরের সাথে সহবাস করতে দিধা করে না তারাই ধর্ষক। যাদের মনের ভিতরে শয়তানের ঘুরাঘুরি সর্বদা বিদ্যমান তারাই ধর্ষক।
এই সব ধর্ষক কুলাঙ্গারদের শাস্তি কেমন হওয়া উচিৎ? এদের শাস্তি একটাই হতে পারে তা হল এদের লিঙ্গ নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যাতে এরা বুঝতে পারে মান হারানো কতটা কষ্টের। খুনি ধর্ষকদের ফাঁসি মিডিয়া গুলোতে লাইভ দেখানো উচিৎ। প্রতিটা ধর্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে ছবি করে রাখা উচিৎ রাস্তার মোড়ে মোড়ে। ধর্ষণের মামলা গুলোর জন্য একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি রাখা দরকার যারা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ধর্ষকদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনবে সকল দুর্নীতিকে মোকাবেলা করে। যার বিচার হবে স্বচ্ছ কাচের মত।
একজন ধর্ষক কেন ধর্ষক হয়ে উঠে? আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় নিশ্চয়ই এমন কোন ফাঁক রয়েছে যা ধর্ষককে উস্কানি দিয়ে ধর্ষক করে তুলে। প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের সামাজিক ব্যাবস্থা কি এতটাই দুর্বল যে নারীরা পদে পদে এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। অবশ্যই আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থা চলমান প্রক্রিয়ার দুর্বলতা গুলো এই সব নোংরা মানুষের জন্ম দিচ্ছে। টাই-কোর্ট পরা ভদ্রতার মুখুশের মানুষ অথবা কুৎসিত চেহারার সন্ত্রাসী এই দুই অথবা দুইয়ের মাঝেই লুকিয়ে আছে ওই ভয়ংকর চেহারা গুলো।
আমাদের সমাজে মেয়েরা কতটুকু স্বাধীনতা পায় তাদের মুক্ত চিন্তা প্রকাশের। তাদের সমস্ত ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতার মুখে পরতে হয়। মেয়েরা কিশোরী বয়সে ইভ টিজিং এর শিকার হয়, বিয়ের পর স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয় আর রাস্তা ঘাটে শ্লীলতাহীনতার শিকার হয়। এখানে আমাদের চলচিত্র অঙ্গনের একটা বিশাল ভুমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। একটা সমাজের প্রতিচ্ছবি অনেকটাই এই চলচিত্র অঙ্গনের কাজ গুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়। যেখানে কিনা আমাদের সমাজের বেশির ভাগ সিনেমা গুলোতে ব্যাবসায়িক ভাবনা মাথায় রেখে ধর্ষণ দৃশ্য গুলোকে সস্তা আকারে ফুটিয়ে তোলা হয়। সিনেমা হল গুলোতে একটা মেয়েকে উত্যক্ত করার দৃশ্যে সিটি বাজা শুরু হয়ে যায় দর্শক সারিতে।
আসলে সমাজ, পরিবার, আদর্শ সবই একে অপরের সাথে সংযুক্ত। একটিতে কম পরলেই পুরোটাই বিনাশ হবার আশঙ্কা তৈরি হয়। একটা সন্তানের শিক্ষার বীজ বপন হয় তার পরিবার থেকে। একটা পরিবারই পারে তার সন্তানের মধ্যে নারীর প্রতি শ্রদ্ধার জন্ম দিতে। একজন স্বামী যদি তার সন্তানের সামনে তার বউকে নির্যাতন করেন তবে সেই সন্তান কোথা থেকে পাবে আদর্শ শিক্ষা?
ধর্ষকদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা আম জনতার প্রানের দাবি। কিন্তু এই দাবির সফলতা কতটা বাস্তবিক তা শুধু পরিসংখ্যানই বলে দিবে। এই ধর্ষক কুলাঙ্গারদের জনতার সামনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যাবস্থা হলে হয়তো কিছুটা হলেও কমাবে নারীর প্রতি সহিংসতা। ৭১ এর যুদ্ধে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বদ করেছি, আমরা যুদ্ধের এত বছর পরেও রাজাকারদের শাস্তি দিয়েছি। তাহলে কেন আমরা এই স্বাধীন দেশে ধর্ষক কুলাঙ্গারদের শাস্তি দিতে পারব না??
সুন্দর ত্বক পেতে যা করবেন! উজ্জ্বল ত্বকের ১০টি জাদুকরী প্রাকৃতিক উপাদান
ওজন কমাতে আদার শরবত (এক সপ্তাহেই ওজন কমিয়ে ফেলুন)
ওজন কমাতে কৌশলগত হউন! যা ডায়েটের তুলনায় সহজ!
মুখের ব্রন ও বড় ছিদ্র থেকে বাসায় বসে পরিত্রাণ পান
৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে যা অবশ্যই মনে রাখবেন
গর্ভবতী মায়ের যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর যত উপকারিতা
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া টিপস!
ত্বকে বয়সের ছাপ বা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার কারন গুলি জেনে নিন!
অনিদ্রা দূর করার জন্য ৬ টি পরামর্শ
স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ১১টি প্রধান কারণ
শিশুদের কি টিকা দিতে হয়, শিশুর টিকা কখন দিতে হয়, রোগের নাম, টিকার নাম..