বাংলাদেশে প্রায় ৩৪টি জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন জেলায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আইইডিসিআরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় শুরুরদিকে নতুন নতুন জেলায় আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির হার ছিল ধীরগতির।
বাংলাদেশে প্রথম ৮ই মার্চ তিনজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানা যায় যারা ছিলেন নারায়নগঞ্জ ও মাদারীপুরের বাসিন্দা। এরপর আইইডিসিআর সাতটি জেলার নাম জানায় যেখানকার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়- ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুর।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরও তথ্য:
- করোনাভাইরাস কতটা মারাত্মক?
- করোনা ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
- করোনার লক্ষনে যে সকল নম্বরে যোগাযোগ করবেন
এরপর যথাক্রমে রংপুর, কক্সবাজার, জামালপুর, নরসিংদী, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারি, ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়া, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাও, লালমনিরহাট ও লক্ষ্ণীপুর এ শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি।
মূলত, ছুটির মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে দেশের অন্যান্য জায়গায় নিম্ন আয়ের ব্যক্তিরা চলে যাওয়ায় এই রোগের বিস্তার প্রকট হয়েছে। রবিবার আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, “যাদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা অথবা নারায়নগঞ্জ থেকে ঐ জেলাগুলোতে এসেছেন।” শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও কারণ হিসেবে একই অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন।
সূত্র- বিবিসি