নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন ও ভাড়া, নীলসাগর এক্সপ্রেস – Nelsagore Express, নীলসাগর এক্সপ্রেস (Nilsagor Express Train Schedule), নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী (বিরতি ও ভাড়ার তালিকা), নীলসাগর এক্সপ্রেস – Nelsagore Express।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, নীলসাগর এক্সপ্রেস এখন কোথায়, নীলসাগর এক্সপ্রেস বন্ধের দিন, নীলসাগর এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, নীলসাগর এক্সপ্রেস কোড, ঢাকা টু সৈয়দপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, ঢাকা টু নীলফামারী ট্রেনের সময়সূচী
রাজধানী ঢাকা হতে উত্তরবঙ্গের জেলা নীলফামারী’র চিলাহাটির মধ্যে চলাচলকারি একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন হল নীলসাগর এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ রেলওয়ের এয়ার ব্রেকড ট্রেন গুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই ট্রেন। এই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
আপনি কি নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন, বন্ধের দিন, সময়সূচী, ভাড়ার তালিকা, কখন এবং কোথায় থেকে ছাড়বে সবকিছু জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এর সকল ট্রেনের সময়সূচি ও টিকিট মূল্য
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিট ভাড়ার তালিকা 2024
এক নজরে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
---|---|
যাত্রা শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
যাত্রা শেষ | চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ পথের দূরত্ব | ৫২৬ কিলোমিটার (৩২৭ মাইল) |
যাত্রার সময় | ০৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭৬৫ / ৭৬৬ |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে পর্যন্ত চলাচল করে তবে অনেকেই ট্রেনটি ছাড়া এবং পৌঁছার সময় জানে না তাই তারা ট্রেনটির সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। নীলফামারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল 6:40 এবং চিলাহাটিতে ট্রেনটি পৌঁছায় হল বিকাল 3 টায় 5 মিনিটে। অপরদিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস চিলাহাটি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাত আটটায় এবং ঢাকায় পৌঁছায় হল 5:30।
নিম্নোক্ত সব স্টেশন এ সিডিউল এর সময় অনুযায়ী যাত্রা বিরতি করবে-
৭৬৬ (চিলাহাটি-ঢাকা)
চিলাহাটি-রাত ৮ টা
ডোমার-পৌঁছাবে রাত ৮টা ১৮,/ছাড়বে ৮টা ২১
নীলফামারী-রাত ৮টা ৩৭/ ৮ টা ৪০
সৈয়দপুর-রাত ৮টা ৫৯/ ০৯টা ০৪
পার্বতীপুর-রাত ৯টা ২০/ ৯ টা ৪০
ফুলবাড়ি- রাত ৯টা ৫৮/ ১০ টা ০১
বিরামপুর-রাত ১০ টা ১২/ ১০ টা ১৫
জয়পুরহাট- রাত ১০ টা ৪৪/ ১০ টা ৪৭
আক্কেলপুর-রাত ১১টা০০/ ১১টা ০২
সান্তাহার-রাত ১১টা ২০/১১টা ২৫
আহসানগঞ্জ-রাত ১১টা ৪৭/ ১১টা ৪৯
নাটোর-রাত ১২টা ১০/ ১২টা ১৩
মুলাডুলি -রাত ১ টা ১৫/ ০১ টা ১৭
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব- ভোর ০২টা ৫৮/ ০৩টা ০০
জয়দেবপুর- ভোর ৪টা ২১/৪টা ২৪
বিমানবন্দর-ভের ৪টা ৪৭/৪টা ৫০
ঢাকা- পৌছাবে ৫টা ৩০।
টাইম টেবিল-৫২
৭৬৫(ঢাকা-চিলাহাটি)
ঢাকা-ছাড়বে সকাল ৬ টা ৪৫
বিমানবন্দর-পৌঁছাবে সকাল ৭টা ০৭/ ছাড়বে ৭ টা ১২
জয়দেবপুর-৭টা ৩৫/৭টা ৩৮
বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব-সকাল ৮টা ৫৯/ ৯টা ০৯
মুলাডুলি -বেলা ১০টা ৩৯/১০টা ৪২
নাটোর -বেলা ১১টা ১৮/১১টা ২১
আহসানগঞ্জ -বেলা ১১টা ৪১/১১টা ৪৩
সান্তাহার-দুপুর ১২টা৩০/১২টা ৩৫
আক্কেলপুর-দুপুর ১২টা ৫৫/১২ টা ৫৭
জয়পুরহাট-দুপুর ০১টা ১১/ ০১ টা ১৪
বিরামপুর -দুপুর ০১টা ৪২/০১ টা৪৫
ফুলবাড়ি-দুপুর ০১টা৫৬/ ০১টা৫৮
পার্বতীপুর-দুপুর ০২টা ১৫/ ২টা ২৫
সৈয়দপুর-দুপুর ০২টা ৪২/ ০২টা ৪৬
নীলফামারী-বেলা ০৩টা ০৫/ ০৩ টা ০৮
ডোমার-বেলা ০৩ টা ২৪/ ০৩ টা ২৭
চিলাহাটি-বিকাল পৌঁছাবে ০৪ টা।
নীলসাগর এক্সপ্রেস এর বন্ধ দিন বা অফডে
- চিলাহাটি থেকে রবিবার
- ঢাকা থেকে সোমবার
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে চিলাহাটি যাওয়ার সময় এটি সোমবার বন্ধ থাকে অপরদিকে চিলাহাটি থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় এটি রবিবার বন্ধ থাকে.
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিরতি স্টেশন
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন
- মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন
- নাটোর রেলওয়ে স্টেশন
- আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন
- আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন
- জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন
- পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন
- নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন
- ডোমার রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি স্টেশন নাম | চিলাহাটি থেকে (৭৬৬) | ঢাকা থেকে (৭৬৫) |
ডোমার | ২০ঃ২১ | ১৫ঃ২৪ |
নীলফামারী | ২০ঃ৩৯ | ১৫ঃ০৫ |
সৈয়দপুর | ২১ঃ০৩ | ১৪ঃ৪২ |
পার্বতীপুর | ২১ঃ৪০ | ১৪ঃ১৫ |
ফুলবাড়ি | ২২ঃ০০ | ১৫ঃ৫০ |
বিরামপুর | ২২ঃ১৪ | ১৩ঃ৩৬ |
জয়পুরহাট | ২২ঃ৪৫ | ১৩ঃ০৪ |
আক্কেলপুর | ২৩ঃ০১ | ১২ঃ৪০ |
সান্তাহার | ২৩ঃ৩০ | ১২ঃ১৫ |
আহসানগঞ্জ | ২৩ঃ৪৫ | ১১ঃ৪০ |
নাটোর | ০০ঃ৩৩ | ১১ঃ১৬ |
মুলাডুলি | ০১ঃ৪৫ | ১০ঃ৩৯ |
বঙ্গবন্ধু সেতু | ০৩ঃ১০ | ০৯ঃ০০ |
জয়দেবপুর | ০৪ঃ২৭ | ০৭ঃ৩৩ |
বিমান বন্দর | ০৪ঃ৫৩ | ০৭ঃ০৭ |
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আমাদের যারা ভ্রমণ করি নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির ঢাকা টু চিলাহাটি বিভিন্ন স্টেশন এর ভাড়া সম্পর্কে জানা দরকার। আমাদের মধ্যে সকলের কমবেশি জানা আছে যে ট্রেনের ভাড়া কম। কিন্তু বিলাসবহুল ট্রেন এর বিভিন্ন প্রকারের সিট রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী আসনের বিভিন্ন ধরনের ভাড়ার তালিকা রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না কোন আসনের কত ভাড়া তাই না? ট্রেনের প্রতিটি আসনের ভাড়া সম্পর্কে আপনারা জানা নাও থাকতে পারে। তবে জানা থাকলে আপনি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন যে আপনি কোন আসন কিনতে চান এবং ভাড়া কত তা প্রদান করতে আপনার সহজ হবে। তাই আসুন আমরা নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সকল ধরনের আসন বা টিকিটের মূল্য সম্পর্কে জানব আজ-
নীলসাগর এক্সপ্রেস ৭৬৫/৭৬৬
ভাড়ার তালিকা
(ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা)
শোভন চেয়ার——–৪৯৫৳
স্নিগ্ধা /এসি চেয়ার—৯৪৯৳
এসি সিট————-১১৩৩৳
এসি বার্থ————-১৭০২৳
ঢাকা-ডোমার-ঢাকা)
শোভন চেয়ার— ৪৯৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৯৪৯৳
এসি সিট———১১৩৩৳
এসি বার্থ———১৭০২৳
(ঢাকা-নীলফামরী-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৪৭০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৮৯৭৳
এসি সিট———-১০৭৬৳
(ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৪৫৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৮৬৯৳
এসি সিট———১০৪১৳
এসি বার্থ———১৫৫৯৳
(ঢাকা-পার্বতীপুর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—৪৪০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার—–৮৪০৳
এসি চেয়ার——১০০৭৳
এসি বার্থ———১৫১৩৳
(ঢাকা-ফুলবাড়ি-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৪২৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৮১১৳
(ঢাকা-বিরামপুর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৪১৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৭৯৪৳
(ঢাকা-জয়পুরহাট-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—৩৯০৳
সিন্ধা চেয়ার—–৭৪২৳
এসি সিট———৮৯২৳
এসি বার্থ———১৩৩৪৳
(ঢাকা-আক্কেলপুর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—–৩৭৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——-৭১৯৳
(ঢাকা-শান্তাহার-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—৩৬০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার—–৬৯০৳
এসি সিট——–৮২৩৳
এসি বার্থ——–১২৩৬৳
(ঢাকা-আহসানগন্জ-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—৩৪০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার—–৬৫০৳
(ঢাকা-নাটোর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৩২০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৬১০৳
(ঢাকা-মুলাডুলি-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-২৮৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——৫৪১৳
(ঢাকা-সেতুপূর্ব-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—১৩৫৳
স্নিগ্ধা চেয়ার—–২৫৯৳
(ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৫০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——১১৫৳
(ঢাকা-বিমানবন্দর-ঢাকা)
শোভন চেয়ার—-৫০৳
স্নিগ্ধা চেয়ার——১১৫৳
নীলসাগর এক্সপ্রেস যোগাযোগ নাম্বার
ভ্রমণের সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনাকে নীলসাগর এক্সপ্রেস এর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার দরকার হতে পারে। তাই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির কর্তৃপক্ষ নাম্বার আপনার জানা প্রয়োজন। আসুন আমরা নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যোগাযোগের প্রয়োজনীয় নাম্বার জেনে নেই-
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ফোন নাম্বার – 935 8634, 9331822
মোবাইল নাম্বার – 01711 69 1612
বিমানবন্দর স্টেশন নাম্বার – 1924 239
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা
ট্রেনের জার্নি দীর্ঘ সময় ধরে করতে হয় বিধায় বিভিন্ন সময়ে খাবারের প্রয়োজন হয় বা খেতে হয়। আমরা জানি যে প্রায় সব ধরনের ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা থাকে তেমনি নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিরও খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। এই ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং যারা খাবার পরিবেশন করেন তারা প্রতিটা বগিতে যেয়ে খাওয়ার প্রদান করে থাকেন চাহিদা অনুযায়ী। তাছাড়া এই ট্রেনটিতে একটি খাবারের কেবিন রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত খাবার মজুত থাকে যেখানে যেয়ে প্রয়োজন অনুপাতে সেখান থেকে খাবার কিনে খেতে পারেন। তাছাড়াও এটিতে হকার আছেন তারা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। ট্রেনটিতে আরও সুবিধা আছে যেমন আপনি বিভিন্ন ধরনের বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকা কিনে পড়তে পারেন।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা
আপনি কি জানতে চান নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা কত সেই সম্পর্কে? তবে যারা ট্রেনের ভ্রমণ করে থাকেন তাদের জন্যই তথ্যগুলো জানা দরকার।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইন টিকিট
আপনি কি নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে চান? তবে ট্রেনে ভ্রমণ করলে আপনার টিকিট কাটার নিয়ম জানা দরকার আর যদি তা আপনার জানা থাকে তাহলে সহজেই আপনি টিকিট কাটতে পারবেন এবং নিশ্চিন্তে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভ্রমণ করতে করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ ছাড়া এখন থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না। আবার বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। তারপর টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না।
অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে নিবন্ধন করা যাবে–
পুরোনো নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে:
ধাপ-১
প্রথমে বর্তমান Username ও Password দিয়ে https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট বা rail sheba app–এ সাইন ইন (Sign In) করতে হবে।
ধাপ-২
NID নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে verify বাটনে ক্লিক করতে হবে।
NID নম্বর ও জন্ম তারিখ সঠিকভাবে প্রবেশ করালে যদি এনআইডি নম্বরটি আগে ব্যবহার করা না হয়ে থাকে, তবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
নতুন নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে
https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা rail sheba app–এ গিয়ে সাইন আপ (Sign Up) করতে হবে এবং সঠিক NID নম্বর ও জন্ম তারিখ verify পূর্বক অন্যান্য তথ্য প্রদান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
কীভাবে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন-
অনলাইনে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (eticket.railway.gov.bd) ‘রেজিস্টার’ অপশনে গিয়ে মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। আর আপনার নম্বর যদি আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকে তাহলে ‘লগ ইন’ করুন।
তারপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন, গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, কোন শ্রেণিতে ভ্রমণ করবেন এই সব অপশন সিলেক্ট করুন। তারপরই আপনার পছন্দের সিট বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন।
এরপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের কোন সিট নিতে চান তা সিলেক্ট করুন। এবার অনলাইনে পেমেন্ট করুন সম্পন্ন করলেই টিকিট আপনার নামে বুক হয়ে যাবে।
এছাড়া চাইলে ‘rail sheba app’ এ গিয়ে সাইন আপ করেও নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে আর এজন্য একই ধরণের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
এবার দেখা নেয়া যাক কাউন্টার থেকে কীভাবে নিবন্ধন করা যাবে–
আবার কাউন্টার থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনেরটিকিট কিনতেও আপনাকে আগাম নিবন্ধন করতে হবে। তবে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এরপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে।
অফলাইন/এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধনপদ্ধতি
মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) তারপর এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে আপনার নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর কাউন্টারে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট দেখালেই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পেয়ে যাবেন।
*ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
আর যদি টিকিট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয় কিংবা টাকা কেটে নিলেও যদি ই-টিকিট ইস্যু না হয়, তাহলে বিকাশের ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে আপনার সমস্যার কথা জানান। এছাড়া ই-মেইল করুন ‘support@eticket.railway.gov.bd’ এই ঠিকানায়।