বাংলাদেশের বিশ্ব সুন্দরী ছবি, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০২৪, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নারী কে 2024, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ – বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নারী। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নারী কে 2023, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হওয়ার যোগ্যতা, বাংলাদেশের বিশ্ব সুন্দরী ছবি ২০২৪, বর্তমান বিশ্ব সুন্দরী কে, মিস বাংলাদেশ ২০০৭.
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ – বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দরী নারী
বিজয়ী এবং রানার্স-আপ
বছর | মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ | জন্ম শহর | মিস ওয়ার্ল্ডে স্থান |
২০১৭ | |||
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল | তিনি পূর্বে বিবাহিত জানার পর মুকুট বাতিল | ||
জেসিয়া ইসলাম | ঢাকা | শীর্ষ ৪০ | |
২০১৮ | জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী | বরিশাল | শীর্ষ ৩০ |
২০১৯ | রাফাহ নানজীবা তোরসা | চট্টগ্রাম | স্থানবিহীন |
সমস্যাটা আসলে কোথায়? বিচারকের নাকি সুন্দরীদের?
২০১৭ এর বিতর্কিত মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার পর ২০১৮ তে এসেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এই অনুষ্ঠান।
৩০ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার রাজদর্শন হলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, আমিরুল ইসলাম হিরু, খালেদ সুজন, ইমি, শুভ্র দেব ও ব্যারিস্টার ফারাবী। এখানে আসরের সেরা ১০ প্রতিযোগী উপস্থিত থাকেন। যাচাই বাছাই শেষে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮ ঘোষণা করা হয় পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরেদৌস ঐশী কে।
সুন্দরী প্রতিযোগিতা যে শুধু সুন্দরের বিচারেই যাচাই হয় না। কিন্ত অডিশন ও পারফর্মেন্স রাউন্ডে এই কথাটি বিচারকদের নজর এরিয়ে যায় বরাবরই। তার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সময়ে হাসির পাত্র হতে হয় বিচারক, প্রতিযোগী ও স্বয়ং এই অনুষ্ঠান কেই।
বিচারকদের বিচার বিশ্লেষণ আসলে কেমন হওয়া উচিত?
একজন বিচারক অবশ্যই যাচাই করবেন প্রতিযোগীর সার্বিক বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, স্মার্টনেস ও মেধা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে সুন্দরীরা শুধু মিস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া নির্বাচিত হননা বরং তারা মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হয়ে তাদের নিজেদেরকে সেরা প্রমান করেন। অথচ বাংলাদেশের মিস ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠান গুলো যেন শুধুই দায়সাড়া একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা মাত্র।
এখানে একজন বিচারক কীভাবে একজন প্রতিযোগীকে এই প্রশ্ন করেন- H2O মানে কী?
আর এত রাউন্ড পার হয়ে আসা একজন প্রতিযোগী কিভাবেই বা বলেন যে- ধানমন্ডিতে একটা রেস্টুরেন্ট আছে এই নামে…।
অন্য আরেক প্রতিযোগীকে বিচারক জিজ্ঞেস করলেন- তুমি সুন্দরী হলে বাংলাদেশের জন্য কী উইশ করবে? সেই প্রতিযোগী ‘উইশ’ এর অর্থই বুঝলেন না।
তিনি উত্তরে বললেন বললেন, ‘অ্যাট ফার্স্ট অবশ্যই আমার কান্ট্রির জন্য উইশ করব। বাংলাদেশের একটা লংগেস্ট সি বিচ আছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুন্দরবন। অনেক বিউটিফুল। নেক্সট আমাদের দেশে অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়-পর্বত রয়েছে। আমি এগুলোকেই উইশ করব।’
আর এই ধরনের উত্তরে সোশাল মিডিয়াতে উঠল অনুষ্ঠানের মান নিয়ে নানান প্রশ্ন। সামাজিক মাধ্যমে H2O এবং Wish শব্দ দুটি ভাইরাল হয়ে পরে। নানান জনের নানান অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায়। সুন্দরী এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে পরিচয় করিয়ে দেবার একটি মাধ্যমও বটে। যেখানে বাংলাদেশেই সুন্দরের কাছে হার মানে মেধা সেখানে কিভবে মেধার পরিচয় মিলবে বিশ্বের দরবারে।
আরও পরুন