শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। এর ফলে ত্বক শুষ্ক-খসখসে হয়ে যায়। এই সময় যত্ন না নিলে ত্বক ফেটে যেতে পারে। শীতে ত্বকের যত্নে প্রাচীণ কাল থেকে সরিষার তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। এখনও অনেকে ত্বক ঠিক রাখতে সরিষার তেলের উপরেই ভরসা করেন।
সরিষার তেল শিশু ও বয়স্ক সবার ত্বকের জন্যই উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে এই তেল ব্যবহার করলে মৌসুমি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও সরিষার তেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
সরিষার তেল খুব ভালময়েশ্চারাইজার। গোসল করার আগে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল গায়ে মাখেন অনেকে। এই তেলে এমন অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এই তেলে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায়। সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে ও গায়ে লাগিয়ে নিলে সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে।
সর্দি-কাশি নিরাময়ে সরিষার তেল কাজে লাগে। সরিষার তেলে কালো জিরা মিশিয়ে হালকা গরম করে বুকে-পিঠে মালিশ করলে উপকার পাবেন।
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর সরিষার তেল। এটি অ্যালার্জি ও র্যাশ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও কমে।
চামড়ার কালো দাগ দূর করতে এক চামচ বেসনে দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণে অল্প সরিষার তেল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিময়িত এই ফেসপ্যাক ব্যবহারে মুখের কালো দাগ দূর হবে, পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বলও হবে।
ত্বকের ট্যান দূর করতে সরিষার তেল খুবই সহায়ক। বাটিতে এক চামচ সরিষার তেল নিয়ে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর পরিবর্তে দইও ব্যবহার করতে পারেন। এবার মিশ্রণটি মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট ধরে। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে উপকার পাবেন।
শীতকালে অনেকেরই পা ও ঠোঁট ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রেও রাতে শুতে যাওয়ার আগে সর্ষের তেল লাগালে দারুণ কাজ দেয়।