দৈনন্দিন জীবন

সকালে উঠে আপনি এই কাজ গুলি করছেন তো?? জেনে নিন!

সকালে উঠে আপনি এই কাজ গুলি করছেন তো?? জেনে নিন!

সকাল নির্ধারন করে কিভাবে আপনার সারাটাদিন কাটবে। সকালেই যদি ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ঘর থেকে বের না হন তাহলে তো পুরো দিনটি সফল ভাবে উপভোগ করতে পারবেন না। মনমেজাজ ভালো থাকলে ভুল করবার প্রবণতাটাও কমে যায়। আর কোনো কাজ রুটিন মাফিক সেরে ফেললে তা একসময় প্রত্যাহিক রুটিনে পরিণত হয় ফলে প্রথম প্রথম কস্ট হলেও পরবর্তিতে তা অভ্যাসে পরিণত হয়। কথায় আছে না, মানুষ অভ্যাসের দাস। আর সকালেই জরুরী কাজগুলোর অর্ধেক কাজ সেরে ফেললে একটি চিন্তা মুক্ত দিন পাওয়া যায়।

সকালে উঠে আপনি এই কাজ গুলি করছেন তো?? জেনে নিন!

কর্মজিবী, গৃহিণী অথবা অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে

কর্মজীবীদের অফিস আর ঘর দুটোই সামলাতে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বামী যদি কো অপারেটিভ হয় তাহলে তো উদ্ধার কিন্তু তা না হলে কস্টের চূড়ান্ত সীমা পার করতে হয়। পার্টনার হিসেবে দুজনই দুজনকে সাহায্য করলে দিনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সকালেই কাজের শুরু আর অনেক বেশী চাপ ও থাকে এই যেমন সকলের সারাদিনের খাবার তৈরি করা, পরিচারিকা সামলানো, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো ও তৈরি করিয়ে দেয়া, ঘরের বাড়তি কাজ সামলানো, নিজের যত্ন নেয়া ইত্যাদি।

গৃহিণীদের ক্ষেত্রে অফিসে যাবার তারা না থাকলে দায়িত্ব অনেক থাকে। বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসা, তিন বেলার খাবার তৈরি করা, ঘর গুছিয়ে রাখা, সকলের খোঁজ খবর ও যত্ন নেয়া ইত্যাদি।  কাজ গুলি যেভাবে গুছিয়ে নিয়ে করবেন তা এখানে সহজ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-

-খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করা উচিত। ধর্ম পালন আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস জোগায় তাই এই বিষয়ে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরলে সকালে ঘুম থেকে উঠা সহজ হয়ে যাবে।

-আপনি গৃহিণী অথবা কর্মজিবী হন প্রথমেই  নিজের একান্ত জরুরী বিষয় গুলো সেরে নিন কারন নিজে ভালো থাকলেই সকলকে ভালো রাখতে পারবেন। এই যেমন হালকা ব্যায়াম, রুপ চর্চা, বাহিরে যাবার জন্য পোশাক নির্ধারন করা ইত্যাদি। এরই মধ্যে মনমত মিউজিক শুনে নিলে একটা বাড়তি উচ্ছ্বাস কাজ করবে নিজের মধ্যে।

-এরপর খাবার তৈরির কাজে লেগে পরুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ছুটির দিনে খাবার তৈরির উপকরন গুলো গুছিয়ে রাখতে পারেন। আর পারলে আগের রাতেও কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেতে পারে যেন সকালে দেরি না হয়ে যায়। খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে সকলকে অভ্যাস করিয়ে নিন নিজে থেকে নিয়ে খাবার জন্য।

ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে

ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ইদানিং ঘুম এর ব্যাপারটা খুবই অনিমিয়ত এবং অনেকেই রাত জেগে থাকা পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে ক্লাসে মনোনিবেশ অনেকটাই কমে যায়। আর পরীক্ষার সময় সব কিছুই এলোমেলো থাকে। প্রতিদিনের লেকচার একবার হলেও বাসায় এসে রিভিউ করা উচিত। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সকালে ক্লাসে যাবার প্রেসার থাকে তাই সকালের শুরুটা যেন তাড়াহুড়ো না হয় তাই আলার্ম দিয়ে রাখতে হবে । রাতেই ব্যাগ বা প্রয়োজনীয় নোট গুলো লেকচার অনুযায়ী গুছিয়ে রাখতে হবে। সকালে কোন ভাবেই প্রেসার নেয়া যাবে না। আর সকালের খাবার টাও মিস করা যাবে না কারন সকালে না খালে একটা বিমর্ষ ভাব কাজ করবে নিজের মাঝে। সকালে একটা কড়া মিউজিক শোনা যেতে পারে প্রস্তুত হবার সময়টাতে যা মনের ভিতরে একটা বাড়তি ভালো লাগা তৈরি করে।

আরও পড়ুন-

Related Articles

Back to top button
error: