এবার আসা যাক চাকরির বিষয়ের উপরে। বাংলাদেশ চাকরির বাজারে খুবই মজার একটা চেইন লক্ষ্য করা যাবে। যে যেই বিষয়ে পরছে সেই বিষয়ে সে কতটুকু সাফল্য অর্জন করছে তা চিন্তার বিষয়।
প্রথমেই সরকারী ক্ষেত্রে আসা যাক। যে ডাক্তার হতে চেয়ে ছিল সে মেডিকেলে চান্স না পেয়ে ধরা যাক জীব বিজ্ঞান বিভাগের কোন বিষয় যেমন কৃষি অথবা ফার্মেসী নিয়ে পরছে। পড়াশুনা শেষে নাক চোখ ডুবিয়ে বিসিএস প্রিপারেশান নিয়ে পুলিশ হয়ে গেল। তাহলে সরকার কেন গরিবের অর্জিত সরকারী অর্থ দিয়ে একজন পুলিশকে ফার্মেসি অথবা কৃষি পড়ালেন?
এবার যাওয়া যাক বেসরকারি ফার্ম গুলতে যেখানে একজন রিসিপশানিস্টের কাছ থেকে খোঁজ নিলেও দেখা যাবে যে সে অমুক কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তমুক কোন বিষয় নিয়ে পরেছেন যার সাথে তার কাজের ধারার কোন মিল খুজে বের করা কঠিন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছু হট টপিক যেমন সিএসই, আর্কিটেকচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইত্যাদি ছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে বিষয় মেলানো খুবই কঠিন বেপার। আসলে যিনি যেই বিষয় নিয়ে পরেছেন সেই বিষিয়ে বাংলাদেশে কত প্রতিষ্ঠান কাজ করছে? প্রতিবছর যত গ্রাজুয়েট এক্সপার্ট হয়ে বের হচ্ছে ততজন কে সেই বিষয়ে চাকরি দেবার মত জায়গা তৈরি করা কঠিন বেপার। তাই অনেক মেধাই উচ্চ শিক্ষার জন্য বাহিরে পারি দিয়ে সেখানে উন্নতির ধারায় অংশগ্রহণ করে। মাঝে পিছিয়ে পরে আমার সোনার দেশ।
প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়েই একটা জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হওয়া উচিত যার মাধ্যমে কে কোন অবস্থানে আছে তা জানা যাবে এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে ভর্তি ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা নির্বাচন করা হবে। শুধুমাত্র গ্রাজুয়েট তৈরি করে ছেরে দিলেই তো হবে না মনিটরিং ও জরুরী।
সরকারী চাকরি ছাড়া বাংলাদেশে চাকরি নেই, সত্যি নাকি?