শিক্ষা

Ielts আইইএলটিএস করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় – কত স্কোর লাগে

Ielts করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, Ielts করে বিদেশ যাওয়ার খরচ, Ielts এ কত পেলে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, আইইএলটিএস ছাড়া স্কলারশিপ, Ielts করে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে, বিদেশে পড়াশোনার খরচ, ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়, কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে।

Ielts করে বিদেশ যাওয়ার খরচ, কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে, আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন ফি, Ielts স্কলারশিপ কীভাবে পাবো, Ielts করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, Ielts করতে কত টাকা লাগে ২০২৩, ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস কোর্স, ব্রিটিশ কাউন্সিল ইংলিশ কোর্স ফি

কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS স্কোরের কোনো নির্দিষ্ট শর্ত নেই যা প্রতিটি দেশে অভিন্ন। ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিষয়ের ভিত্তিতে IELTS স্কোরের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, বেশিরভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে IELTS স্কোর ৬.৫ প্রয়োজন হয়। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫.৫ স্কোরেও আবেদন গ্রহণ করে, কিন্তু এতে ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।

  • IELTS স্কোর সাধারণত ভিসা প্রক্রিয়া এবং ভর্তি উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নূন্যতম স্কোরের চাহিদা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
  • বিষয়ের উপর ভিত্তি করে উচ্চতর স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে, যেমন: মেডিক্যাল, আইন, বা প্রকৌশল বিষয়ক কোর্সগুলোর জন্য।
  • বর্তমানে, IELTS ছাড়াও কিছু দেশে ভিন্ন ভাষা দক্ষতা পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।

এজন্য, আপনার পছন্দের দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট স্কোরের চাহিদা আগে থেকে যাচাই করে প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

যে ৮ টি খাবার আপনার তারুণ্য ধরে রাখবে

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS স্কোরের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন দেশে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন হতে পারে। বেশিরভাগ দেশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণত IELTS স্কোরের মান ৬.৫ এর কাছাকাছি থাকে। তবে নিচে কিছু দেশের সাধারণ IELTS স্কোরের চাহিদা দেওয়া হলো:

১. যুক্তরাজ্য (UK):

  • বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬.০-৭.০ ব্যান্ড স্কোর প্রয়োজন হয়।
  • কিছু পেশাগত কোর্সের জন্য ৭.৫ বা তার বেশি স্কোর লাগতে পারে।

২. যুক্তরাষ্ট্র (USA):

  • ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫.৫-৭.৫ ব্যান্ড স্কোর প্রয়োজন।
  • উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ৭.০ বা তার বেশি চাওয়া হয়।

৩. কানাডা:

  • সাধারণত ৬.০-৭.০ ব্যান্ড স্কোর প্রয়োজন হয়।
  • কিছু প্রতিষ্ঠানে ৫.৫ ব্যান্ড স্কোরও গ্রহণযোগ্য।

৪. অস্ট্রেলিয়া:

  • বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬.০-৬.৫ ব্যান্ড স্কোর প্রয়োজন।
  • কিছু কোর্সের জন্য ৭.০ বা তার বেশি স্কোর চাওয়া হয়।

৫. নিউজিল্যান্ড:

  • সাধারণত ৬.০-৬.৫ ব্যান্ড স্কোর লাগে।
  • পেশাগত কোর্সের জন্য ৭.০ বা তার বেশি দরকার হতে পারে।

৬. জার্মানি:

  • বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ৬.০-৭.০ স্কোর চায়।
  • তবে কিছু কোর্সে কম স্কোরও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

৭. নেদারল্যান্ডস:

  • সাধারণত ৬.৫ ব্যান্ড স্কোর প্রয়োজন।

IELTS স্কোরের চাহিদা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, এবং কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান তার উপর।

পড়াশুনা

আইইএলটিএস করতে কী যোগ্যতা লাগে ?

IELTS পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট যোগ্যতা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী IELTS পরীক্ষার দুই ধরনের মডিউল রয়েছে:

আইইএলটিএস পরীক্ষার ধরন

১. IELTS Academic Module:

  • যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের জন্য এই মডিউলটি।
  • এটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় একাডেমিক দক্ষতা মূল্যায়ন করে, যেমন: রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পিকিং।

২. IELTS General Training Module:

  • যারা বিদেশে কাজ করতে চান বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে চান, তাদের জন্য এই মডিউলটি।
  • এটি সাধারণ ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন করে, যা কর্মক্ষেত্র বা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন।

এই দুটি মডিউলের মধ্যে পার্থক্য হলো উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরীক্ষার কাঠামো। Academic Module উচ্চশিক্ষার জন্য বেশি উপযুক্ত, আর General Module কর্মসংস্থান বা স্থায়ী বসবাসের জন্য।

আইইএলটিএস পরীক্ষার নিয়ম

IELTS পরীক্ষার জন্য চারটি মূল বিভাগ রয়েছে যা একজন পরীক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষার দক্ষতা মূল্যায়ন করে। এই বিভাগগুলো হলো: স্পিকিং (Speaking), লিসেনিং (Listening), রাইটিং (Writing) এবং রিডিং (Reading)। প্রতিটি বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে:

১. লিসেনিং (Listening):

  • সময়: ৩০ মিনিট
  • চারটি রেকর্ডেড সেশন শোনা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।
  • প্রতিটি অংশে ভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু এবং প্রশ্ন থাকে, যেমন: কথোপকথন বা একক বক্তৃতা।

২. রিডিং (Reading):

  • সময়: ৬০ মিনিট
  • ৩টি প্যাসেজ থাকে এবং প্রতিটি প্যাসেজের উপর নির্ভর করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
  • একাডেমিক এবং জেনারেল মডিউলে রিডিং সেকশনের বিষয়বস্তু ভিন্ন হয়।

৩. রাইটিং (Writing):

  • সময়: ৬০ মিনিট
  • Academic Module এ সাধারণত গ্রাফ বা চার্টের ব্যাখ্যা এবং একটি প্রবন্ধ (Essay) লিখতে হয়।
  • General Module এ একটি চিঠি এবং একটি প্রবন্ধ লিখতে হয়।

৪. স্পিকিং (Speaking):

  • সময়: ১১-১৪ মিনিট
  • তিনটি অংশে বিভক্ত: নিজেকে পরিচয় দেওয়া, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কথা বলা এবং পরীক্ষকের সাথে আলোচনা।
  • এই অংশটি অন্যান্য বিভাগগুলোর সাথে একই দিনে হতে পারে অথবা ভিন্ন দিনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

অতিরিক্ত তথ্য:

  • মোট সময়: লিসেনিং, রিডিং এবং রাইটিং অংশের জন্য মোট ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকে।
  • স্পিকিং পরীক্ষার সময়: এটি অন্যান্য বিভাগগুলোর সাথে একই দিনে হতে পারে, অথবা ভিন্ন তারিখেও নির্ধারণ করা হতে পারে।
  • পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক: পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে পাসপোর্ট অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে, কারণ এটি পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

IELTS পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বিস্তারিত নির্দেশনা জানানো হয়।

IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি

আপনাকে IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে হলে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত। এখানে ধাপে ধাপে প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হলো:

১. পরিকল্পনা এবং রিসার্চ:

  • প্রথমে IELTS পরীক্ষার কাঠামো এবং প্রতিটি বিভাগের নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে নিন।
  • অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ও কোর্স খুঁজুন। ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও, টিপস এবং স্যাম্পল প্রশ্ন রয়েছে যা আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

২. অনুশীলন:

  • লিসেনিং এবং স্পিকিং:
    • BBC News এবং আন্তর্জাতিক ইংরেজি চ্যানেলগুলো শুনুন। এতে আপনার শ্রবণ দক্ষতা বাড়বে।
    • স্পিকিং অনুশীলনের জন্য নিজে নিজে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন অথবা বন্ধুর সাথে প্র্যাকটিস করুন।
  • রিডিং:
    • প্রতিদিন ইংরেজি খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, ব্লগ ইত্যাদি পড়ুন। এর পাশাপাশি IELTS রিডিং মডিউলের জন্য প্র্যাকটিস প্রশ্ন সমাধান করুন।
  • রাইটিং:
    • প্রতিদিন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লিখুন। শুরুতে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ থেকে শুরু করে আস্ত প্রবন্ধ লিখুন।

৩. ইংরেজি সিনেমা ও সিরিজ:

  • ইংরেজি সিনেমা, ডকুমেন্টারি ও সিরিজ দেখুন। সাবটাইটেলসহ দেখে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শব্দভাণ্ডার ও উচ্চারণ উন্নত হবে।

৪. IELTS প্রস্তুতি বই ও প্র্যাকটিস টেস্ট:

  • আইইএলটিএস প্রস্তুতির জন্য ক্যামব্রিজ, বারনেস অ্যান্ড নোবেলসসহ বিভিন্ন প্রকাশনার বই ব্যবহার করতে পারেন।
  • অনলাইনে ফ্রি প্র্যাকটিস টেস্ট দিন। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও অন্যান্য শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে ফ্রি মক টেস্ট পাওয়া যায়।

৫. IELTS সেন্টার ও পরীক্ষার নিয়ম জানুন:

  • ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট থেকে আপনার নিকটস্থ পরীক্ষাকেন্দ্র এবং পরীক্ষার নিয়মাবলী সম্পর্কে ধারণা নিন।
  • IELTS পরীক্ষার ফি: বর্তমানে আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি ২০,২৫০ টাকা।
  • পরীক্ষার আগে আপনার পাসপোর্ট যেন আপডেট থাকে তা নিশ্চিত করুন, কারণ এটি পরীক্ষা দিতে আবশ্যক।

৬. ফলাফল:

  • কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩-৫ দিনের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়, আর কাগজে-কলমে পরীক্ষা দিলে ১৩ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়।

এই ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিলে IELTS পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, Ielts করে বিদেশ যাওয়ার খরচ, Ielts করে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, ওয়ার্ক পারমিট IELTS স্কোর, Ielts কোর্স কত দিনের, কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, Ielts করে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে, Ielts এ ভর্তি হতে কত টাকা লাগে

Related Articles

Back to top button
error: