স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

সহজেই পেটের মেদ কমাতে যা করবেন

ওজন কমানো সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় হয় পেটের মেদ নিয়ে। শরীরের অন্য সব অংশের মেদ কমলেও পেটের মেদ সহজে কমে না। তবে কিছু নিয়ম যদি মেনে চলেন তবে সহজেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন।

নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া করুন

গবেষণায় দেখা গেছে যে খাওয়ার সময় যদি কেউ মন দিয়ে, ধীরে ধীরে বা অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাবার খায়, তবে সেটা হজম হবে অনেক তাড়াতাড়ি। কখনই তাড়াহুড়ো করে খাবার খাবেন না। এতে করে মস্তিষ্ক ঠিক মতো শরীরকে সংবাদ পাঠাতে পারে না। যার ফলে আপনি বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন।

দুশ্চিন্তা কম

মন অশান্ত থাকলে শরীরের মেটাবলিজম হার কমে যায়। ঘুম ঠিক মত হয় না। এমনকি খাবারও হজম হতে দেরি হয় তাই যতটা পারবেন মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে খাবার সময় এবং ঘুমের আগে।

চেষ্টা করুন সোজা হয়ে বসবার

আমরা অনেক সময় সোজা হয়ে বসি না।তাই খেয়াল রাখুন বসবার সময় শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে।

ব্যায়াম করার সময় পেট টানটান রাখুন

অনেকে নিয়ম করে মন দিয়ে এক্সারসাইজ করেন। কিন্তু কোন কিছুতেই পেটের মেদ ঝরে না। ব্যায়াম করার সময়ে অবশ্যই পেটের পেশিগুলো টানটান রেখে ভিতরের দিকে টেনে ব্যায়াম করতে হবে। তা না হলে পেটের উপর পর্জাপ্ত চাপ পড়বে না।

পেটের ব্যায়াম করুন

পেটের মেদ কমাতে পেটের ব্যায়াম করতে হবে। পেটের মাংসপেশিগুলো ট্রেন করে টানটান করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পেটের ব্যায়াম করতে হবে।

যোগব্যায়াম

যোগব্যায়ামেও করেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব। ধনুরাসন, ভুজাঙ্গাসন, উস্ত্রাসনের মতো বেশ কিছু আসন পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

ফাইবার আর গুড ফ্যাট

এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়। শাক-সবজি-ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে তাই ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার। তেল-মশলা কম পরিমাণে খেলেও ডায়েটে গুড ফ্যাট রাখতে হবে। তা না হলে শরীরে ‘ফ্যাট বার্ন’ হবে না। বাদাম, নাট-বাটারের মতো গুড ফ্যাট থাকতে হবে ডায়েটে।

লবণ-চিনি পরিমিত

লবণ বেশি খেলেই শরীরে পানি ধরে রাখার পরিমাণ বেড়ে যায় তাই মেপে লবণ খেতে হবে। কাচা লবণ কোনভাবেই খাওয়া চলবে না। আর সোডিয়াম কম আছে এমন ধরণের লবণ কিনুন। চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে বিকল্প হিসেবে গুড় বা মধু খেতে পারেন।

Related Articles

Back to top button
error: