সন্তান হওয়ার দোয়া ও আমল
একদিকে সন্তান লাভের ইচ্ছা ও স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব এর জন্য জাকারিয়া (আ.) মহান আল্লাহর কাছে শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তিনি সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে করুণা চেয়েছিলেন এবং মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেছেন।
- রাসুল (সা.) প্রতি নামাজের পর যে দোয়া পড়তেন
- কঠিন বিপদে মুক্তি পেতে যে দোয়া পড়তে হয়
- যে অভ্যাস মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে
মহান আল্লাহ নিঃসন্তান মাতা-পিতাকে নিচের এ দোয়া শিখিয়েছেন,
দোয়া
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খায়রুল ওয়ারিছিন।’
অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস (দানের অধিকারী)।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৯)
ইবরাহিম (আ.) একসময় নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে তখন এ দোয়া করেছেন,
উচ্চারণ : রব্বি হাবলি মিনাস সলেহিন।
অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে সত্কর্মশীল সন্তান দান করো।’ (সুরা : সাফফাত, আয়াত : ১০০)।
পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
মারিয়াম (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে জাকারিয়া (আ.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন জাকারিয়া (আ.) দেখতে পেলেন আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই মারিয়াম (আ.)-কে ফল দিয়ে রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। এবং তিনি আল্লাহর দরবারে বিশেষ এই দোয়া করেন।
দোয়া
উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩৮)।
দোয়া করার সময় অবশ্যই বান্দার আমল হতে হবে এমন যেন মনে সন্তান পাওয়া আশা থাকে, দোয়ার আবেদনে থাকতে হবে আল্লাহর প্রতি ভয়, দোয়ার সময় আল্লাহর প্রতি বিনয়ী হতে হবে এবং সব সময় সৎ কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
উল্লেখিত দোয়া গুলি বেশি বেশি পড়তে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তার বান্দাদের সন্তান দান করতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভে তাওফিক দান করুন। নিঃসন্তান দম্পতির উচিত আল্লাহর ওপর পরিপুর্ন ভরসা করে উল্লিখিত দোয়া গুলি পাঠ করা।
তারাবির নামাজ: পড়ার নিয়ম, নিয়ত, বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ও নিয়ম