একেকজন একেকটা বইকে প্রাধান্য দেন। যার ফলে প্রার্থীদের অনেকেই বিসিএস প্রিলিমিনারি বুকলিস্ট নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন! প্রথম অবস্থায় আপনি কম বই নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করুন। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য, উপাত্ত, গ্রাফ, চার্টের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পাঠ্য বই বা রেফারেন্স বইয়ের প্রয়োজন। বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য যেকোন প্রথম শ্রেণীর প্রকাশনীর ছয়টি গাইড বই পড়েই পরীক্ষায় পাস করা সম্ভব। একই বিষয়ে একাধিক বই পড়ার চেয়ে একটি বই-ই একাধিকবার পড়ুন।
বিসিএস প্রস্তুতির শুরুতেই নতুন প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শখানেক বইয়ের তালিকাসংবলিত বুকলিস্ট শুনেই ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান। অথচ অল্প কয়েকটি বই পড়েই প্রিলিমিনারি পাস করা সম্ভব।
বিসিএস প্রিলিতে একজন প্রার্থীকে সাধারণত ছয়টি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয় তা হল-
- বাংলা (ভাষা ও সাহিত্য),
- ইংরেজি (ভাষা ও সাহিত্য),
- গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা,
- সাধারণ বিজ্ঞান কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি,
- বাংলাদেশ বিষয়াবলি (ভূগোল ও নৈতিকতা) এবং
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি।
আপনি এই প্রতিটি বিষয়ের জন্য অন্তত একটি করে বই সংগ্রহ করবেন।
যে বই গুলি সংগ্রহ করতে পারেন
- বাংলা, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য প্রফেসরস/ওরাকল/এমপিথ্রি বা আপনার পছন্দমতো যেকোনো একটি প্রকাশনীর বই সংগ্রহ করতে পারেন।
- ইংরেজির জন্য প্রফেসরসের ‘ইংলিশ ফর কম্পিটিটিভ এক্সাম’ বইটি দেখতে পারেন।
- গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা ও সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য ওরাকলের বই দেখতে পারেন।
- কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির জন্য ইজি প্রকাশনীর বই পড়তে পারেন।
- ভূগোল ও নৈতিকতার জন্য বিষয়ভিত্তিক বই সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় না। ডাইজেস্ট থেকে পড়ে নিলেই উত্তর করতে পারবেন।
বাড়তি প্রস্তুতির জন্য যা করবেন
- বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ হলে চাকরির প্রস্তুতিসংক্রান্ত মাসিক ম্যাগাজিনগুলোর প্রিলির বিশেষ সংখ্যা এবং প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট দেখে নিন।
- এছারাও আপনি আইন মন্ত্রণালয়ের কিংবা আরিফুর রহমানের লেখা বাংলাদেশের সংবিধান; বাংলার জন্য ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং অগ্রদূত বাংলা; ইংরেজি সাহিত্যের জন্য শরীফ হোসাইনের প্র্যাকটিক্যাল হ্যান্ডবুক, গ্রামারের জন্য মাস্টার; গণিতের জন্য খায়রুলস বেসিক ম্যাথ; বিজ্ঞানের জন্য জামিলস বিজ্ঞান; বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য আজকের বিশ্ব বইগুলো দেখতে পারেন। পুরো রেফারেন্স বই বা বোর্ড বই পড়ে সময় নষ্ট না করে, এসব বই থেকে সামারি করে প্রস্তুত করা গাইড বই পড়লে অর্ধেক সময় বেঁচে যাবে।
সূত্র : কালের কন্ঠ