দৈনন্দিন জীবন

ঢাকার ভিতরে ঘোরার জায়গা, দর্শনীয় স্থান, পার্ক, রিসোর্ট

ঢাকার দর্শনীয় স্থান, ৩০০ ফিট ঘোরার জায়গা, ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা, ঢাকার বাইরে একদিনের ট্যুর, কাপলদের জন্য ঘোরার জায়গা, ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, মিরপুরে ঘোরার জায়গা, পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান, ঢাকার আশেপাশে রিসোর্ট, ঢাকার আশেপাশে পার্ক, কাপলদের জন্য ঘোরার জায়গা, মিরপুরে ঘোরার জায়গা, কম খরচে ঘোরার জায়গা, ঢাকার ভিতরে দর্শনীয় স্থান .

রিক্সার রাজধানী- ঢাকা, যাকে ‘মসজিদের শহর’ ও ‘প্রাচ্যের ভেনিস’ নামেও পরিচিত করা হয়। এই শহরটি বাংলাদেশের বাণিজ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল।

ঢাকার ভিতরে ঘোরার জায়গা, দর্শনীয় স্থান, পার্ক, রিসোর্ট

ঢাকা জেলা সহ ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ

শিরোনামস্থানকিভাবে যাওয়া যায়
ঢাকা জেলা সহ ঢাকা বিভাগের দর্শণীয় স্থানের তালিকাদর্শণীয় স্থানসমূহের বর্ণনায় উল্লেখিত।দর্শণীয় স্থানসমূহের বর্ণনায় উল্লেখিত।
আর্মেনিয়ান চার্চপুরনো ঢাকার আর্মেনীটোলায়।রিকশা বা সিএজিযোগে পুরানো ঢাকার আর্মানিটোলা আসা যায়।
আহসান মঞ্জিলইসলামপুরের কুমারটুলী, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।গুলিস্তান থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যায়, প্রাইভেট কার বা সিএনজিও নেওয়া যায়।
কার্জন হলঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।গুলিস্তান, শাহাবাগ হতে রিকশাযোগে যাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার যে কোন জায়গা হতে রিকশাযোগে যাওয়া যায়।
খান মোহাম্মাদ মৃধা মসজিদপুরনো ঢাকার লালবাগে।গাবতলী থেকে বিহঙ্গ পরিবহনে আজিমপুর বাসষ্ট্যান্ডে নেমে ১০ টাকা রিক্সা।
ছোট কাটরাবুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।গুলিস্তান হতে যে কোন রিকশাযোগে ছোট কাটরায় যাওয়া যাবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত।গাবতলী, মতিঝিল, ফার্মগেট হতে ধানমন্ডিগামী বাস, সিএনজি বা রিকশায়।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরশেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও।ফার্মগেট থেকে যে কোন বাস, টেম্পো, সিএনজি বা রিকশায় যেতে পারেন।
জাতীয় সংসদ ভবনশের-এ-বাংলা নগরে অবস্থিত।গাবতলী, সদরঘাট, মতিঝিল থেকে ফার্মগেটগামী বাসে যেতে পারেন।
জিনজিরা প্রাসাদবুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে।সদরঘাট থেকে নৌকাযোগে বুড়ীগঙ্গা নদী পার হয়ে জিঞ্জিরা যাওয়া যায়।
ঢাকা চিড়িয়াখানামিরপুরে অবস্থিত।সদরঘাট, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, গাবতলী থেকে বাসে যাওয়া যায়।
তারা মসজিদ (ঐতিহাসিক স্থাপনা)আরমানিটোলা, আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত।রিকশা বা সিএনজিযোগে আরমানিটোলা যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরশাহবাগ মোড়ের কাছে।গুলিস্তান, মতিঝিল, শাহাবাগ, গাবতলী, মিরপুর থেকে বাসে যাওয়া যায়।
বাহাদুর শাহ পার্ক (ঐতিহাসিক স্থান)সদরঘাটের সন্নিকটে লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত।সদরঘাটগামী বাস, হিউম্যান হলার, সিএনজি, টেম্পো বা রিকশায়।
রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধমিরপুরে অবস্থিত।বাবুবাজার থেকে যানজাবিল ব্রাদার্স বাসে যেতে পারেন।
রোজ গার্ডেনটিকাটুলিস্থ কে এম দাস লেনে অবস্থিত।সদরঘাট, গুলিস্তান, মতিঝিল বা সায়দাবাদ হতে রিকশা বা সিএজিতে যাওয়া যায়।
লালবাগ কেল্লা (ঐতিহাসিক স্থান)লালবাগে অবস্থিত।গুলিস্তান, শাহবাগ বা কার্জন হলের সামনে হতে রিকশা বা সিএজি যোগে।
সাত গম্বুজ মসজিদমোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থিত।ফার্মগেট থেকে মোহাম্মদপুর গামী বাস, রিকশা বা সিএনজিতে যাওয়া যায়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানরমনা রেসকোর্সের দক্ষিণে।ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকা থেকে রিকশাযোগে যাওয়া যায়।

আপনারা এই স্থানগুলোতে ঘুরতে গিয়ে ঢাকা বিভাগের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি ঝলক উপভোগ করতে পারবেন।

ঢাকার ভিতরে ঘোরার জায়গা, দর্শনীয় স্থান, পার্ক, রিসোর্ট

পুরান ঢাকা

পুরান ঢাকায় এক দিনের ভ্রমণ আপনাকে দেশের জমকালো ইতিহাসের ধারনা দিতে পারে। ঢাকা শহরের প্রথম কফি শপ হিসাবে ধরে নেওয়া হয় আইকনিক ক্যাফে কর্নার যেখান থেকে সকালের নাস্তা খেয়ে দিনের শুরু করুন। তারপরে পুরান ঢাকার গলি পেরোুন, বিশ্বাস রাখুন এখানকার গলি ভ্রমণ আপনাকে সেরা আর্কিটেকচারাল দর্শন দিবে। ঢাকার-আহসান মনজিলের নবাবদের বাসস্থান, বিউটি বোর্ডিং, লালবাগ দুর্গ, তারা মসজিদ, , ঢাকেশ্বরী মন্দির আপনাকে প্রানজ্জল করার ক্ষমতা রাখে। পুরান ঢাকার হরেক রকমের রাস্তার খাবার আপনার পেট, হৃদয় ও প্রাণকে পরিপূর্ণ করতে পারে।

শিল্পকলা একাডেমি

সেগুনবাগিচায় অবস্থিত একাডেমি হল বাংলাদেশের জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি কলা ও কারুশিল্পের প্রেমে পড়বেন। সারা বছর ধরে আয়োজিত বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শনীতে ভরপুর এই স্থানটি।

বেঙ্গল বই ও বাটিঘর

আপনি যদি বই পছন্দ করেন তবে অবশ্যই এই দুটি জায়গা অবশ্যই দেখার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, কফি বা চা চুমুক দেওয়ার সময় পড়া আপনাকে নিজের চিন্তার জগতে হারিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে।

টিএসসি ও কার্জন হল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমন একটি স্থান যা স্বাধীনতার ইতিহাস চিত্রিত করে। বাঙালি সভ্যতার সংস্কৃতি এই ক্যাম্পাসে কিছু বহিরের জায়গা পেয়েছে। এটি অন্য একটি স্ট্রিট ফুড স্বর্গে পরিণত হয়েছে বাহিরের জায়গা পাবার জন্য। টিএসসিতে আপনি নানান ধরণের চা খেতে পারেন আর চালিয়ে যেতে পারেন বিরামহীন আড্ডা।

রমনা পার্ক

রমনা পার্ক ঢাকা শহরের রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি বিনোদন এলাকা। রমনার বটমুলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন অনেক জনপ্রিয়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয় এখানে। রমনার নামকরণ করেন মোঘলরা।

জাতীয় বোটানিকাল গার্ডেন এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা

এই উভয় স্থানই মিরপুর অঞ্চলে অবস্থিত। বোটানিকাল গার্ডেন ঢাকার বৃহত্তম বোটানিকাল উদ্যানগুলির মধ্যে একটি। জাতীয় চিড়িয়াখানা ১৬৫ প্রজাতির ২০০০ এরও বেশি প্রাণীর একটি বাসস্থান।

হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি লেক

ঢাকা-হাতিরঝিলের একটি লেকফ্রন্ট আগে বস্তি অঞ্চল ছিল। এটি পরবর্তিতে একটি বিনোদনমূলক জায়গায় পরিণত হয় যা ঢাকা যানজট কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এখন বিনোদন-খাবার, জলবাহী বাস, আশ্চর্যজনক দৃশ্য ইত্যাদি এখানে রয়েছে দেখার মত। ধানমন্ডি লেকও এখানকার কাছাকাছি বাসিন্দাদের জন্য একটি প্রিয় গন্তব্য স্থান। রবীন্দ্র সরোবর ঘুরবার করার জন্য আরও একটি দুর্দান্ত জায়গা।

উত্তরার দিয়াবাড়ি

উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বিনোদিত করবে। দিয়াবাড়ির শরতকালের কাশফুলে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে নিয়ে যাবে প্রকৃতির খুব কাছে।

মার্কেট এবং ইনডোর খেলার মাঠ

নিউ মার্কেট ঢাকর বৃহত্তম বাজার তবে সম্প্রতি যমুনা ফিউচার পার্ক এবং বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স হল আধুনিক শপিং মল।

এই দুটি মার্কেটেই ইনডোর খেলার মাঠ রয়েছে। বসুন্ধরা সিটিতে রয়েছে আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ফিউচার ওয়ার্ল্ডে রয়েছে সমস্ত আধুনিক লাইভ গেমিং সুবিধা। লালমাটিয়াতে অবস্থিত ‘ওপারসাইড ডাউন গ্যালারী বিডি’ তেও ঘুরে আসতে পারেন।

জল জঙ্গলের কাব্য

    • অবস্থান: গাজীপুর, পুবাইল
    • বিবরণ: ৯০ বিঘা জায়গায় গড়ে উঠেছে এই জায়গাটি, যেখানে গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করা যায়।
    • খরচ: জনপ্রতি ৩,০০০ টাকা (খাবারসহ)।
    ঢাকার ভিতরে ঘুরে বেড়ানোর মতো ৮টি জায়গা

    সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর

      • অবস্থান: নারায়নগঞ্জ, পানাম নগর
      • বিবরণ: মাসব্যাপী লোকশিল্প মেলার আয়োজন হয়।
      • খরচ: প্রবেশমূল্য ২০ টাকা (শুক্রবার থেকে বুধবার, ১০.০০-৫.০০)।

      পদ্মা রিসোর্ট

        • অবস্থান: মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং
        • বিবরণ: পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত, কটেজ, রিভার ক্রুজ ও খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে।
        • পর্যটন সময়: ঢাকা থেকে ২ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়।

        ড্রিম হলিডে পার্ক

          • অবস্থান: নরসিংদী
          • বিবরণ: পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করার জন্য একটি থিম পার্ক।
          • খরচ: প্রবেশমূল্য ২০০ টাকা (রিসোর্টের ব্যবস্থা আছে)।

          বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

            • অবস্থান: মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া
            • বিবরণ: বিশাল জমিদার বাড়ির স্থাপনা দর্শনীয়।
            • সময়: রোববার ও সোমবার ছাড়া, ৯.০০-৫.০০ পর্যন্ত খোলা থাকে।

            যমুনা রিসোর্ট

              • অবস্থান: টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের মাঝে
              • বিবরণ: সুইমিং পুল, খেলাধুলার ব্যবস্থা, জিম ইত্যাদি রয়েছে।
              • খরচ: জনপ্রতি ৪,০০০ টাকা।

              বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

                • অবস্থান: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজারের কাছে
                • বিবরণ: পার্কটির বিভিন্ন সেকশনে বন্যপ্রাণী দেখা যায়।
                • খরচ: প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা।

                নিকলী হাওর

                  • অবস্থান: কিশোরগঞ্জ
                  • বিবরণ: প্রকৃতির স্নিগ্ধতা উপভোগ করার জন্য।
                  • যাওয়ার উপায়: কিশোরগঞ্জ শহর থেকে সিএনজি তে নিকলি ঘাট।

                  নকশী পল্লী

                    • অবস্থান: পূর্বাচর, বালু নদীর পাশে
                    • বিবরণ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিবেশিত খাবার উপভোগের জায়গা।
                    • অতিরিক্ত: বোটে করে নদীতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ।

                    জিন্দা পার্ক

                    • অবস্থান: নারায়নগঞ্জ, রূপগঞ্জ
                    • বিবরণ: খাওয়া দাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট এবং গেস্ট হাউজের ব্যবস্থা।
                    • খরচ: প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা।

                    ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থান, ঢাকায় নিরিবিলি ঘুরার জায়গা, ঢাকার পার্ক সমূহ, ঢাকার দর্শনীয় স্থানের সময়সূচী, পুরান ঢাকার দর্শনীয় স্থান, ঢাকার ঐতিহাসিক স্থান, ঢাকার দর্শনীয় স্থান খোলা বন্ধের সময়সূচী, ঢাকার আশেপাশে পার্ক

                    Related Articles

                    Back to top button
                    error: