গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত থাকা উচিত, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর মাত্রা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীর গর্ভধারণ
নারীদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের নানান নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। টাইপ-১ বা টাইপ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের সময় এবং গর্ভধারণের পর নানান জটিলতার বা স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই গর্ভে সন্তান আসার আগে থেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা যেন তৈরি না হয় সেজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন।
গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত দুই ধরণের জটিলতা সাধারণত দেখা যায়। এক -যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস (টাইপ-১ বা টাইপ২) থাকে এবং দুই- যারা গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) আক্রান্ত হন।
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যৌন মিলনে কি গর্ভপাত হতে পারে?
গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভপাত হবার কারণ ও গর্ভপাতের উপসর্গ
গর্ভপাত প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন।
গর্ভধারণের আগে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে যা করবেন
গর্ভকালীন সেক্স প্ল্যানিং কেমন হবে?
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ:
গর্ভধারণের আগে থেকেই যেসব নারীরা টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকেন তাদের গর্ভকালিন নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- শিশুর আকৃতি অপেক্ষাকৃত বড় হয়, ফলে সাধারণের তুলনায় বেশি প্রসব বেদনা অনুভব করতে পারেন নারী।
- গর্ভবতী নারীর চোখে (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি) ও কিডনিতে (ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি) জটিলতা দেখা যেত পারে।
- টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে যার ফলে রক্তে ক্ষতিকর রাসায়নিক কেটোন তৈরি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এ ধরণের রোগ তৈরি হতে পারে বা এসব রোগ থাকলে গর্ভকালীন সময়ে তার তীব্রতা বাড়তে পারে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস যেভাবে সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে:
সন্তান গর্ভে থাকার সময় মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে নানাভাবে সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- জন্মগ্রহণের পরপরই সন্তানের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে (হৃৎপিন্ড ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা)।
- ভবিষ্যতে সন্তানের স্থূলাকৃতির দেহ (অতিরিক্ত ওজন) হওয়ার বা ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- জন্মের পর থেকেই স্নায়ুতন্ত্র এবং হৃৎপিন্ডের সমস্যার সাথে আরো কিছু সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের যা করণীয়:
টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে গর্ভধারণের অন্তত তিনমাস আগে থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারী গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে অবশ্যই নিশ্চিত করে নিবে যে তার ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় ডায়াবেটিসের জন্য যেসব ওষুধ গ্রহণ কর হয়, গর্ভকালীন অবস্থায় ওষুধ গ্রহণের মাত্রা এবং ওষুধের ধরণ পরিবর্তিত হয় তাই নিয়ম করে চিকিতসকের পরামর্শ কত চলতে হবে।
গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণের চেষ্টার সময় থেকে গর্ভধারণের পর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত। এর ফলে জন্মগ্রহণের সময় শিশুর নানান রকম জটিলতা তৈরি হয় না।
আরও পরুন
গর্ভাবস্থায় যে উপসর্গগুলি দুশ্চিন্তার কারণ নয়
গর্ভবতী নারী করোনার সময়ে যা খাবেন।
গর্ভকালীন খাবারের তালিকা বা ডায়েট চার্ট।
গর্ভাবস্থায় যে খাবার গুলো অবশ্যই খাবেন না।
গর্ভাবস্থায় যে খাবার গুলো অবশ্যই খাবেন।
৬ থেকে ১২ মাস বয়সে শিশু কেমন ও কতবার খাবে।
৬ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর খাবারের ক্ষেত্রে যা অবশ্যই মনে রাখবেন।
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর যত উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর খাদ্য তালিকা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কেন হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস, ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়