স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

গর্ভাবস্থায় যে খাবার গুলো অবশ্যই খাবেন

গর্ভাবস্থায় খাবার – অনেকেরই টক খাবার খুব প্রিয়। কিন্তু প্রেগন্যান্ট অবস্থায় থাকা চাহি সতর্ক। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অনেক সময়ই ঘটে যেতে পারে অজ্ঞতার কারণে। তাই গর্ভাবস্থায় একজন নারীর কী খাওয়া উচিৎ এবং কী উচিৎ না তা জানা থাকতে হয়।   

সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্য খাওয়া উচিৎ কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভের শিশুটি যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় তা আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। তাই আপনাকেই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং এমন কিছু খাবার আছে যা খাওয়া নিরাপদ নয় তা বাদ দিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিই গর্ভাবস্থায় একজন নারীর কি ধরণের খাবার খাওয়া উচিৎ এবং কোন খাবারগুলো বাদ দেয়া উচিত।  

প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যে খাবার খেতে হবে –

ফল ও শাকসবজি

দিনে চেষ্টা করুন ৫ বার ফল ও ৭ বার সবজি খাওয়ার। ফলের থেকে বেশি গুরত্ব দিন শাকসবজি খাওয়াতে। জুস করেও খেতে পারেন পারেন। তবে এর সাথে থাকা সুগার ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি এবং দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই এগুলো অল্প পরিমাণে পান করাই ভালো। তাজা ফল ও সবজি খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।

শর্করা জাতীয় খাবার

আলু, লাল চালের ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি শর্করা জাতীয় খাবার আপনার দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে এনার্জি দেয়।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

চর্বিহীন মাংস, মুরগী, মাছ, ডিম, ডাল (মটরশুঁটি, মসূর ডাল) ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন বার বা তার বেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সারডিন, স্যামন এর মত তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে এক দিন খেতে পারেন। আমিষ জাতীয় খাবার সাহায্য করে গর্ভের শিশুর শরীরের নতুন টিস্যু গঠনের জন্য। 

দুগ্ধজাত খাবার

দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাবার ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এগুলোর চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম থাকে তা খেয়াল করতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে।

অনেকের শরীরেই আয়োডিনের ঘাটতি থাকে। আয়োডিন এমন একটি খনিজ উপাদান যা শিশুর মস্তিষ্কের গঠনের জন্য গুরত্ত্বপুর্ন। দুগ্ধজাত খাবার ও সামুদ্রিক খাবার আয়োডিনের ভাল উৎস।  

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর অনেক বেশি কাজ করতে থাকে। তবে প্রথম ৬ মাসে সাধারণত বাড়তি ক্যালোরির প্রয়োজন হয়না। তাই গর্ভাবস্থায় যখনই ক্ষুধাবোধ হবে তখনই খাবেন।

Related Articles

Back to top button
error: