স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ও জলবসন্ত বা পক্সের পার্থক্য

এই হ্যান্ড ফুট মাউথ হলে করণীয়, হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ এর লক্ষণ, হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ট্রিটমেন্ট, গরুর ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ, Hand, foot-mouth disease, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ এর ঔষধ, best cream for hand, foot and mouth disease, Hand foot mouth disease bangla।

হ্যান্ড ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ ট্রিটমেন্ট, লক্ষণ, ঔষধ, খাবার

হ্যান্ড ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ
হ্যান্ড ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ

যদিও হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ এবং জলবসন্ত এই দুই রোগ হল ভাইরাসজনিত অসুখ।

দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজে গলা ব্যথা, জ্বর এবং খাবারে অরুচি প্রথম দিকের উপসর্গ। এর কয়েকদিন পর মুখ ও জিহ্বায় পুঁজযুক্ত ঘায়ের মত ফুসকুড়ি হয়।

যাতে ব্যথা হতে পারে, খেতে কষ্ট হতে পারে। এই অসুখে হাতে এবং পায়ে ত্বকের রঙ অনুযায়ী গোলাপি, লাল অথবা কাল রঙের উঁচু গোটা দেখা দেয়। পরে তা পানিযুক্ত ফুসকুড়ির মতো হয়।

বেশিরভাগ সময় হাত, পা এবং জিহ্বাতেই ফুসকুড়ি দেখা দেয় তবে উরু অথবা নিতম্বেও মাঝে মাঝে হয়ে থাকে।

শিশু এবং বড়দের প্রায় একই রকম লক্ষণ থাকে। তবে পাঁচ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের এই রোগে লক্ষণগুলো বেশি কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। অসুখটি একাধিকবারও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা সিডিসি’র তথ্যমতে এটি বেশ ছোঁয়াচে এবং আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে বেশি ছড়ায়।

রোগীর শরীরের সাথে সরাসরি সংস্পর্শ হলে, আক্রান্ত হওয়ার পর গোটা থেকে বের হওয়া তরল পদার্থ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে যে ‘ড্রপলেট’ ছড়ায়, মুখের লালা, সর্দি, মলের মাধ্যমে এর সংক্রমণ হতে পারে।

সাধারণত বর্ষাকালে এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অসুখটি সাধারণত কম হয়। ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ’ নামে গবাদি পশুর একটি অসুখ রয়েছে যা এক রকম নয়।

আর জলবসন্তে (Chickenpox) জ্বরের সাথে শরীরে বেশ ব্যথা হয়। এর তিন চারদিন পর শরীরে গোটা দেখা দেয়। তবে শুধু হাত বা পায়ে নয়, সারা শরীরে হতে পারে, আর শরীরের নির্দিষ্ট যেকোনো স্থানে হতে পারে।

মাথায় এমনকি যৌনাঙ্গেও গোটা হতে পারে। জলবসন্তের গোটাগুলোতে তরল পদার্থ থাকে। সারা শরীরে একই ধরনের থাকে, যা পেকে ওঠে আর একপর্যায়ে ফেটে যায়।

এসময় আরও নতুন গোটা দেখা দিতে পারে। জলবসন্তের সাথে একটি বড় পার্থক্য হল এর গোটাগুলো চুলকায়।

জলবসন্ত বড়দের বেশি কষ্টদায়ক হয়। জলবসন্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অনেক ক্ষতি করে। সাধারণত একবার জলবসন্ত হলে দ্বিতীয়বার হয় না। একের বেশি জলবসন্ত হওয়া খুব বিরল।

সিডিসির তথ্যমতে জলবসন্ত খুব ছোঁয়াচে। কোন রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এলে রোগটি ছড়ায়। অসুখটির লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম এক থেকে দুইদিন সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।

একজন আক্রান্ত ব্যক্তির কাছের মানুষদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরই এই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণত শীতের শেষে এবংবসন্ত কালে এটি বাংলাদেশে বেশি দেখা দেয়।

Related Articles

Back to top button
error: