দৈনন্দিন জীবন

যে কারণে অজু ভেঙে যায় যে কারণে অজু ভাঙে না

যে কারণে অজু ভেঙে যায় যে কারণে অজু ভাঙে না। লজ্জাস্থানে দেখলে কি অযু ভেঙে যায়, পাদ দিলে কি ওযু ভেঙে যায়, ওযু ভঙ্গের কারণ ১৯টি, মাথায় কাপড় না দিলে কি ওযু ভেঙে যায়, শুয়ে থাকলে কি ওযু ভেঙে যায়, অজু ভঙ্গের কারণ।

নারীদের ওযু ভঙ্গের কারণ, ছবি দেখলে কি অজু ভেঙ্গে যায়। নারীদের ওযু ভঙ্গের কারণ, নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯টি, অজু ভঙ্গের কারণ কি কি, ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ, অযু ভঙ্গের কারণ কয়টি, নামাজ ভঙ্গের কারণ ৭টি, ওযু মাকরুহ হওয়ার কারণ, উলংগ হলে কি ওযু ভাঙ্গে।

নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯টি, ওযু ভঙ্গের কারণ ৭টি, ওযু ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কী কী, ওযু ভঙ্গের কারণ দলিল সহ, উলংগ হলে কি ওযু ভাঙ্গে, ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি, মিথ্যা বললে কি ওযু ভাঙে, শুয়ে থাকলে কি ওযু ভেঙে যায়।

অজু ভঙ্গের সাতটি কারণ জেনে রাখুন! ওযু ভাঙ্গে না যা করলে!

জোরে হাসলে কি ওযু ভেঙে যায়, ঝিমালে কি ওযু ভাঙ্গে, কৃমি বের হলে কি ওযু ভেঙ্গে যায়, বসে ঘুমালে কি ওযু ভাঙ্গে, প্রস্রাব করলে কি ওযু ভেঙে যায়, ফরজ কয়টি কি, সালাতের ফরজ কি, ফরজ কাজ কি কি।

ওযু ভাঙ্গে না

এখানে অজু ভঙ্গের সাতটি কারণ উল্লেখ করা হল-

১। প্রস্রাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব, পায়খানা, রক্ত, বায়ু, ক্রিমি ইত্যাদি বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়।

২। শরীরের ক্ষতস্থান হতে রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়।

৩। মুখ ভরে বমি হলে অজু ভেঙ্গে যায় অজু ভেঙ্গে যায়।

৪। থুতুর সাথে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হলে।

৫। চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়া ঘুমালে অজু ভেঙ্গে যায়।

৬। পাগল, মাতাল বা অচেতন হয়ে পড়লে অজু ভেঙ্গে যায়।

৭। নামাযে উচ্চস্বরে হাসলে অজু ভেঙ্গে যায়।

উলংগ হলে কি ওযু ভাঙ্গে?

যদি কেউ পবিত্র অবস্থায় থাকে তাহলে পোশাক পরিবর্তন করা অজু ভঙ্গের কারণ হয় না যদি না অজু ভঙ্গের কোনো কারণ ঘটে। এ ক্ষেত্রে নর-নারীর বিধান সমান।

শুয়ে থাকলে কি ওযু ভেঙে যায়?

নামাজরত ব্যক্তির ঘুমের কারণে অজু ভাঙে না। চাই তা দাঁড়ানো অবস্থায় হোক বা বসা, রুকু বা সিজদা অবস্থায় হোক। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৬০৯)। নিতম্বদ্বয় জমিতে ঠেসে লেগে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লেও ওযু ভেঙে যায় না। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৭২)

গালি দিলে কি ওযু ভাঙ্গে

গালি দিলে ওযু ভঙ্গ হয় না ,কিন্তু সে গুনাগার হবে সে মানুষের কাছে অসম্মানিত হবে। যে গালি দেবে তাকে ছোটরা সম্মান করবে না কিন্তু গালি দেওয়ার কারণে ওযু নষ্ট হবে না

নখ কাটলে কি ওযু ভাঙ্গে

চুল, নখ ইত্যাদি সাফ করলে ওযু ভাঙ্গে না। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ১/২৯২, বুখারী ১/৩৩৬) তদনুরুপ অশ্লীল কথা বললে, হাঁটুর উপর কাপড় উঠে এলে,

নারীদেহ্‌ স্পর্শ করলে কি ওযু ভাঙ্গে?

নারীদেহ্‌ স্পর্শ করলে ওযু ভাঙ্গে না। কারণ, মহানবী (সাঃ) রাত্রে নামায পড়তেন, আর মা আয়েশা (রাঃ) তাঁর সম্মুখে পা মেলে শুয়ে থাকতেন। যখন তিনি সিজদায় যেতেন, তখন তাঁর পায়ে স্পর্শ করে পা সরিয়ে নিতে বলতেন। এতে তিনি নিজের পা দু’টিকে গুটিয়ে নিতেন। (বুখারী ৫১৩, মুসলিম, সহীহ ৫১২নং)

লজ্জাস্থানে দেখলে কি অযু ভেঙে যায়?

কাউকে বা নিজেকে উলঙ্গ দেখলে ওযু নষ্ট হয় না।

মাথায় কাপড় না দিলে কি ওযু ভেঙে যায়?

মহিলার মাথা খোলা গেলে ওযু নষ্ট হয় না।

উলংগ হলে কি ওযু ভাঙ্গে?

কাউকে বা নিজেকে উলঙ্গ দেখলে ওযু নষ্ট হয় না।

জোরে হাসলে কি ওযু ভেঙে যায়?

হো-হো করে হাসলে বা জোরে হাসলে ওযু ভাঙ্গে না। (ফিকহুস সুন্নাহ্‌ উর্দু ১/৫০-৫১, বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ১/৩৩৬)

ঝিমালে কি ওযু ভাঙ্গে?

নামাজরত ব্যক্তির ঘুমের কারণে অজু ভাঙে না। চাই তা দাঁড়ানো অবস্থায় হোক বা বসা, রুকু বা সিজদা অবস্থায় হোক। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৬০৯)। নিতম্বদ্বয় জমিতে ঠেসে লেগে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লেও ওযু ভেঙে যায় না। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৭২)

বসে ঘুমালে কি ওযু ভাঙ্গে?

নামাজরত ব্যক্তির ঘুমের কারণে অজু ভাঙে না। চাই তা দাঁড়ানো অবস্থায় হোক বা বসা, রুকু বা সিজদা অবস্থায় হোক। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৬০৯)। নিতম্বদ্বয় জমিতে ঠেসে লেগে থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লেও ওযু ভেঙে যায় না। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৭২)

বমি করলে কি অজু ভেঙে যায়?

যদি বমি হয়, কিন্তু তা মুখ ভরে না হয় তবে অজু ভাঙে না। (আল আসার লি আবি ইউসুফ : ৩৪)। কফমিশ্রিত বমি হলে। কারণ কফ বের হওয়াকে ইসলামের পরিভাষায় ‘হাদাস’ বলা হয় না। ‘হাদাস’ হলেই অজু ওয়াজিব হয়, অন্যথায় নয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৩০১)

এছাড়া আর যে কারণে অজু ভাঙে না তা নিচে দেয়া হল-

  • গাঁটের নিচে কাপড় ঝুলানো কাবীরা গুনাহ। কিয়ামতে আল্লাহ সেই ব্যক্তির দিকে তাকিয়েও দেখবেন না, যে তার পরনের কাপড় পায়ের গাঁটের নিচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরে। (বুখারী ৫৭৮৪, মুসলিম, সহীহ ২০৮৫নং) কিন্তু এর ফলে ওযু ভাঙ্গে না।
  • ওযু করে মায়েরা যদি তাদের শিশুর পেশাব বা পায়খানা সাফ করে, তবে তা হাতে লাগলেও ওযু ভাঙ্গে না। অবশ্য পায়খানাদ্বার বা পেশাবদ্বার ধোয়ার সময় কোন দ্বারে হাত লাগলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়। (ঐ ২২/৬২)
  • কোনও নাপাক বস্তু (মানুষ বা পশুর পেশাব, পায়খানা, রক্ত প্রভৃতি)তে হাত বা পা দিলে ওযু ভাঙ্গে না। (ঐ ৩৫/৯৬)
  • ওযু করার পর ধূমপান করলে ওযু নষ্ট হয় না। তবে ধূমপান করা অবশ্যই হারাম। (ঐ ১৮/৯২-৯৩)
  • কোলন, কোহল বা স্পিরিট-মিশ্রিত আতর বা সেন্টব্যবহার করলে ওযুর নষ্ট হয় না। তবে তা ব্যবহার বৈধ নয়। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২০৩)
  • যদি রক্ত বের হয়; কিন্তু নিজের স্থান থেকে গড়িয়ে পড়ে না তবে ওযু ভাঙ্গে না।(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১৩৭)
  • কোনো ক্ষত স্থান অথবা কান থেকে পোকা বের হলে ওযু ভাঙ্গে না। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ১/৬২৯)
  • নিজের লজ্জা স্থান স্পর্শ করলে ওযু ভাঙ্গে না। (নাসায়ি, হাদিস : ১৬৫)
  • নারীর শরীর স্পর্শ করলে ওযু ভাঙ্গে না। (নাসায়ি, হাদিস : ১৭০)
  • ঘুমের ঘোরে নাক ডাকলে ওযু ভাঙ্গে না। (মুআত্তা মালেক, হাদিস : ৩৬)

Related Articles

Back to top button
error: