এই ভাইরাসটি করোনা ভাইরাস পরিবারের সদস্য দ্বারা সৃষ্ট যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) রোগ প্রতিরোধের জন্য বর্তমানে কোনও ভ্যাকসিন নেই। যেহেতু এটি ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া তাই অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও ব্যবহার হয় না। ফ্লুর বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রয়েছে সেগুলি কার্যকর না। এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া নির্ভর করে ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উপর।
এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে তবে তাতে কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। যেহেতু এই রোগের কোনও ভ্যাকসিন নেই তাই এই রোগ থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়তে না দেয়া।
মানুষজনের চলাচল সীমিত করে দেয়ার ফলে বিস্তার অনেকটাই কমে আসবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে রোগীদের আলাদা আলাদা করে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং অন্যের মধ্যে যাতে এই ভাইরাস না ছড়িয়ে পরে সে ব্যাপারেও সচেতন হন-
যা করবেন-
- নিয়মিত সাবান এবং পানি বা অ্যালকোহল মিশ্রিত পরিষ্কারক দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে আপনার হাত ধুয়ে নিন
- আপনি যখন কাশি বা হাঁচি দিবেন তখন টিস্যু বা কনুই এর মাঝে আপনার নাক এবং মুখ ঢেকে রাখুন
- অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা (১ মিটার বা ৩ ফুট) এড়িয়ে চলুন
- আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে বাড়ির অন্যদের থেকে নিজেই বিচ্ছিন্ন হন এবং বাড়িতে থাকুন
- আপনার হাত পরিষ্কার না হলে আপনার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না
- বাহিরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন যা এই রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখবে।
বাংলাদেশের শীর্ষ হাসপাতাল
ঢাকা, বাংলাদেশের সেরা ত্বক বিশেষজ্ঞের তালিকা
ঢাকা, বাংলাদেশের সেরা ডেন্টিস্ট