গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস, ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়, ডায়াবেটিস হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়।
ঢাকা বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত থাকা উচিত, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর মাত্রা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা।
গর্ভকালে নারীদের শারীরবৃত্তীয় ও হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়।এ সময় হরমোনের উচ্চমাত্রাসহ কিছু ঝুঁকির কারণে অনেকের ডায়াবেটিস হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর একটি প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত ওজন। গর্ভধারণের আগে যদি মায়ের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে তবে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যদি পরিবারে কারও ডায়াবেটিসের ইতিহাস, আগের সন্তান ধারণের সময় ডায়াবেটিসের ইতিহাস, পলিসিস্টিক ওভারি, প্রি–ডায়াবেটিস, কায়িক শ্রমের ঘাটতি ইত্যাদি থাকে। তবে প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসে সহজেই এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব।
জেস্টেশনাল বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে যা একেবারেই উপেক্ষা করবেন না
সাধারণত সন্তানধারণের সময় ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গর্ভস্থ শিশু ও মা দুজনেরই শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগতে পারেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের পরপড় এই সুগার লেভেল আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। যদিও পরবর্তী সময়ে আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েই যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট ও খাদ্য তালিকা
গর্ভকালে বেশ কঠোর খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কারণ, এ সময় মায়েদের অতিরিক্ত ক্যালরি দরকার হয়। সাথে চাই সঠিক পুষ্টিও। তাই খাবারের ধরন ও পছন্দ পাল্টাতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যালরি হিসাব করে সঠিক মাত্রায় শর্করা, আমিষ, চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেলসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্যতালিকা করা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে খাবারের ক্যালরির মাত্রাও পরিবর্তন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, বাচ্চার কি ক্ষতি হয় ও কমানোর উপায়
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীরা দিনে কমপক্ষে তিনবার স্বল্প থেকে মাঝারি পরিমাণে খাবার খাবেন। সেই সঙ্গে দুই থেকে চারবার হালকা খাবারও খাবেন। খাবারে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সুষমভাবে থাকতে হবে।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দৈনিক খাদ্যতালিকায় আঁশসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। যেমন হোল গ্রেইন (সম্পূর্ণ শস্য), তাজা শাকসবজি, ফল ইত্যাদি খাবার। সরল শর্করার (যেমন যেকোনো চিনি বা মিষ্টিযুক্ত খাবার কিংবা গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার, সাদা রুটি বা চাল) পরিবর্তে জটিল শর্করা যেমন লাল আটা, লাল চাল, ওটস, গোটা শস্য এসব খাবার বেছে নিতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে ১০ গ্রাম করে আঁশসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ালে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ২৬ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলা সম্ভব। একই সাথে মায়ের পুষ্টি চাহিদাও অনেকাংশে পূরণ হবে।
যে ৪টি সবজি ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই খাবেন
- জটিল শর্করার পাশাপাশি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের পুষ্টিকর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে আছে মাছ, মুরগি, ডিম, টফু, বিনস, শুঁটি জাতীয় খাবার। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম–সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, বাদাম, পালংশাক, ছোট মাছসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া অসম্পৃক্ত চর্বিসমৃদ্ধ খাবার যেমন অলিভ অয়েল, পিনাট অয়েল, অ্যাভোকাডো, সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, সারডিন, টুনা), চিয়া সিডস ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
- যেসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, সেগুলো এ সময় খাওয়া যাবে না। প্রক্রিয়াজাতকৃত চিনিযুক্ত খাবারও খাওয়া উচিত নয়। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আছে কেক, কুকিজ, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ইত্যাদি অন্যতম। এ ছাড়া স্টার্চ (শ্বেতসার) জাতীয় খাবার (যেমন সাদা আলু, সাদা ভাত, সাদা পাউরুটি) রক্তে শর্করার ওপর বেশ প্রভাব ফেলতে পারে।
- প্রতিদিনের রুটিনে অবশ্যই নিয়ম করে বিভিন্ন ধরনের মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম (হাঁটা, সাঁতার, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ) করতে হবে। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক থাক থাকবে।