স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চা

খেজুর গুড় খাওয়ার যত উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর গুড় খাওয়ার নিয়ম, আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা, খেজুর গুড়ের উপকারিতা, আখের গুড়ের অপকারিতা, গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে, চিনি ও গুড়ের পার্থক্য, ভেলি গুড়ের উপকারিতা, তালের গুড়ের উপকারিতা।

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা, খেজুরের গুড়ের অপকারিতা, খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়, খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান, খেজুর গুড় in english, আখের গুড়, খেজুর গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে, খেজুর গুড়ের ছবি।

গুড় শরীরের জন্য নানা দিক দিয়েই ভালো। রিফাইন করা চিনির চেয়ে আখ বা খেজুরের রস দিয়ে তৈরি গুড় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গুড় শরীরের জন্য কি উপকার করে তা দেখে নেওয়া যাক।

খেজুর গুড়ের উপকারিতা

দূর হবে সব ক্লান্তি

দিন শেষে প্রায়ই শরীরে আর শক্তি থাকে না। আবার অনেক সময় ক্লান্ত আর অবসন্ন লাগে। এই অবস্থায় গুড়ের তৈরী পানীয় হতে পারে আপনার সকল ক্লান্তির চিকিৎসা। হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খেলেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। গুড়ে কার্বোহাইড্রেট আছে যা শরীরে এনার্জি জোগাতে সক্ষম হয়।

মেটাবলিজম ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

গুড়ে আছে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ১, বি ৬, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি। তাই সকালে বা রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে গুড় পানি মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত করে।

ওজন কমায়

বেশিরভাগ সময়ই আমরা বলি যে মিষ্টি খেলেই ওজন বাড়ে। কিন্তু মিষ্টি খেলেও যে ওজন কমতে পারে? গুড়ে পটাসিয়াম আছে যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট সমতা বজায় রাখে। তাই পানি ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় যার ফলে বাড়তি মেদও কমে। গুড় পেশি গঠনেও সাহায্য করে ।

শরীর সুস্থ রাখে

গুড় প্রাকৃতিকভাবে লিভার এবং রক্তও পরিষ্কার করে। নিয়মিত গুড় খেলে শরীর টক্সিনমুক্ত হবে ফলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে।

খেজুর গুড়ের অপকারিতা

ওজন বাড়াতে পারে

 প্র্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ৩৮৫ ক্যালরি, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় থাকলে গুড় তাদের জন্য নয়। সামান্য পরিমাণে খেলে হয়ত সমস্যা হবে না। তবে বেশি খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

ডায়াবেটিস বাড়াতে পারে

যাঁদের ডায়াবেটিস আছে খেজুরের গুড় খাওয়া তাঁদের একেবারেই নিষেধ। চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর হলেও গুড় মিষ্টি, তাই এটি বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবেই।

জীবাণু সংকমণ

গুড় তৈরির পদ্ধতিতে ভুল হলে বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হলে সেই গুড় থেকে অন্ত্রে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।

হজমের সমস্যা হতে পারে

সদ্য তৈরি গুড় খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। আবার এই সদ্য তৈরি গুড় খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণও রয়েছে।

রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে

গুড় প্রক্রিয়াজাত নয় আর এতে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। তাই বাত বা প্রদাহভিত্তিক রোগ থাকলে গুড় বাদ দিতে হবে বা একেবারে সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ গবেষণায় দেখা দেছে, সুক্রোজ ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে প্রদাহের মাত্রা বাড়াতে পারে।

চিনি ও গুড়ের পার্থক্য, ঝোলা গুড়ের উপকারিতা, আখের গুড় চেনার উপায়, আখের গুড়ের উপকারিতা, আখের গুড়ের শরবত, তালের গুড়ের উপকারিতা, খেজুরের গুড় english, আখের গুড়ের দাম ২০২৪।

গর্ভাবস্থায় যে উপসর্গগুলি দুশ্চিন্তার কারণ নয়

Related Articles

Back to top button
error: