
Last updated on March 4th, 2025 at 05:37 am
অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত আলু খেয়ে থাকি। আমাদের দেশে ভাতের পরই আলু প্রধান খাবার। কারণ আলুর পুষ্টিগুণ অনেক এবং এখানে উৎপাদনও হয় প্রচুর। দেশি লাল আলু শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য বিভিন্নভাবে সহায়ক হতে পারে। এখানে দেশি লাল আলুর কিছু উপকারিতা দেওয়া হলো:
উপাদান:
আলুতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। এছাড়া আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সাইড, ফাইবারসহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট।
উপকারিতা:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে আলু। কারণ আলুতে আছে কুকোয়া-মাইনাস নামের এক ধরনের কেমিক্যাল। তবে অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে ফলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
হজমে সহায়ক:
হজমের জন্য আলু খুব ভালো। কারণ আলুতে আছে হাই-ফাইবার।
ত্বকের পক্ষে উপকারী:
আলু ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি আছে যা ত্বকের জন্য জরুরি। এছাড়া রোদে পোড়া ভাব দূর করে আলুর রস।
রোগ প্রতিরোধ:
আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। একটি মাঝারি আকৃতির (১৫০ গ্রাম) আলুর ত্বকে প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ আছে। এছাড়া আলুতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ও আয়রন আছে।
মানসিক চাপ কমায়:
আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা মন ভালো রাখার কার্যকরী দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক নিওট্রান্সমিটার গঠনে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখে:
আলুতে গ্লুকোজ, অক্সিজেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এমিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার উপাদানগুলো সরবরাহ করে।
- বিয়ের আগে ত্বক উজ্জ্বল করতে যা করবেন
- এই জুসটি আপনাকে দেবে উজ্জ্বল ত্বক
- পেটের ভুঁড়ি কমাতে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন
- নেক সন্তান পাওয়ার জন্য দোয়া ও আমল

উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
লাল আলুতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। এটি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস
লাল আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ঠাণ্ডা, কাশি ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়ক।
ক্যালোরি কম, পুষ্টিতে ভরপুর
লাল আলুতে ক্যালোরি কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি খেলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ অনুভব করতে পারেন, যা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ ফাইবারের উৎস
লাল আলুতে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, ফাইবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক।
পটাসিয়ামের ভালো উৎস
লাল আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতেও কার্যকর।
ফোলেট সমৃদ্ধ
ফোলেট (ভিটামিন B9) সমৃদ্ধ হওয়ায় লাল আলু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর সুস্থ বিকাশে সাহায্য করে এবং নিউরাল টিউব ডিফেক্টের ঝুঁকি কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
লাল আলুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ত্বকের জন্য উপকারী
লাল আলুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক। এটি ত্বকের বলিরেখা এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
শক্তি সরবরাহ করে
লাল আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে, যা ক্লান্তি দূর করে এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়।
হাড়ের জন্য উপকারী
লাল আলুতে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
লাল আলু নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য উপকার বয়ে আনতে পারে।